সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মালয়েশিয়ায় শ্রমিক রফতানির ক্ষেত্রে সোর্স কান্ট্রি হিসেবে বাংলাদেশের নাম অন্তর্ভুক্ত হওয়ার পর দেশটিতে ৩৭ হাজার টাকায় জনশক্তি রফতানি করার প্রতিশ্রুতি দেয় ১০টি কোম্পানির সমন্বয়ে গঠিত সিন্ডিকেট। কিন্তু তারা প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করে জনপ্রতি ৩ লাখ টাকা করে হাতিয়ে নিচ্ছে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আমিন গং ও ১০ কোম্পানির সিন্ডিকেটে মালয়েশিযায় এসপিপিএ কোম্পানির কথা বলে ভিসা প্রসেসিং বাবদ জনপ্রতি ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা আদায়ের সিস্টেম চালু করে। সম্প্রতি মালয়েশিয়ার নির্বাচনের ফলাফলের পর এই সিন্ডিকেটের মূল হোতা আমিনসহ অন্যরা গা ঢাকা দিয়েছেন। কিন্তু এখনও চালু আছে টাকা আদায়ের ওই সিস্টেম।
এদিকে অতিরিক্ত টাকা আদায়ের ফলে প্রতি শ্রমিককে মাইগ্রেশন ব্যয় বাবদ গুণতে হচ্ছে ৩ লাখ টাকা। এর ফলে মালয়েশিয়ায় প্রতি শ্রমিকদের মধ্যে বিরূপ প্রভাব পড়ছে বলে জানায় মালয়েশিয়া বিজনেস কমিটি।
এ সমস্যা থেকে উত্তরণের জন্য মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি বিজনেস কমিউনিটি, ব্যবসায়ী ও সাংস্কৃতিক নেতারা বেশ কিছু দাবি জানিয়েছেন।
তাদের দাবির মধ্যে রয়েছে- মালয়েশিয়ায় শ্রমিক রফতানি ব্যয় কমাতে হবে, শ্রমিক প্রতি ৫ হাজার রিঙ্গিত বা ১ লাখ টাকা অতিরিক্ত নেওয়া বন্ধ করতে হবে, শ্রমিক আনার ক্ষেত্রে সোর্স কান্ট্রি হিসেবে অন্য দেশের মতো বাংলাদেশ থেকেও শ্রমিক আনতে হবে ও শুধু ১০টি কোম্পানির লাইসেন্স নয় সরকার নিবন্ধিত ম্যানপাওয়ার কোম্পানির লাইসেন্সধারী সবাইকে রফতানির সুযোগ দিতে হবে। পাশাপাশি শ্রমিক পাঠানোর ক্ষেত্রে নীতিমালা তৈরি করতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ০৬৩০ ঘণ্টা, মে ২৩, ২০১৮
আরআর