ফলে অস্তিত্ব সংকটে পড়া মডার্ন ডাইংয়ের ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কায় আছেন বাজার সংশ্লিষ্টরা। তারা বলছেন, বিনিয়োগকারীদের বুঝে-শুনে কোম্পানিটিতে বিনিয়োগ করা উচিৎ।
১৯৮৮ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিটির অফিস দেখ-ভালের দায়িত্বে আছেন হাতেগোনা কয়েকজন কর্মকর্তা-কর্মচারী।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) তথ্যমতে, মডার্ন ডাইং অ্যান্ড স্ক্রিন প্রিন্টিং লিমিটেডের পারচালনা পর্ষদ সম্প্রতি ৩০ জুন সমাপ্ত ২০১৭ অর্থবছরে রিজার্ভ ভেঙ্গে ৮ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। গত বছর ৮ শতাংশ ও ২০১৫ সালে ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে।
কোম্পানিটি এ লভ্যাংশ দিয়েছে কারখানা ভাড়া দিয়ে সে আয় থেকে।
মডার্ন ডাইং কর্তৃপক্ষ জানান, রাজধানীর তেজগাঁওয়ে তাদের কারখানায় ইটিপি না থাকায় পরিবেশ অধিদফতর পরিবেশের বিষয়ে ছাড়পত্র দিচ্ছে না। পরিবেশ দূষণের দায়ে কারখানার কার্যক্রমও বন্ধ করে দেয় স্থানীয় প্রশাসন। এরপর থেকে গত কয়েক বছর ধরে উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। তারা ইটিপি স্থাপন করতে পারছেন না। আর ইটিপি না থাকায় কোম্পানিও চালু হচ্ছে না।
ফলে মডার্ন ডাইংয়ের কারখানাটি এখন শ্রমিকদের কাজের পরিবর্তে গোডাউনে পরিণত হয়েছে। এসিআই কোম্পানিকে মালামাল রাখতে ও স্বপ্ন সুপার শপকে ভাড়া দেওয়া হয়েছে। সেখানে ব্যবসা করছে প্রতিষ্ঠান দু’টি। ভাড়া বাবদ যে টাকা আয় হচ্ছে, তা খরচের পর রিজার্ভে রাখা হচ্ছে। আর তা থেকেই লভ্যাংশ দেওয়া হচ্ছে।
কোম্পানির শেয়ার বিভাগের ম্যানেজার কামাল হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, ইটিপি না থাকায় কারখানায় উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। এখন কারখানা এসিআইকে ভাড়া দেওয়া হয়েছে। ভাড়া থেকে যে অর্থ আসে, তা কোম্পানির কাজে লাগানো হচ্ছে।
ফের উৎপাদনে আসবেন কি-না- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, উৎপাদনে আসা নিয়ে বর্তমান পর্ষদ চিন্তা করছেন না। কারণ, এখানে ইটিপি করার মতো ব্যবস্থা নেই।
কোম্পানির উদ্যোক্তা-পরিচালকদের হাতে ৬৪ দশমিক ৯৬ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের হাতে ৫ দশমিক ১১ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে রয়েছে ২৯ দশমিক ৯৩ শতাংশ শেয়ার। সর্বশেষ মডার্ন ডাইংয়ের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১৮৪ টাকা দরে।
বাংলাদেশ সময়: ১২০০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৬, ২০১৭
এমএফআই/এএসআর