বৃহস্পতিবার থেকে রাশিয়ায় শুরু হয়েছে পবিত্র রমজান মাস। এবারের রমজানে রাশিয়ার সাংস্কৃতিক রাজধানী হিসেবে পরিচিত সেন্ট পিটার্সবার্গসহ দেশটির উত্তরাঞ্চলের মুসলমানদের জন্য এক ব্যতিক্রমী অভিজ্ঞতা হচ্ছে।
সেন্ট পিটার্সবার্গের জনসংখ্যা প্রায় ১০ লাখ। এর মধ্যে মুসলমানদের সংখ্যা সম্পর্কে সঠিক কোনো তথ্য পাওয়া যায় না। তবে গত বছর এখানকার প্রধান দু’টি মসজিদে ঈদুল ফিতরের জামাতে প্রায় ৪২ হাজার মুসলমান অংশ নেয় বলে জানায় দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তবে শুক্রবারসহ বিশেষ দিনগুলোতে মসজিদের ভেতরে স্থান না পেয়ে বাইরে দাঁড়িয়ে নামাজ আদায় করার চিত্র হর-হামেশাই দেখা যায়।
পবিত্র রমজান মাসের রোজা রাখা প্রত্যেক সক্ষম মুসলমানের জন্য বাধ্যতামূলক বা ফরজ হলেও ২২ ঘণ্টা সময় উপোস থাকা একটি চ্যালেঞ্জ বৈকি। কিন্তু এই কঠিন চ্যালেঞ্জ নিয়েই রোজা রাখেন ওই অঞ্চলের মুসলমানরা।
নর্থওয়েস্ট রিজিওনাল মুসলিম স্পিরিচুয়াল সেন্টারের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করে বলেন, ‘এটা মুসলমানদের জন্য একটি পরীক্ষা। তাদের এ সময় ২১-২২ ঘণ্টা না খেয়ে থাকতে হয়। খাবারের জন্য সময় পাওয়া যায় মাত্র ঘণ্টা তিনেক। ’
তাহলে আপনারা কিভাবে এটা মোকাবিলা করেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ঈমানদারদের জন্য এটা কোনো বোঝা নয়। ইসলাম হলো জীবনবিধান। রোজা রাখা আমাদের কাছে সকালে ঘুম থেকে ওঠা কিংবা দাঁত ব্রাশ করার মতো (সহজ) ঘটনা। ’
স্থানীয় এক স্কুলের প্রশাসক ইয়েলিজাভেতা ইসমাইলোভা বলেন, আমার সঙ্গে আমার পিতামাতা, ভাইবোন, স্বামীও রোজা রাখেন। তিনি বলেন, ‘এবার ইফতারির সময়টা বেশ দেরিতে। আমরা ভোর ২টায় নামাজ পড়ে আর কিছু খাই না। সূর্য অস্ত যায় রাত ১০টায়। ’ তিনি জানান, জুনে গোধূলি আসে রাতে সাড়ে ১০টার দিকে।
‘অবশ্যই, এটা মানব শরীরের জন্য একটি কঠিন বোঝা। তবে প্রত্যেক মুসলমান সচেতনভাবেই এটা বেছে নেন,’ বলছিলেন ইসমাইলোভা।
-গার্ডিয়ান অবলম্বনে
বাংলাদেশ সময়: ১৭০৫ ঘন্টা, জুন ২০, ২০১৫
এমএ/