ঢাকা, সোমবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শেয়ারবাজার

‘ফটকাবাজ’ না

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩১৯ ঘণ্টা, জুন ১৭, ২০১৪
‘ফটকাবাজ’ না

ঢাকা: পুঁজিবাজারের স্থিতিশীলতার স্বার্থে ‘ফটকাবাজ’ জাতীয় শব্দ ব্যবহার না করার অনুরোধ জানিয়েছে বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএমবিএ)। পাশাপাশি মার্চেন্ট ব্যাংকের করপোরেট ট্যাক্স কমানো ও ক্যাপিটাল গেইন ট্যাক্স প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।


 
মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর হোটেল পূর্বানীতে সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান সংগঠনটির সভাপতি তানজিল চৌধুরী। ২০১৪-১৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে বিএমবিএ।
 
এতে তানজিল চৌধুরী বলেন, ফটকাবাজ জাতীয় শব্দ ব্যবহার করলে পুঁজিবাজারে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। তাই দায়িত্বশীলদের উচিত পুঁজিবাজারের স্থিতিশীলতার স্বার্থে এ জাতীয় শব্দ ব্যবহার না করা।
 
এসময় বিএমবিএর সহ-সভাপতি আক্তার এম সান্নামাত, সেক্রেটারি জেনারেল মো. মরিরুজ্জামানসহ অন্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
 
সংবাদ সম্মেলনে বিএমবিএর মূল দাবি তুলে ধরেন সহ-সভাপতি আক্তার এম সান্নামাত।

তিনি বলেন, প্রস্তাবিত বাজেটে তালিকাবহির্ভূত কোম্পানির ট্যাক্স কমানো হয়েছে। অথচ মার্চেন্ট ব্যাংকগুলো তালিকাবহির্ভূত থাকা সত্ত্বেও এর ট্যাক্স কমানো হয়নি। সরকারের উচিত মার্চেন্ট ব্যাংকের ওপর গুরুত্ব দেওয়া। তাই তালিকাবহির্ভূত কোম্পানির মতো মার্চেন্ট ব্যাংকের ট্যাক্স কমিয়ে ৩৫ শতাংশ করা উচিত।
 
সান্নামাত বলেন, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের অবদান অর্থনীতিতে অনেক বেশি। অথচ এই প্রতিষ্ঠানগুলোর করপোরেট কর কমানো হয়নি। এই প্রতিষ্ঠানগুলোর কর কমানো হলে পুঁজিবাজারে এর ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।
 
পাশাপাশি ২০ শতাংশ বা তার ঊর্ধ্বে লভ্যাংশ দেওয়া কোম্পানির ওপর ১০ শতাংশ ট্যাক্স রিবেট অব্যাহত রাখার সুপারিশ করে সংগঠনটি।
 
ক্যাপিটাল গেইন ট্যাক্সের বিষয়ে তিনি বলেন, ক্যাপিটাল গেইনের ওপর উৎসে কর আরোপের সিদ্ধান্ত বাজারে জন্য নেতিবাচক। এই সিদ্ধান্তগুলো সরাসরি বিনিয়োগকারীদের মধ্যে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। আর বাজারের জন্য নেতিবাচক সিদ্ধান্ত আসলে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে ধারণা জন্মে সরকার পুঁজিবাজারকে গুরুত্ব দিচ্ছে না। তাই ক্যাপিটাল গেইনের ওপর উৎসে কর প্রত্যাহার করা উচিত।
 
এসময় ক্যাপিটাল গেইনের ওপর উৎসে কর আরোপের সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে খুব বেশি চিন্তাভাবনা করা হয়নি বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
 
তিনি আরও বলেন, বাজারের মন্দাবস্থার কারণে অনেক মার্জিন ঋণগ্রহীতাকে সুদ মওকুফ করতে হয়েছে। এখন অনেকের সুদ মওকুফ করতে হচ্ছে। যা মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোতে লোকসান হিসাবে আনা হয়েছে।
 
এ পরিস্থিতিতে এনবিআর ওই লোকসানকে ব্যয় হিসাবে না ধরে তার ওপর কর আদায় করছে। ফলে সুদ মওকুফের কারণে একদিকে মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোর লোকসানের পরিমাণ বাড়ছে, অন্যদিকে এর ওপর কর দিতে হওয়ায় লোকসানের পরিমাণ আরো বাড়বে। তাই সুদ মওকুফের ওপর কর প্রত্যাহার করা উচিত।
 
পুঁজিবাজর নিয়ে ফটকাবাজ শব্দ ব্যবহারের বিষয়ে তিনি বলেন, এক পক্ষকে কেন্দ্র করে সম্পূর্ণ পুঁজিবাজারকে দোষারোপ করা ঠিক হবে না। তাই বাজারের স্থিতিশীলতার স্বার্থে ‘ফটকাবাজ’ জাতীয় শব্দ ব্যবহার না করাই ভালো।

সম্প্রতি সচিবালয়ে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, ‘ফটকা বিনিয়োগকারীদের কারণে শেয়ারবাজারে ধস হয়। শেয়ারবাজারে কোনো বিনিয়োগকারী নেই। দে আর ফটকাবাজ। ’

বাংলাদেশ সময়: ১৩০৫ ঘণ্টা, জুন ১৭, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।