ঢাকা: পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) মঙ্গলবারের (অক্টোবর ০৪) সভায় সামিট পাওয়ার লিমিটেডের শেয়ারের লেনদেন চালুর বিষয়ে সিদ্ধান্ত হতে পারে। চলতি সপ্তাহে শুরু হতে পারে লেনদেন।
কোম্পানিটিকে একীভূতকরণ প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে সামিট পূর্বাঞ্চল পাওয়ার কোম্পানির (এসপিপিসিএল) তালিকাচ্যুতিতে যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ না করায় গত ২৭ আগস্ট অনির্দিষ্টকালের জন্য সামিটের শেয়ার লেনদেন স্থগিত করে দেশের উভয় স্টক এক্সচেঞ্জ।
এ সংক্রান্ত বিএসইসির তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন জমার পর বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে কোম্পানিটির লেনদেনের ওপর স্থগিতাদেশ প্রত্যাহারের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিএসইসি’র নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. সাইফুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, কমিশন সভায় লেনদেন চালুর বিষয়ে সিদ্ধান্ত হতে পারে। তবে এনর্ফোসমেন্টের বিষয়টি ‘অন গোয়িং প্রসেসে’ রয়েছে।
জানা গেছে, এসপিপিসিএল তালিকাচ্যুত হয়ে সামিট পাওয়ারে একীভূত হলেও সামিট যথাসময়ে নিয়ন্ত্রক সংস্থার কাছ থেকে একীভূতকরণ প্রক্রিয়ার বিপরীতে মূলধন বাড়ানোর অনুমোদন নেয়নি। এ জটিলতায় এসপিপিসিএল তালিকাচ্যুত হয়ে গেলেও এর শেয়ারহোল্ডাররা সামিট পাওয়ারের শেয়ার বুঝে পাননি। এদিকে স্টক এক্সচেঞ্জও আগের ধারাবাহিকতা অনুসরণ করে একীভূতকরণের অংশ হিসেবে এসপিপিসিএলকে তালিকাচ্যুত করে।
এরপর সামিট পাওয়ার কর্তৃপক্ষ পরিশোধিত মূলধন বৃদ্ধির আবেদন জানিয়েছে। আরএজএসসিতে সম্পদ মূল্যায়নে ভ্যালুয়ারের প্রতিবেদন জমাও দিয়েছে। এ-সংক্রান্ত প্রাপ্তি স্বীকারপত্রও হাতে পেয়েছে কোম্পানিটি।
একীভূতকরণ প্রক্রিয়ায় আদালতের আদেশ অনুযায়ী, সবকিছু পরিপালন হলে দ্রুতই কমিশন সামিট পাওয়ারকে মূলধন বৃদ্ধির অনুমতি দিতে পারে। এরপর এসপিপিসিএলের শেয়ারহোল্ডারদের নামে সামিট পাওয়ারের শেয়ার ইস্যু হলেই লেনদেনে স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার হবে।
এ বিষয়ে কোম্পানিটি জানিয়েছে, মূলধন বৃদ্ধির অনুমতিপ্রাপ্তির পর এক-দুদিনের মধ্যে এসপিপিসিএলের শেয়ারহোল্ডারদের বিও হিসাবে শেয়ার বিতরণ সম্পন্ন করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৩, ২০১৬
এমএফআই/এমজেএফ/