ঢাকা: অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের কাছে বিনিয়োগকারীদের করমুক্ত লভ্যাংশ আয়ের সীমা বাড়িয়ে ৫০ হাজার টাকা করাসহ চারটি দাবি জানিয়েছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই)।
বৃহস্পতিবার মন্ত্রণালয়ে ২০১৪-১৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট পরবর্তী এক বৈঠকে লিখিতভাবে এ দাবি জানানো হয়।
বৈঠকে অর্থমন্ত্রীর কাছে দুই স্টক এক্সচেঞ্জের পক্ষ থেকে ডিমিউচ্যুয়ালাইজড পরবর্তী স্টক এক্সচেঞ্জকে ৫ বছর সম্পূর্ণ কর অবকাশ সুবিধা দেওয়ার দাবি জানানো হয়। এর আগে প্রস্তাবিত বাজেটে এ ক্ষেত্রে ক্রম হ্রাসমান হারে ৫ বছরের জন্য কর অবকাশ ঘোষণা করা হয়।
ডিএসই ও সিএসইর অন্য প্রস্তাবগুলোর মধ্যে রয়েছে- বিনিয়োগকারীদের লভ্যাংশের আয় ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত করমুক্ত রাখা। প্রস্তাবিত বাজেটে করমুক্ত লভ্যাংশের সীমা নির্ধারণ করা হয় ১৫ হাজার টাকা।
ব্যক্তি করদাতাদের মূলধনী লাভের ওপর কর অব্যহতি দেওয়ার দাবি জানিয়ে বলা হয়েছে, বিনিয়োগকারীর শেয়ার বিক্রি থেকে অর্জিত মূলধনী লাভের ওপর ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত কর অব্যাহতি সুবিধা দেওয়া হয়েছে। তবে ১০ লাখ টাকা অতিক্রম করলে ৩ শতাংশ হারে উৎসে কর দিতে হবে। আর ২০ লাখ টাকা অতিক্রম করলে ৫ শতাংশ হারে উৎসে কর দিতে হবে। এটি শেয়ারবাজারে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। তাই ব্যক্তি করদাতাদের অর্জিত মূলধনী লাভের ওপর কর (৫৩-এম ধারার বিধান বাদে) অব্যাহতি চলমান রাখা উচিত।
দুই স্টক এক্সচেঞ্জের পক্ষ থেকে আরও দাবি করা হয়েছে, সিকিউরিটিজ লেনদেনের ওপর উৎসে কর দশমিক শূন্য পাঁচ শতাংশ থেকে কমিয়ে দশমিক শূন্য ১৫ শতাংশ করা।
এদিকে বৈঠকের বিষয়ে ডিএসইর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বৈঠকে অর্থমন্ত্রী পুঁজিবাজারের দীর্ঘ মেয়াদী বিনিয়োগের ওপর গুরুত্বারোপ করে। মন্ত্রী পুঁজিবাজারের সামগ্রিক স্বার্থ রক্ষায় সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন এবং একটি স্বতন্ত্র ক্লিয়ারিং করপোরেশন প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেওয়া কথা জানান।
বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এম. খায়রুল হোসেনের সঞ্চলনায় এ বৈঠকে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব ড. এম আসলাম আলম উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে ডিএসইর চেয়ারম্যান বিচারপতি (অব.) সিদ্দিকুর রহমান মিয়ার নেতৃত্বে সাত সদস্যের এবং সিএসইর চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আবদুল মজিদের নেতৃত্বে ছয় সদস্যের প্রতিনিধিদল অংশগ্রহণ করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৬ ঘণ্টা, জুন ১২, ২০১৪