ঢাকা: গত সপ্তাহে দেশের দুই শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) মিশ্র প্রবণতা লক্ষ্য করা গেছে। সপ্তাহজুড়ে ডিএসই ও সিএসইর লেনদেন কমেছে।
ব্যাংক হলিডের কারণে গত মঙ্গলবার উভয় শেয়ারবাজার বন্ধ ছিল।
গত সপ্তাহে টাকার হিসাবে ডিএসইতে লেনদেন কমেছে ১৪৯ কোটি ৭০ লাখ ৩৭ হাজার ৯৩০ টাকা এবং সিএসইতে লেনদেন কমেছে ১৯ কোটি ৫৩ লাখ ১০ হাজার ৬৪২ টাকা।
অন্যদিকে, সপ্তাহজুড়ে ডিএসই-৩০ ও ডিএসইএক্স সূচক বাড়লেও ডিএসই শরীয়াহ সূচক কমেছে। ডিএসইএক্স সূচক বেড়েছে ২৬ দশমিক ৭৮ পয়েন্ট ও ডিএসই-৩০ সূচক ৫ দশমিক ২৯ পয়েন্ট। তবে ডিএসই শরীয়াহ সূচক কমেছে ৩ দশমিক ৩১ পয়েন্ট।
এদিকে সিএসইর সব সূচক বৃদ্ধি পেয়েছে। এর মধ্যে সিএসসিএক্স সূচক বেড়েছে ৬২ পয়েন্ট, সিএসই-৩০ সূচক ১২৮ পয়েন্ট এবং সিএএসপিআই সূচক বৃদ্ধি পেয়েছে ৭৫ পয়েন্ট।
গত সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রোববার ডিএসইর সাধারণ সূচক (ডিএসইএক্স) ছিল ৪ হাজার ৪০৯ দশমিক ৪৩ পয়েন্ট। সপ্তাহ শেষে বৃহস্পতিবার সূচক বেড়ে দাঁড়ায় ৪ হাজার ৪৩৬ দশমিক ২১ পয়েন্টে।
অর্থাৎ সপ্তাহ ব্যবধানে সূচক (ডিএসইএক্স) বেড়েছে ২৬ দশমিক ৭৮ পয়েন্ট বা ০ দশমিক ৬১ শতাংশ।
এদিকে, গত সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রোববার সিএসইর সিএসসিএক্স সূচক ছিল ৮ হাজার ৪০১ পয়েন্টে। সপ্তাহ শেষে বৃহস্পতিবার সূচক বেড়ে দাঁড়ায় ৮ হাজার ৪৬৩ পয়েন্টে।
অর্থাৎ সপ্তাহ ব্যবধানে সিএসসিএক্স সূচক বৃদ্ধি পেয়েছে ৬২ পয়েন্ট বা ০ দশমিক ৭৩ শতাংশ।
গত সপ্তাহের অধিকাংশ কার্যদিবসেই ডিএসই ও সিএসইর সূচক ওঠানামা করেছে। এছাড়া বৃদ্ধি পেয়েছে ডিএসই ও সিএসইতে লেনদেন হওয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিটের দাম।
গত সপ্তাহে ডিএসইতে মোট লেনদেন কমেছে ১০ দশমিক ৪২ শতাংশ। লেনদেন হয়েছে মোট এক হাজার ২৮৭ কোটি ৪ লাখ ৮ হাজার ১৩৭ টাকা। এর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল এক হাজার ৪৩৬ কোটি ৭৪ লাখ ৪৬ হাজার ৬৭ টাকা।
গত সপ্তাহের ৪ কার্যদিবসে ডিএসইর ৩০৭টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দাম বেড়েছে ১৩৭টির, কমেছে ১৪০টির ও অপরিবর্তিত ছিল ২৮টির দাম। লেনদেন হয়নি ২টি প্রতিষ্ঠানের।
এর আগের সপ্তাহে ৫ কার্যদিবসে লেনদেন হওয়া প্রতিষ্ঠাগুলোর মধ্যে দাম বেড়েছিল ২১০টির, কমেছে ৭৯টির ও অপরিবর্তিত ছিল ১৬টির দাম। লেনদেন হয়নি ২টি প্রতিষ্ঠানের।
