ডিএসইর তথ্য মতে, চলতি বছরের এপ্রিল থেকেই প্রবাসী ও বিদেশি বিনিয়োগকারীদের শেয়ার বিক্রির ‘হিড়িক’ পড়ে। যা অব্যাহত ছিল গত আগস্ট পর্যন্ত।
শুধু তাই নয়, আলোচিত এ মাসে ২১২ কোটি ৩৪ লাখ ৪ হাজার ৩৫ টাকার শেয়ার বিক্রি বিপরীতে ২৪৭ কোটি ৫০ লাখ ৫০ হাজার ৮৩৬ টাকার শেয়ার কিনেছেন বিদেশিরা। যা আগস্টের তুলনায় ৬৬ কোটি টাকা বেশি।
আগস্টে ১৮১ কোটি ৭৬ লাখ ৫০ হাজার ৪২৩ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছেন। তার বিপরীতে শেয়ার কিনেছিলেন ১৭৬ কোটি ১ লাখ ৮০ হাজার ১৮৪ টাকার। এর আগের মাস জুলাইয়ে বিদেশিরা শেয়ার কিনেছেন ৪১২ কোটি ৪ লাখ ১৯ হাজার ৪৫১ টাকার। তার বিপরীতে বিক্রি করেছেন ৪৪৪ কোটি ৭৪ লাখ ৮২ হাজার ৮১৩ টাকার। তারও আগের মাস জুনে ৪৪৬ কোটি ৫৭ লাখ ৬৯ হাজার ৫৮৮ টাকার শেয়ার বিক্রির বিপরীতে ৬৫৩ কোটি ২৯ লাখ ৩ হাজার ৯৬০ টাকার শেয়ার কিনেছিলেন তারা।
একই ভাবে চলতি বছরের এপ্রিল থেকে শেয়ার বিক্রি করে আসছেন বিদেশিরা। ফলে ক্রমাগতভাবে কমেছে লেনদেনের পরিমাণও। আর লেনদেন কমায় মুনাফাবঞ্চিত হয়েছে ব্রোকারেজ হাউজ। পাশাপাশি বিপুল পরিমাণ রাজস্ব আয় বঞ্চিত হয়েছে সরকার।
বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দরপতনে পুঁজি হারানোর ভয়ে বিদেশিদের কেউ কেউ শেয়ার বিক্রি করে বাজার ছেড়েছেন। আবার কেউ কেউ বাজার পর্যবেক্ষণ করেছিলেন। ডিএসইতে কৌশলগত বিনিয়োগকারী হিসেবে চীনা কনসোটিয়াম অংশীদার হওয়ার পর বিদেশিদের মধ্যে আস্থা একটু বেড়েছে। এর পাশাপাশি এখনো ভালো কোম্পানির শেয়ারের দাম কম থাকায় বিদেশিরা আবারও পুঁজিবাজারে বিনিয়োগে আগ্রহী হচ্ছেন। এটা বাজারের জন্য পজেটিভ।
এ বিষয়ে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ও বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) সাবেক চেয়ারম্যান ড. এবি মির্জা আজিজুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে এখনো পুঁজিবাজারের বিনিয়োগ নিয়ে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের মধ্যে দোটানা অবস্থা রয়েছে। তবে চীনা জোট ডিএসইতে কৌশলগত বিনিয়োগকারী হিসেবে অংশগ্রহণ করার পর থেকে তাদের মধ্যে আস্থা একটু বেড়েছে। তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, নতুন সরকার গঠনের পর বিনিয়োগ বাড়বে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ০২, ২০১৮
এমআইএফ/এসএইচ