সোমবার (০৮ অক্টোবর) রিয়াদের বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সম্প্রতি সৌদি আরব সরকার ১২টি পেশায় প্রবাসীদের কাজ করা নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। এসব ক্ষেত্রে কেবলমাত্র সৌদি আরবের নাগরিকরা কাজ করতে পারবেন।
প্রবাসীদের জন্য নিষিদ্ধ কর্মক্ষেত্রগুলো হল- ঘড়ির দোকান, চশমার দোকান, ওষুধ সরঞ্জামের দোকান, বৈদ্যুতিক ও ইলেক্ট্রনিক দোকান, প্রাইভেটকারের খুচরা যন্ত্রাংশের দোকান, ভবন নির্মাণের উপাদান, কার্পেটের দোকান, অটোমোবাইলের দোকান, ফার্নিচারের দোকান, প্রস্তুতকৃত তৈরি পোশাকের দোকান, শিশু ও পুরুষদের পোশাকের দোকান, চকলেট ও মিষ্টির দোকান। বর্তমানে যে কোন অভিবাসীকে উল্লেখিত পেশায় নিয়োজিত পাওয়া মাত্র তাদের অবৈধ বিবেচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
এছাড়া আগে নিষিদ্ধ সবজি বিক্রির দোকানে বাংলাদেশিদের কর্মরত পাওয়া যাওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। অবৈধ শ্রমিকদের নিজের দেশে ফেরত পাঠানো সৌদি সরকারের নিয়মিত কার্যক্রমের অংশ। ইকামা ফি নির্ধারণ সৌদি সরকারের নিজস্ব নীতিগত বিষয়, যা সব বিদেশি শ্রমিকদের জন্য সমানভাবে প্রযোজ্য বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
সৌদি আরবে সরকার যে কোন সিদ্ধান্ত কার্যকর করার কমপক্ষে ৬ থেকে ১৮ মাস আগে নোটিশ দিয়ে থাকে। বর্তমানে বাংলাদেশ দূতাবাসের সঙ্গে সৌদি সরকারের সম্পর্ক অত্যন্ত সহযোগিতাপূর্ণ এবং বাংলাদেশের শ্রমিকদের সহায়তা দিতে সৌদি সরকার খুবই আন্তরিক ও সহানুভূতিশীল।
সৌদি আরবে বসবাসরত বিপুল সংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশিদের সব ধরনের সেবা দিতে দূতাবাস অঙ্গীকারবদ্ধ। সৌদি আরবে বসবাসরত বাংলাদেশিদের যে কোন প্রয়োজনে দূতাবাসের পরামর্শ গ্রহণের জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৮, ২০১৮,
টিআর/জেডএস