সারাদিন রোজা রাখার পর যারা ইফতারি নিয়ে চিন্তায় আছেন তারা চলে আসতে পারেন জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে। এখানে প্রতি রোজায় দুই থেকে তিন হাজার মুসল্লির ইফতার আয়োজন করা হয়।
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে ৪০ জন স্বেচ্ছাসেবক মুসল্লিদের খেদমতে ব্যস্ত থাকেন। বায়তুল মোকারমের দোতলায় সারিবদ্ধভাবে মুসল্লিরা বসেন। আর ইফতারের খানাডালি নিয়ে হাজির হন স্বেচ্ছাসেবকরা।
প্রতিটি খানাডালিতে গোল হয়ে ৬ থেকে ৭ জন মুসল্লি বসেন ইফতারি সামনে নিয়ে। আজান শোনার সঙ্গে সঙ্গে একে অপরকে ইফতারি এগিয়ে দিতে ব্যস্ত। এখানে যেন সবাই একই পরিবারের। কারো মধ্যে ভেদাভেদ নেই। সবাই পাশাপাশি বসে সাধারণ মানের ইফতারিতেই খুশি।
ইফতারি আইটেমের মধ্যে রয়েছে ছোলা, মুড়ি, বেগুনি, পিয়াজু, জিলাপী, শসা, খেজুর, সরবত। এক সঙ্গে ৬ থেকে ৭ জন গোল হয়ে ইফতারি খাওয়া যেন মহব্বতের শিক্ষা দেয়।
গাজী আল মনসুর নামে এক মুসল্লি বাংলানিউজকে বলেন, প্রতিবছর একদিন না একদিন এখানে আমি ইফতার করি। সবার সঙ্গে ইফতার করার আলাদা মজা। এখানে দুই তিন হাজার মুসল্লি এক সঙ্গে বসে ইফতার করেন। এখানে ধনী-গরীব ভেদাভেদ নেই। সবাই সমান।
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পরিচালক মো. মহিউদ্দিন মজুমদার বাংলানিউজকে বলেন, আমরা প্রতিবছরই এই ইফতার আয়োজন করে থাকি। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের নিজস্ব তহবিল থেকে এই আয়োজন করা হয়। আমাদের টার্গেট থাকে প্রতিদিন তিন হাজার মুসল্লিকে ইফতার করানো। কোনো দিন টার্গেটের বেশীও হয়।
এখানে যারা আসেন তাদের অধিকাংশই রাজধানীর গুলিস্তান এলাকায় কোনো না কোনো কাজে এসে আটকে পড়েন। কেউ চাইলে এখানে রোজাদারদের জন্য ইফতারি নিয়েও আসতে পারেন। এজন্য ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে কোনো বাধা নেই।
বাংলাদেশ সময়: ২১০০ ঘণ্টা, জুন ৪, ২০১৭
এসএম/জেডএম