অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সূচক কমেছে ১০২ পয়েন্ট। সূচকের পাশাপাশি কমেছে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম ও বাজার মূলধনও।
এর ফলে টানা তিন কার্যদিবস সূচক পতন হলো। তবে তার আগের ছয় কার্যদিবস সূচক বেড়েছিলো।
বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, রোববারের মতো সোমবারও ব্যাংক-বিমা, আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং বস্ত্র খাতের বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে।
এর ফলে টানা তিন কার্যদিবসে ডিএসইতে সূচক কমলো ৯২ পয়েন্টে। পাশাপাশি লেনদেনও ৫শ’ কোটি টাকা থেকে নেমে ৪শ’ কোটির ঘরে চলে এসেছে।
ডিএসই’র তথ্য মতে, সোমবার বাজারে ১২ কোটি ৮৮ লাখ ৩৩ হাজার ৫৬২টি সিকিউরিটিজের হাতবদল হয়েছে। এতে লেনদেন দাঁড়িয়েছে ৪৭৭ কোটি ৫৫ লাখ ৬৩ হাজার টাকা। এর আগের দিন লেনদেন হয়েছিলো ৪৮৫ কোটি ৩৭ হাজার টাকার। তার আগের কার্যদিবস বৃহস্পতিবার লেনদেন হয়েছিলো ৫১৮ কোটি ৭৬ লাখ ৪১ হাজার টাকা।
তিন সূচকে পথচলা ডিএসই’র ব্রড ইনডেক্স আগের কার্যদিবসের চেয়ে ৫৭ দশমিক ৯১ পয়েন্ট কমে ৬ হাজার ২১০ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। প্রধান সূচকের পাশাপাশি ডিএস-৩০ মূল্যসূচক ২১ পয়েন্ট কমে ২ হাজার ২৬১ পয়েন্ট এবং ডিএসইএক্স শরিয়াহ সূচক ৮ দশমিক ২৩ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৩৯৪ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৬৭টির, কমেছে ২১৩টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৫৪টির।
অপরদিকে সিএসইতে সার্বিক সূচক আগের কার্যদিবসের চেয়ে ১০২ দশমিক ১৬ পয়েন্ট কমে ১১ হাজার ৬১৮ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
এ বাজারে লেনদেন হয়েছে ৪০ কোটি ১১ লাখ ৯৭ হাজার ৬৯৭ টাকা। এর আগের দিন লেনদেন হয়েছিলো ২৪ কোটি ২৫ লাখ ১৭ হাজার ৪৪৩ টাকার। তার আগের কার্যদিবস লেনদেন হয়েছিলো ২১ কোটি ৬৯ লাখ ৮৭ হাজার ৫৪৩ টাকা।
সিএসইতে লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৫৩টির, কমেছে ১৪১টির ও অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৮টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৮, ২০১৮
এমএফআই/জেডএস