ঢাকা: পুঁজিবাজারকে গতিশীল রাখতে সিডিবিএলের চার্জ কমানো এবং পোস্ট ক্লোজিং ট্রেডিং অর্থাৎ নির্ধারিত সময়ের পর আরো ১৫ মিনিট লেনদেনের সুবিধা দেওয়াসহ একগুচ্ছ প্রস্তাব করেছেন ডিএসই’র শীর্ষ ব্রোকারেজ হাউজগুলোর এমডি ও সিইওরা।
বিষয়টি বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেছেন ডিএসইর পরিচালক শাকিল রিজভী।
বুধবার (০৫ অক্টোবর) বিকেল ৩টায় দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) পরিচালনা পরিষদের সঙ্গে পুঁজিবাজার উন্নয়ন এবং গতিশীল রাখতে করণীয় শীষর্ক আলোচনা সভায় এ প্রস্তাবনা তুলে ধরা হয়।
ডিএসই’র বোর্ড রুমে অনুষ্ঠিত সভায় উপস্থিত ছিলেন ডিএসইর চেয়ারম্যান, এমডি এবং তিন শেয়ারহোল্ডার পরিচালক।
অন্য প্রস্তাবনাগুলো হচ্ছে- বাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানির প্রথম, দ্বিতীয় এবং তৃতীয় প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদনগুলোর সঠিক তথ্য প্রদান নিশ্চিত করার পাশাপাশি ব্রোকারেজ হাউজগুলোকে নতুন করে শাখা খোলার অনুমোদন দেওয়া।
এছাড়াও সভায় বর্তমান বাজারের প্রেক্ষাপটে নেটিং পদ্ধতি চালু, সচেতনতামূলক কর্মসূচি, ভালো মৌলভিত্তিসম্পন্ন আইপিও বাজারে নিয়ে আসা, বাজারের সংকটময় মুহূর্তের জন্য একটি ফান্ড গঠন, স্টক ব্রোকারদের নেতিবাচক মার্জিন ঋণ, বোনাস ডিভিডেন্ডের পরিবর্তে ক্যাশ ডিভিডেন্ড প্রদানকে উৎসাহিতকরণ, বিএসইসি কর্তৃক বিভিন্ন সংস্কারমূলক আইন কানুনের সঠিক বাস্তবায়ন, প্রাতিষ্ঠানিক সুশাসন বাস্তবায়ন ও কোম্পানি ব্যালান্স শিট-এ তথ্যের সঠিক প্রতিফলন, সরকারের হাতে থাকা বিভিন্ন কোম্পানি ও বাংলাদেশে ব্যবসারত বহুজাতিক কোম্পানিগুলোকে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির প্রস্তাব রাখেন তারা।
বৈঠকের শুরুতে পুঁজিবাজার ক্রমেই গতিশীলতার দিকে এগুচ্ছে উল্লেখ করে ডিএসই’র চেয়ারম্যান বিচারপতি ছিদ্দিকুর রহমান মিয়া বলেন, গত জুন মাসে ডিএসইতে গড় লেনদেন ছিল ৩৭০ কোটি টাকা, জুলাই মাসে ছিল ৩৮৬ কোটি, আগস্ট মাসে ছিল ৪৫৮ কোটি এবং সেপ্টেম্বর মাসে তা বৃদ্ধি পেয়ে ৫১১ কোটি টাকায় উন্নীত হয়। একইসঙ্গে সূচকও বৃদ্ধি পায় ১৮৮ পয়েন্ট। এছাড়াও বৈদেশিক বিনিয়োগের ক্ষেত্রেও ২০১৫ সালের প্রথম নয় মাসের তুলনায় ২০১৬ সালের প্রথম ৯ মাসে নেট বিদেশি বিনিয়োগ ৬১৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৪, ২০১৬
এমএফআই/জেডএস