ঢাকা: ‘স্বাধীনতার দীর্ঘ ৪৪ বছর পর যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ও রায় কার্যকর করা হলে এতোদিনে তারা এবং তাদের দোসররা অর্থনৈতিকভাবে শক্ত ভিত গড়েছে। ফলে অর্থের বিনিময়ে প্রবাসে বিভিন্ন লবিস্ট নিয়োগ করে বিচার সম্পর্কে মিথ্যা বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে’ এমনই মন্তব্য করেছেন ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শাহরিয়ার কবির।
সম্প্রতি ডেনমার্কের রাজধানী ও বৃহত্তম শহর কোপেনহেগেনে এক গোলটেবিল আলোচনা: ‘যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে প্রবাসী বাঙালিদের ভূমিকা ও ভবিষ্যৎ করণীয়তে’ প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
শাহরিয়ার কবির বলেন, গণহত্যাকারী আল-বদর নেতাদের সর্বনিম্ন শাস্তি হতে হবে মৃত্যুদণ্ড। ১৯৭১ সালে আলবদর, রাজাকার বাংলাদেশে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে বাংলাদেশকে মেধাশূন্য করতে চেয়েছিল। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে প্রত্যক্ষভাবে সহায়তা করেছিল বাংলাদেশের আলবদর রাজাকার বাহিনী।
তিনি বলেন, স্বাধীনতার এতো বছর পর বিচার শুরু এবং রায় কার্যকর করা হচ্ছে তবে ইতোমধ্যে তারা এবং দোসররা অর্থনৈতিকভাবে শক্ত ভিত গড়েছে। ফলে অর্থের বিনিময়ে প্রবাসে বিভিন্ন লবিস্ট নিয়োগ করে বিচার সম্পর্কে মিথ্যা বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে।
‘তবে বিচার সম্পন্ন হবেই। শেষ যুদ্ধাপরাধীর বিচার না হওয়া পর্যন্ত আমাদের সংগ্রাম অব্যাহত রাখতে হবে। তাদের বিচার কার্যকর করার জন্য বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই’।
মোবাইল ফোনে সর্ব ইউরোপিয়ান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ গনি সংক্ষিপ্ত আলোচনায় বলেন, শেখ হাসিনার সাহসী ভূমিকার কারণে যুদ্ধপরাধীর বিচারের রায় কার্যকর হচ্ছে।
ডেনমার্ক আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী মোল্লা লিঙ্কনের সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক ড. বিদ্যুত বড়ুয়ার সঞ্চালনায় আলোচনা করেন তাইফুর রহমান ভুইয়া, আ ন ম আরিফ খালেক, সাব্বির আহমেদ, মানজুর আহমেদ লিমন, মোতালেব ভুইয়া, হিল্লোল বড়ুয়া, কাওসার সুমন, আমির হোসেন, রেজাউল করিম, মোহাম্মদ ইউসুফ, ইফতেখার সম্রাট প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৫, ২০১৫
আইএ