ডিএসই ও সিএসইর ওয়েবসাইট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
এদিকে গত সপ্তাহে মোট ৪ কার্যদিবসে ডিএসইর দৈনিক গড় লেনদেন বেড়েছে। এ সপ্তাহে দৈনিক গড় দাঁড়ায় ৩২১ কোটি ৭৬ লাখ ২ হাজার ৩৪ টাকা। এর আগের সপ্তাহে গড় লেনদেন ছিল ২৮৭ কোটি ৩৪ লাখ ৮৯ হাজার ২১৩ টাকা।
অর্থাৎ গত সপ্তাহে এর আগের সপ্তাহের চেয়ে গড় লেনদেন বৃদ্ধি পেয়েছ ১১ দশমিক ৯৮ শতাংশ।
এছাড়া ডিএসইতে কমেছে শেয়ার লেনদেনের পরিমাণ। গত সপ্তাহে ডিএসইতে মোট ৩২ কোটি ৬ লাখ ৮২ হাজার ৬৪৪টি শেয়ার হাতবদল হয়েছে। যেখানে গত সপ্তাহের আগের সপ্তাহে ছিল ৩৫ কোটি ৮৫ লাখ ৬ হাজার ৭৫২টি। সুতরাং গত সপ্তাহে শেয়ার লেনদেন কমেছে ১০ দশমিক ৫৫ শতাংশ।
সাপ্তাহিক দাম বাড়ার ভিত্তিতে ডিএসইর শীর্ষ দশ কোম্পানি হলো- ফাইন ফুড (২১ দশমিক ৯৯ শতাংশ), স্টাইলক্রাফট (১৩ দশমিক ৩৩ শতাংশ), ন্যাশনাল ব্যাংক (১২ দশমিক ৫০ শতাংশ), প্রিমিয়ার ব্যাংক (১১ দশমিক ৯৬ শতাংশ, অ্যাপোলো ইস্পাত (১০ দশমিক ৬২ শতাংশ), লিগ্যাসি ফুটওয়্যার (১০ দশমিক ০৮ শতাংশ), বিএটিবিসি (৯ দশমিক ৯০ শতাংশ), বেক্সিমকো লিমিটেড (৯ দশমিক ৬২ শতাংশ), বিচ হ্যাচারি (৮ দশমিক ৮৬ শতাংশ) এবং জিবিবি পাওয়ার (৮ দশমিক ৩৩ শতাংশ)।
অন্যদিকে সপ্তাহ শেষে দাম কমার ভিত্তিতে ডিএসইর শীর্ষ কোম্পানিগুলো হলো- মেঘনা লাইফ ইন্স্যুরেন্স (১৩ দশমিক ৬৭ শতাংশ), সন্ধানী লাইফ ইন্স্যুরেন্স (১০ দশমিক ০৯ শতাংশ), জেমিনি সি ফুড (৭ দশমিক ৮৫ শতাংশ), এআইবিএল ফাস্ট ইসলামী মি. ফান্ড (৬ দশমিক ৯৪ শতাংশ), সেন্ট্রাল ইন্স্যুরেন্স (৬ দশমিক ৬৯ শতাংশ), ন্যাশনাল লাইফ ইন্স্যুরেন্স (৬ দশমিক ৪৩ শতাংশ), অ্যাকটিভ ফাইন কেমিকেল (৬ দশমিক ৩৭ শতাংশ), মুন্নু স্ট্যাফলার্স (৫ দশমিক ৮৮ শতাংশ), বেক্সিমকো ফার্মা (৫ দশমিক ৮৩ শতাংশ) এবং ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্স (৫ দশমিক ৬১ শতাংশ)।
বাংলাদেশ সময়: ১১৫৮ ঘণ্টা, জুলাই ০৫, ২০১৪/ আপডেটেড : ১২৩২ ঘণ্টা
গত সপ্তাহের অধিকাংশ কার্যদিবসেই ডিএসই ও সিএসই’র সূচক ওঠানামা করেছে। এছাড়া বৃদ্ধি পেয়েছে ডিএসই ও সিএসইতে লেনদেন হওয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিটের দাম।
গত সপ্তাহে ডিএসইতে মোট লেনদেন বৃদ্ধি পেয়েছে দশমিক ২ দশমিক ৮৫ শতাংশ। লেনদেন হয়েছে মোট এক হাজার ২৮৭ কোটি ৪ লাখ ৮ হাজার ১৩৭ টাকা। এর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল এক হাজার ৪৩৬ কোটি ৭৪ লাখ ৪৬ হাজার ৬৭ টাকা।
