ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি

২১৩ কোটি টাকা কম খরচে শেষ হলো যে প্রকল্প

মফিজুল সাদিক, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮২৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ২১, ২০২০
২১৩ কোটি টাকা কম খরচে শেষ হলো যে প্রকল্প গ্যাস মিটার

ঢাকা: দেশে প্রকল্প বাস্তবায়নে বারবার সময় আর ব্যয় বাড়বে না এমনটি কল্পনা করা যায় না। কিন্তু এর মধ্যেই জাপানি অর্থায়নে বাস্তবায়িত একটি প্রকল্পে ব্যতিক্রমধর্মী ঘটনা ঘটেছে।

প্রকল্পের সময় বা ব্যয় বাড়েনি, বরং বেঁচে গেছে ২১৩ কোটি টাকা।  

‘প্রি-পেইড গ্যাস মিটার স্থাপন’ প্রকল্পে এমন ঘটনা ঘটেছে।

জানা গেছে, নির্ধারিত সময়ের আগেই ২ লাখ প্রি-পেইড গ্যাস মিটার স্থাপন করা সম্ভব হয়েছে। বেঁচে যাওয়া টাকায় আরও গ্যাস মিটার স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্নয়ন সহযোগী জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা)। প্রতিষ্ঠানটির তদারকির কারণেই অর্থ সাশ্রয় হয়েছে।

তিতাস সূত্র জানায়, প্রি-পেইড গ্যাস মিটার স্থাপন প্রকল্পের আওতায় মোট ২১৩ কোটি টাকা সাশ্রয় হয়েছে। গ্যাসের অপচয় রোধ করতে ২০১৫ সালের জানুয়ারি মাসে ৭১২ কোটি টাকা ব্যয়ে ন্যাচারাল গ্যাস ইফিসিয়েন্সি প্রকল্প (বিডি-পি৭৮) হাতে নেয় তিতাস। প্রথমে প্রকল্পের মেয়াদ জানুয়ারি ২০১৫ থেকে ডিসেম্বর ২০১৮ ধরা হয়। নির্দিষ্ট মেয়াদে প্রকল্প বাস্তবায়নের ফলে সরকারি ২০২ কোটি এবং জাপানি ঋণের ১১ কোটি টাকা সাশ্রয় হয়েছে।

এখন সাশ্রয় হওয়া অর্থ দিয়ে নতুন করে আরও ১ লাখ ২০ হাজার প্রি-পেইড গ্যাস মিটার স্থাপন করা হবে। প্রকল্প এলাকার পরিবর্তন এবং অপারেশন অ্যান্ড মেইনটেন্যান্স জনবল কাঠামোর পরিবর্তন ইত্যাদির কারণে প্রকল্পটি সংশোধন করা হচ্ছে। প্রকল্পের মেয়াদ বাড়িয়ে ২০২০ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত বর্ধিত করা হয়। প্রথমে পাইলট প্রকল্প হিসেবে ধরা হলেও বর্তমানে এটি চলমান প্রকল্প হিসেবে অব্যাহত থাকবে।

টিজিটিডিসিএলের মহাব্যবস্থাপক ও প্রকল্প পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার ফয়জার রহমান বাংলানিউজকে বলেন, প্রকল্পের সময়-ব্যয় সাধারণত বৃদ্ধি পেয়ে থাকে। কিন্তু আল্লাহর রহমতে আমরা নির্দিষ্ট সময়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছি এবং এতে ২১৩ কোটি টাকা সাশ্রয় হয়েছে। এর মধ্যে জাইকার ১১ কোটি টাকা। আছে এসব সাশ্রয় হওয়া টাকাসহ সরকারি সহায়তায় নতুন করে আরো ১ লাখ ২০ হাজার প্রি পেইড গ্যাস মিটার স্থাপন করবো। ’

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, জাপান সরকাররে ৩৫তম ওডিএ ঋণ প্যাকেজের আওতায় জাইকা ও জিওবির অর্থায়নে এ প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে। এছাড়া তিতাস গ্যাস ট্রান্সমশিন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানিরও অর্থায়ন রয়েছে।

উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবনা (ডিপিপি) অনুযায়ী বাড্ডা, গুলশান, বনানী, বারিধারা, বসুন্ধরা, তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা সেনানিবাস, মিরপুর, আজমপুর, কাফরুল, খিলক্ষেত, উত্তরখান, দক্ষিণখান, উত্তরা ৩য় পর্ব, পূর্বাচল ও ঝিলমিল এলাকার নির্ধারণ করা হয়। পরবর্তীতে সংশোধিত উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবনায় (আরডিপিপি) ধানমন্ডি, মোহাম্মদপুর, রামপুরা, মহানগর, বনশ্রী, খিলগাঁও, মগবাজার, মালিবাগ, সিদ্বেশ্বরী, শান্তিনগর, ইস্কাটন, কলাবাগান ও হাতিরপুল এলাকা যোগ করা হয়। এসব এলাকায় প্রি পেইড গ্যাস মিটার স্থাপিত হবে।  

মিটারের জন্য গ্রাহককে প্রতি মাসে ১০০ টাকা হারে ১৩ বছর মেয়াদে মিটারের মূল্য পরিশোধ করতে হয়।

বাংলাদেশ সময়: ০৮২৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ২১, ২০২০
এমআইএস/এজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।