লিসবন থেকে: পর্তুগালের রাজধানী লিসবনে বাংলাদেশি কমিউনিটির উদ্যোগে বাংলা বর্ষবরণ উৎসব হয়েছে।
রোববার (১৪ এপ্রিল) রাজধানীর জনপ্রিয় রেস্টুরেন্ট ও পার্টি সেন্টার লিটন তার্কিশ গ্রিলে ‘বাংলা বর্ষবরণ উদযাপন পরিষদ’ এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
শিশুদের চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা, ছড়া, আবৃতি, গান, নারীদের বালিশ খেলা, নাচ, পান্তা-ইলিশ-ভর্তা ভোজন এবং স্থানীয় ব্যান্ড দলের সংগীত অনুষ্ঠানসহ দিনব্যাপী ছিল জমকালো আয়োজন। অনুষ্ঠানে পর্তুগালের সহস্রাধিক প্রবাসী বাঙালি অংশ নেন।
আয়োজক ও অংশগ্রহণকারীরা জানান, পর্তুগালে বাংলাদেশি কমিউনিটি বড় হলেও এর আগে সবার অংশগ্রহণে বর্ষবরণ অনুষ্ঠান হয়নি। এবার প্রথম অনুষ্ঠানে সবাই স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নিয়েছেন। অনুষ্ঠানে মিডিয়া পার্টনার হিসেবে ছিল পর্তুগাল বাংলা প্রেসক্লাব।
বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব ও স্থানীয় রাজনীতিবিদ রানা তছলিম উদ্দিন, বর্ষবরণ উদযাপন পরিষদের আহ্বায়ক খলিলুর রহমান সাগর, কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব ও তরুণ উদ্যোক্তা রনি হোসাইন, পর্তুগাল বাংলা প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি রনি মোহাম্মদ, বর্তমান সভাপতি রাসেল আহম্মেদ, সাবেক সভাপতি ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারী, সহ-সভাপতি আনোয়ার এস খান ফাহিম, সাধারণ সম্পাদক শহীদ আহমদ (প্রিন্স), ব্যবসায়ী মো. জহিরুল ইসলাম, লেখিকা ফৌজিয়া খাতুন রানা, ব্যবসায়ী মাসুম আহমেদ, পর্তুগাল সাহিত্য সংসদের সভাপতি এনামুল হক, সাধারণ সম্পাদক আবুল আসাদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাফিজ আল আসাদ, সাংগঠনিক সম্পাদক হাসান মাহমুদ, কমিউনিটির তরুণ উদ্যোক্তা ব্যবসায়ী আবু ইমন, যুবনেতা আহমেদ লিটন, সাংবাদিক এস এম আজাদ, টিপু, আসাদ, কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব গোলাম মাহমুদ আযম, সোহেল আহমদ, ইমরানুল হক ইমু, শিহাব আহমেদ, আমির আলী, মাসুম আহমেদ, ব্যবসায়ী নাঈম হাসান ও আব্দুল কাদের জিলানীসহ অনেকে।
অনুষ্ঠানের আয়োজকদের পক্ষ থেকে আহ্বায়ক ইব্রাহিম খলিল সাগর ও রনি হোসাইন বলেন, আগামীতে পর্তুগালের সব শ্রেণি-পেশার মানুষদের নিয়ে আরও বড় পরিসরে এমন অনুষ্ঠান আয়োজন করা হবে।
সেই সঙ্গে তিনি ঘোষণা করেন যে আজ থেকে নতুনভাবে বাংলাদেশের সব জাতীয় অনুষ্ঠান খোলা মাঠে বড় পরিসরে আয়োজন করা হবে। এসব আয়োজনের মাধ্যমে এখানে বেড়ে ওঠা নতুন প্রজন্মের কাছে দেশের সংস্কৃতি তুলে ধরা হবে।
সেই সঙ্গে এ ধরনের আয়োজন সফল করতে কমিউনিটির সবাইকে সহযোগিতা করার আহ্বান জানান তিনি।
বাংলা বর্ষবরণ উদযাপন পরিষদের সদস্য সচিব শিপলু আহমেদ ও অ্যাডভোকেট রাসেল মজুমদারের সঞ্চালনায় দুপুর ১২টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত এ অনুষ্ঠান হয়। শিশুদের চিত্রাংকন প্রতিযোগিতার মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। মধ্যাহ্নভোজে বাংলার ঐতিহ্যবাহী পান্তা-ইলিশ এবং ১০ ধরনের মুখরোচক ভর্তা পরিবেশন করা হয়। বিকেলে নারীদের বালিশ খেলা, স্বেচ্ছায় সঙ্গীত পরিবেশন, শুভেচ্ছা বিনিময়, ব্যান্ড সংগীত অনুষ্ঠান এবং পুরস্কার বিতরণের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপনী ঘোষণা করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৫, ২০২৪
এসআই