আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন বৌদ্ধ ধর্মীয় গুরু পণ্ডিত প্রজ্ঞাবংশ মহাথের প্রতিষ্ঠিত বুদ্ধগয়া প্রজ্ঞাবিহারে নানা ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতায় কঠিন চীবর দানোৎসব উদযাপিত হয়েছে।
বৌদ্ধ ভিক্ষুদের তিন মাস বর্ষাব্রত পালনের পর আশ্বিনী পূর্ণিমা থেকে কার্তিকী পূর্ণিমা পর্যন্ত এক মাস সময়ের মধ্যে কঠিন চীবর দানোৎসব উদযাপন করা হয়।
চীবর দান উপলক্ষে দিনব্যাপী ধর্মীয় নানা কর্মসূচির মধ্যে ছিল ভিক্ষু সংঘের প্রাতরাশ, বাংলাদেশ ও বিশ্বের শান্তি কামনায় মঙ্গল শোভাযাত্রা, তথাগত সম্যক সম্বুদ্ধের পূজা ও শীল গ্রহণ, অষ্ট উপকরণসহ সঙ্ঘদান, বিকেলে উপাসক উপাসিকা ও পুণ্যার্থী কর্তৃক ভিক্ষুসংঘদের উদ্দেশে কঠিন চীবর দান, ধর্মীয় আলোচনা সভা, কল্পতরু পূজা, প্রদীপ পূজা ও সমবেত প্রার্থনা। পঞ্চশীল প্রার্থনা করেন চন্দন বড়ুয়া।
সুমন বড়ুয়া ও সীবলী বড়ুয়ার উপস্থাপনায় এবং ড. লোকানন্দ মহাথের’র সভাপতিত্বে দানশ্রেষ্ঠ কঠিন চীবর দানোৎসব ও প্রবাসে বাংলাদেশি বৌদ্ধদের সম্মেলন শীর্ষক এক ধর্মীয় আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন ড. নাগসেন ভিক্ষু । বিশেষ অতিথি ছিলেন ফ্রান্সে নিযুক্ত শ্রীলংকার রাষ্ট্রদূত প্রফেসর কনিস্কা হিরিয়েনবুরেগামা।
বক্তব্য দেন বুদ্ধগয়া প্রজ্ঞাবিহারের পরিচালক কল্যাণ রত্ন ভিক্ষু, ভদন্ত আনন্দ ভিক্ষু, ভদন্ত জ্যোতিসার ভিক্ষু, ভদন্ত বিজয়ানন্দ ভিক্ষু, কঠিন চীবর দান ও বাংলাদেশি বৌদ্ধদের মহাসম্মেলন পরিষদের আহবায়ক মিটু কুমার বড়ুয়া, কাজল বড়ুয়া ও কানন বড়ুয়া।
সভায় প্রধান ধর্মদেশক ছিলেন শ্রীমৎ মুদিতা রত্ন ভিক্ষু।
বক্তারা বলেন, বহুজনের হিত ও বহুজনের সুখের জন্য সারাবিশ্বে বুদ্ধের সদ্ধর্ম বা সত্য ধর্ম প্রচারের করতে হবে। মহামানব গৌতম বুদ্ধের অহিংস নীতির আলোকে বিশ্বব্যাপী শান্তি ও সম্প্রীতিও প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
চীবর দান শেষে প্যারিসের জনপ্রিয় শিল্পীদের পরিবেশনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়।
ফ্রান্সে বাংলাদেশি বৌদ্ধদের প্রতিষ্ঠিত তিনটি বৌদ্ধ বিহারে খুবই জাঁকজমকভাবে দানোৎত্তম কঠিন চীবর দান উদযাপিত হয়ে আসছে। বুদ্ধগয়া প্রজ্ঞাবিহার আন্তর্জাতিক ধ্যানকেন্দ্রে সর্বশেষ কঠিন চীবরদান হওয়ায় পুণ্যার্থীদের ভিড় ছিল বেশি।
বাংলাদেশ সময়: ১২৪১ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৮, ২০২২
এআর/টিসি