গত সপ্তাহের ৫ কার্যদিবসে ডিএসইর ৩০৭টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দাম বেড়েছে মাত্র ১৩৭টির, কমেছে ১৪০টির ও অপরিবর্তিত ছিল ২৮টির দাম। লেনদেন হয়নি ২টি প্রতিষ্ঠানের।
এর আগের সপ্তাহে লেনদেন হওয়া প্রতিষ্ঠাগুলোর মধ্যে দাম বেড়েছিল ২১০টির, কমেছে ৭৯টির ও অপরিবর্তিত ছিল ১৬টির দাম। লেনদেন হয়নি ২টি প্রতিষ্ঠানের।
ডিএসই ও সিএসই’র ওয়েবসাইট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
এদিকে মোট ৪ কার্যদিবসে ডিএসই’র দৈনিক গড় লেনদেন বৃদ্ধি পেয়েছে। গত সপ্তাহে দৈনিক গড় দাঁড়ায় ৩২১ কোটি ৭৬ লাখ ২ হাজার ৩৪ টাকা। এর আগের সপ্তাহে গড় লেনদেন ছিল ২৮৭ কোটি ৩৪ লাখ ৮৯ হাজার ২১৩ টাকা।
অর্থাৎ গত সপ্তাহে এর আগের সপ্তাহের চেয়ে গড় লেনদেন বৃদ্ধি পেয়েছ ১১ দশমিক ৯৮ শতাংশ।
এছাড়া ডিএসইতে কমেছে শেয়ার লেনদেনের পরিমাণ। গত সপ্তাহে ডিএসইতে মোট ৩২ কোটি ৬ লাখ ৮২ হাজার ৬৪৪টি শেয়ার হাতবদল হয়েছে। যেখানে গত সপ্তাহের আগের সপ্তাহে ছিল ৩৫ কোটি ৮৫ লাখ ৬ হাজার ৭৫২টি। সুতরাং গত সপ্তাহে শেয়ার লেনদেন কমেছে ১০ দশমিক ৫৫ শতাংশ।
সাপ্তাহিক দাম বাড়ার ভিত্তিতে ডিএসইর শীর্ষ দশ কোম্পানি হলো- ফাইন ফুড (২১ দশমিক ৯৯ শতাংশ), স্টাইলক্রাফট (১৩ দশমিক ৩৩ শতাংশ), ন্যাশনাল ব্যাংক (১২ দশমিক ৫০ শতাংশ), প্রিমিয়ার ব্যাংক (১১ দশমিক ৯৬ শতাংশ, অ্যাপোলো ইস্পাত (১০ দশমিক ৬২ শতাংশ), লিগ্যাসি ফুটওয়্যার (১০ দশমিক ০৮ শতাংশ), বিএটিবিসি (৯ দশমিক ৯০ শতাংশ), বেক্সিমকো লিমিটেড (৯ দশমিক ৬২ শতাংশ), বিচ হ্যাচারি (৮ দশমিক ৮৬ শতাংশ) এবং জিবিবি পাওয়ার (৮ দশমিক ৩৩ শতাংশ)।
অন্যদিকে সপ্তাহ শেষে দাম কমার ভিত্তিতে ডিএসইর শীর্ষ কোম্পানিগুলো হলো- মেঘনা লাইফ ইন্সুরেন্স (১৩ দশমিক ৬৭ শতাংশ), সন্ধানী লাই ইন্সুরেন্স (১০ দশমিক ০৯ শতাংশ), জেমিনি সি ফুড (৭ দশমিক ৮৫ শতাংশ), এআইবিএল ফাস্ট ইসলামী মি. ফান্ড (৬ দশমিক ৯৪ শতাংশ), সেন্ট্রাল ইন্সুরেন্স (৬ দশমিক ৬৯ শতাংশ), ন্যাশনাল লাইফ ইন্সুরেন্স (৬ দশমিক ৪৩ শতাংশ), অ্যাকটিভ ফাইন কেমিকেল (৬ দশমিক ৩৭ শতাংশ), মুন্নু স্টাফলারস (৫ দশমিক ৮৮ শতাংশ), বেক্সিমকো ফার্মা (৫ দশমিক ৮৩ শতাংশ) এবং ডেল্টা লাইফ ইন্সুরেন্স (৫ দশমিক ৬১ শতাংশ)।
বাংলাদেশ সময়: ১১৫৮ ঘণ্টা, জুলাই ০৫, ২০১৪