ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২১ কার্তিক ১৪৩১, ০৭ নভেম্বর ২০২৪, ০৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অপার মহিমার রমজান

সদকাতুল ফিতরের মাসয়ালা

ইসলাম ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪১২ ঘণ্টা, জুলাই ১৬, ২০১৫
সদকাতুল ফিতরের মাসয়ালা

মাসয়ালা: একটি ফিতরার পুরোটা একজন গরিবকে দেয়া উত্তম। অবশ্য এক ফিতরা কয়েকজনকে ভাগ করে দেয়াও জায়েজ আছে।

-আল বাহরুর রায়েক: ২/৪৪৬

মাসয়ালা: যদি পাগল ছেলের নিজস্ব সম্পদ থাকে এবং সে বাবার তত্ত্বাবধানেই থাকে, তাহলে তার পক্ষ থেকেও বাবাকেই সদকায়ে ফিতর আদায় করতে হবে। এ জন্য পাগলের সম্পত্তি ব্যয় করা যাবে না। -ফাতাওয়া হিন্দিয়া: ১/১৯২

মাসয়ালা: বাবা ছেলের ওপর নির্ভরশীল হলে এবং ছেলের পরিবারে থাকলেও ছেলের ওপর বাবার সদকায়ে ফিতর আদায় করা ওয়াজিব নয়। বরং এ ক্ষেত্রেও বাবার মালিকানায় নিসাব পরিমাণ প্রয়োজনের অতিরিক্ত সম্পদ থাকলে বাবার ওপরই সদকায়ে ফিতর ওয়াজিব হবে, অন্যথায় নয়। -রদ্দুল মুহতার: ২/৩৬৩

মাসয়ালা: ঈদুল ফিতরের দিন সুবহে সাদেকের সময় সদকা ফিতর ওয়াজিব হয়। সুতরাং যে সন্তান ঈদুল ফিতরের দিন সুবহে সাদেকের পর জন্মগ্রহণ করবে তার পক্ষ থেকে বাবাকে সদকায়ে ফিতর আদায় করতে হবে না। -বাদায়েউস সানায়ে: ২/২০৬

মাসয়ালা: কেউ রমজানের রোজা রাখতে না পারলেও নিসাব পরিমাণ মাল থাকলে সদকায়ে ফিতর আদায় করা ওয়াজিব। কারণ এটা আলাদা বিধান। এর মূল দর্শনের মাঝে রোজার ত্রুটি-বিচ্যুতি দূরের বিষয়টি থাকলেও তা ওয়াজিব হওয়া রোজা রাখা না রাখার সঙ্গে যুক্ত নয়। -বাদায়েউস সানায়ে ২/৫৫৯

মাসয়ালা: স্ত্রীর পক্ষ থেকে স্বামী সদকায়ে ফিতর আদায় করে দিলে তা আদায় হয়ে যাবে। এ ক্ষেত্রে স্ত্রীর অনুমতি জরুরি নয়। তবে তা আদায়ের আগে স্ত্রীকে বলে নেয়া ভালো। -ফাতাওয়া তাতারখানিয়া: ১/২২৮

মাসয়ালা: বালেগ ছেলেমেয়ে সম্পদের মালিক হোক বা না হোক কোনো অবস্থায়ই তাদের পক্ষ থেকে বাবা বা মাকে সদকা ফিতর আদায় করতে হবে না। আর প্রাপ্তবয়স্ক ছেলেমেয়ে নিজেরা নিসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক না হলে তাদের ওপরও সদকায়ে ফিতর ওয়াজিব নয়। অবশ্য তারা যদি নিসাব পরিমাণ সম্পত্তির মালিক হয় তাহলে তারা নিজ সম্পদ থেকে তা আদায় করবে। তবে এমন ছেলেমেয়ের পক্ষ থেকে তার অভিভাবক তাদের অনুমতি সাপেক্ষে সদকা ফিতর দিয়ে দেয়, তবে তা আদায় হয়ে যাবে। -বাদায়েউস সানায়ে: ২/২০২-২০৩

মাসয়ালা: রমজান মাসের ভেতরেও সদকা ফিতর আদায় করা যায়। তবে ঈদের দিন নামাজে যাওয়ার আগে আদায় করে দেয়া উত্তম। কোনো কারণে ঈদের নামাজের আগে দিতে না পারলে ঈদের নামাজের পরও দেয়া যাবে এবং সদকায়ে ফিতরের দায়িত্ব পালিত হবে। -হেদায়া: ১/১৯৩; ফাতাওয়া হিন্দিয়া: ১/১৯২

মাসয়ালা: নাবালেগ সন্তানদের সম্পদ থাকলে বাবা তাদের সম্পদ থেকেও সদকাতুল ফিতর আদায় করতে পারবেন। -মারাকিল ফালাহ: ৩৯৪; ফাতাওয়া হিন্দিয়া: ১/১৯২

মাসয়ালা: নিতান্ত গরিব ভাইবোনদের সদকাতুল ফিতর দেয়া জায়েজ। -ফাতাওয়া হিন্দিয়া: ১/১৯০

মাসয়ালা: বাবা-মা, স্ত্রী ও বালেগ সন্তানদের পক্ষ থেকে সদকা ফিতর আদায় করা ওয়াজিব নয়। তারা নিজেরা প্রয়োজনের অতিরিক্ত নিসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক হলে তাদের ওপর সদকা ফিতর আদায় করা ওয়াজিব। -মারাকিল ফালাহ: ৩৯৫

বাংলাদেশ সময়: ১৪১২ ঘন্টা, জুলাই ১৬, ২০১৫
এমএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।