ঢাকা: শেয়ারবাজারের উন্নয়ন ও স্থিতিশীলতা আনতে আগামী অর্থবছরের চূড়ান্ত বাজেটে ২৫ হাজার কোটি টাকা বিশেষ ফান্ড বরাদ্দ দেওয়ার দাবি জানিয়েছে পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী সম্মিলিত জাতীয় ঐক্য।
এজন্য বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান বরাবর ১০ দফা সুপারিশ করেছে সংগঠনটি।
বুধবার সংগঠনের সভাপতি মো. রুহুল আমিন আকন্দ বিএসইসির দপ্তরে এসব সুপারিশ দাখিল করেন।
সুপারিশগুলোর মধ্যে রয়েছে- ব্যক্তি শ্রেণ্রির শেয়ার লেনদেনের ওপর উৎসে করারোপ প্রত্যাহার ও নগদ লভ্যাংশ আয়ের করমুক্ত সীমা ৫০ হাজার টাকায় উন্নীত করা, ঘনঘন আইপিও, আরপিও, রাইট ইস্যু বন্ধ; ওভার দ্য কাউন্টার (ওটিসি) মার্কেটের কোম্পানিগুলোকে দ্রুত মূল মার্কেটে ফিরিয়ে আনা; আইপিও, আরপিও, রাইট ইস্যুর মাধ্যমে উত্তোলিত অর্থ সঠিকভাবে ব্যয় হচ্ছে কি-না তা তদারকির জন্য একটি কেন্দ্রীয় টাক্সফোর্স গঠন; বিনিয়োগকারীদের নগদ লভ্যাংশের ওপর উৎসে করসহ দ্বৈত কর সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাহার; নগদ লভ্যাংশের টাকা এজিএম অনুষ্ঠিত হওয়ার সাত দিনের মধ্যে ব্যাংক হিসাবে পাঠানো; ব্যক্তি বিনিয়োগকারীর শেয়ার কেনা-বেচার ক্ষেত্রে বছরে ১০ লাখ টাকা মুনাফার ক্ষেত্রে তিন শতাংশ ও ২০ লাখ টাকার বেশি হলে ৫ শতাংশ করারোপ প্রত্যাহার; পুঁজিবাজারের ওপর ব্যাংলাদেশ ব্যাংকের অযাচিত হস্তক্ষেপ বন্ধ করা; সিঙ্গেল পার্টি এক্সপোজার লিমিট বা ঋণ সমন্বয়ের সীমা আরও পাঁচ বছর বাড়ানো; সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংক সিআরআর বাড়িয়েছে তা কমিয়ে আনা; এসএলআর কমানো, অবিলম্বে ফিন্যান্সিয়াল রিপোটিং অ্যাক্ট ও বাইব্যাক আইন প্রণয়ন ও দ্রুত বাস্তবায়ন করা।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৪ ঘণ্টা, জুন ২৫, ২০১৪