ঢাকা: দুই বারে (সকালে অর্ধেক, বিকেলে অর্ধেক) ২০১৬ সালের প্রথম প্রান্তিকের (জুলাই-সেপ্টেম্বর) অর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করে বিনিয়োগকারীদের বিভ্রান্ত করেছে বিডি থাই অ্যালুমিনিয়াম কোম্পানি লিমিটেড। প্রতিবেদনকে পুঁজি করে একটি গ্রুপ কারসাজি করে ১৬ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
সূত্র মতে, গত মঙ্গলবার সকালে ডিএসই ওয়েবসাইটে ২০১৬ সালের প্রথম প্রান্তিকের (জুলাই-সেপ্টেম্বর) প্রথম অংশের অর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করে কর্তৃপক্ষ। এতে বলা হয়, প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানির ইপিএস দাঁড়িয়েছে ০ দশমিক ৪৬ টাকা, এনওসিএফপিএস (শেয়ার প্রতি কার্যকরী নগদ প্রবাহ) দাঁড়িয়েছে ০ দশমিক ৫৬ পয়সা, এনএভি দাঁড়িয়েছে ৫০ টাকার ২৬ পয়সা।
কিন্তু আগের বছরের একই সময়ে কোম্পানিটির ইপিএস, এনএভি কতো ছিলো তা প্রকাশ করা হয়নি। যা ডিএসইর তালিকাভুক্তির আইনের লঙ্ঘন। নিয়ম অনুসারে, আগের বছরের একই সময়ের ইপিএস ও এনএভি প্রকাশ করতে হয়।
এদিকে কোম্পানির ইপিএস বেড়েছে এ খবরে দিনভর ৭১ লাখ শেয়ার হাত বদল হয়েছে। যা টাকার অংকে প্রায় ১৬ কোটি টাকা। এরপর লেনদেন শেষে বিকেল ৪টার দিকে কোম্পানির পক্ষ থেকে ২০১৫ সালের জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর সময়ের আর্থিক প্রতিবেদনে ইপিএস ০ দশমিক ৩৭ টাকা প্রকাশ করা হয়। এনওসেএফপিএস ০ দশমিক ৫২ টাকা এবং এনএভি ৫০ দমিক ২৪ টাকা প্রকাশ করা হয়।
যা আগের বছরের অর্থাৎ ২০১৫ সালের প্রথম প্রান্তিকের চেয়ে কম। ফলে এ সময়ে কোম্পানির ইপিএস ও এনএনভি বেশি দেখিয়ে একটি কারসাজি গ্রুপ ১৬ কোটি টাকা তুলে নিয়েছে। আর কোম্পানির প্রথমবার প্রকাশিত তথ্য অনুসারে বিনিয়োগ করে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন বিনিয়োগকারীরা।
এ বিষয়ে জানতে কোম্পানির শেয়ার বিভাগের প্রধান আশিকুর রহমান কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
ডিএসইর সংশ্লিষ্ট বিভাগের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে নাম না প্রকাশের শর্তে একাধিক কর্মকর্তা বাংলানিউজকে বলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখতে কোম্পানিকে চিঠি দেওয়া হবে। এরপর চিঠির উত্তরসহ কমিশনে আইন অনুসারে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) শাস্তির জন্য প্রতিবেদন পাঠানো হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১২৪৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৬, ২০১৬
এমএফআই/জেডএস