ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৯ কার্তিক ১৪৩১, ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ১২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অপার মহিমার রমজান

বসুন্ধরা সিটিতে জমজমাট ইফতার

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৫৬ ঘণ্টা, মার্চ ৩০, ২০২৩
বসুন্ধরা সিটিতে জমজমাট ইফতার

ঢাকা: রাজধানীর অন্যতম শপিংমল ও বিনোদনকেন্দ্র বসুন্ধরা সিটিতে কেনাকাটার বিরতিতে বসছে জমজমাট ইফতারের আসর। সিটির ইফতার বাজার জমে ওঠে কেনাকাটার কারণেই।

ইফতারের সময় সেখানে প্রতিদিন ঢাকায় বাসরত অনেক বিদেশিও আসেন। পাশ্চাত্য স্টাইলে পরিবেশন করা হয় ইফতার। সব দোকানের সামনে পেতে রাখা আছে রুচিসম্মত মনোরম পরিবেশে চেয়ার-টেবিল। তাতে বসে ইফতার করছেন নানা বয়সের রোজাদার।

বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) বিকেলে রাজধানীর বসুন্ধরা সিটির ফুডকোর্ট ঘুরে দেখা যায়, রোজার প্রথম দিন থেকেই পুরোপুরি ইফতার সংস্কৃতির আওতায়। মার্কেটের আটতলাজুড়ে ফাস্টফুডের দোকানগুলোতে বাহারি ইফতারের আয়োজন। সব দোকান ইফতারসামগ্রীতে ঠাসা। মধ্যবিত্ত, উচ্চবিত্ত, দেশি-বিদেশি সব ক্রেতার চাহিদা ও পছন্দের সঙ্গে তাল রেখে নির্বাচন করা হয়েছে ইফতারির আইটেম। প্যাকেজ (প্লেট প্রতি) ইফতার ৩০০ থেকে শুরু করে ৭০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।

যারা শপিং করতে করতে ক্লান্ত, ইফতারের সময় হয়ে গেছে, তাদের জন্য চিন্তার কিছুই নেই। বসুন্ধরা সিটির ফুডকোর্টেই পেয়ে যাবেন প্রায় ১২ পদের ইফতারির প্যাকেজ। এ প্যাকেজে থাকছে ছোলা, চপ, আপেল, কমলা, বেদেনা, সরবতসহ বিভিন্ন প্রকার ইফতার।  

ফ্লোর ঘুরে জানা যায়, ইফতারের সময় ফুডকোর্টে চেয়ার খালি থাকে না একটাও। অনেকে আবার মাটিতে খবরের কাগজ বিছিয়ে বসে পড়েন। ব্যস্ততাও বেড়ে গেছে বিক্রেতাদের। কেউবা প্লেট সাজাচ্ছেন। কেউবা আবার সরবত বানাতে ব্যস্ত।

সাভার থেকে বসুন্ধরা সিটিতে ক্যামেরা সারতে এসেছিলেন পলক আহমেদ। একইসঙ্গে এসেছেন বন্ধুদের নিয়ে ইফতার করতে। ইফতারির প্রায় এক ঘণ্টা আগেই এসে চেয়ার নিয়েছেন নিজেদের দখলে- এ কথা বলেই হেসে ওঠেন তিনি।

পলকের বন্ধু আহসান বলেন, অন্য জায়গার তুলনায় বসুন্ধরা সিটিতে খাবারের দাম রিজনেবল। তাছাড়া পরিবেশও ভালো। আর এখানকার ফুডকোর্টের খাবারের মান অন্যান্য জায়গা থেকে বেটার তাতেও সন্দেহ নেই।

বসুন্ধরা সিটির ফুডকোর্টের দোকানগুলোতে প্যাকেজ ইফতারিতে পানি ফ্রি। আর সরবত নিলে গুনতে হবে কিছুটা অতিরিক্ত টাকা। তবে কেউ যদি প্যাকেজ না নিয়ে নির্দিষ্ট কোনো আইটেম চান তাতেও সমস্যা নেই। এক্ষেত্রে যে কোনো ধরনের জুস পাওয়া যাবে একশ থেকে দেড়শ টাকার মধ্যে।

ইফতার আইটেমের সঙ্গে কেউ চাইলে নিতে পারেন ইন্ডিয়ান দোসা, ছোলা বাটোরার মতো কোনো আইটেম বা ডিনার আইটেম। এসবের দাম পড়বে ২০০ থেকে ৪০০ টাকার মধ্যে।

মুগল দরবারের ক্যাশিয়ার মো. মাসুদ বলেন, এখন তো রোজার প্রথম সপ্তাহ। তবে ১০/১২ রোজা থেকে বসুন্ধরা ফুডকোর্টের ইফতার আরও জমজমাট হবে।

ইন্ডিয়ান স্পাইসির কর্মকর্তা মাহতাব উদ্দিন শিকদার বলেন, এমনিতেই ইফতারের বাজার অনেক ভালো। আগামীকাল ছুটির দিন হিসেবে আশা করা হচ্ছে আরও ভালো হবে। আমরা প্রস্তুত আছি। আর রেগুলার আইটেমগুলোর সঙ্গে কিছু আইটেম যোগ করা হয়েছে ইফতারের জন্য। এগুলোর মধ্যে ফল, বেগুনি, পেঁয়াজু, জিলেপি, বিভিন্ন জুস/শরবত অন্যতম। ইফতারের প্যাকেজ মিলবে ৩৫০ থেকে ৫০০ টাকায়।

এদিকে ক্রেতাদের ইফতারির সঙ্গে থেমে নেই বিক্রেতাদের ইফতারও। প্রতিটি দোকানেই বিকেল ৫টা বাজলেই কয়েকজন বিক্রেতা মিলে কাজে নেমে পড়েন ইফতার তৈরিতে। থাকে আপেল, বেদেনার মতো নানা প্রকারের ফল, লেবুর শরবত। মালিক-কর্মচারী একইসঙ্গে করেন ইফতার। এ যেন এ অসাধারণ সম্প্রীতিবোধ।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৫২ ঘণ্টা, মার্চ ৩০, ২০২৩
এইচএমএস/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।