ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

টেনিস

মারে-জোকোভিচের ইউএস ওপেনের চ্যালেঞ্জ

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৫০ ঘণ্টা, জুলাই ২২, ২০১৭
মারে-জোকোভিচের ইউএস ওপেনের চ্যালেঞ্জ অ্যান্ডি মারে ও নোভাক জোকোভিচ, গত জানুয়ারিতে দোহায় আনুষ্ঠানিকভাবে ২০১৭ এটিপি ওয়ার্ল্ড ট্যুর সিজন উদ্বোধন করেছিলেন দু’জন/ছবি: সংগৃহীত

ইউএস ওপেন শুরু হতে আরও ৩৭ দিন বাকি। ইনজুরি উদ্বেগ থাকলেও বছরের চতুর্থ ও শেষ গ্র্যান্ড স্লাম টুর্নামেন্টে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চোখ রাখছেন দুই টেনিস আইকন অ্যান্ডি মারে ও নোভাক জোকোভিচ। দু’জনের সময়টা খুব একটা ভালো যাচ্ছে না।

ঘরের মাটিতে সদ্য সমাপ্ত উইম্বলডন চ্যাম্পিয়নশিপের কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে বিদায়ের ম্যাচে হিপের (নিতম্ব) সমস্যায় ভোগেন ওয়ার্ল্ড নাম্বার ওয়ান মারে। অন্যদিকে, কনুইয়ের ইনজুরিতে শেষ আট থেকে অবসর নিতে বাধ্য হন সাবেক বিশ্বসেরা জোকোভিচ।

দু’জনের সামনে ইউএস ওপেনের আগে নিজেদের ফিট করার চ্যালেঞ্জ। দু’জনের খেলা নিয়ে বড় ধরনের একটা শঙ্কা জেগেছিল। সেরে ওঠার লক্ষ্যে দু’জনই বিশ্রামের জন্য বিরতি নিতে মনস্থ করেছিলেন। কিন্তু আপাতদৃষ্টিতে তারা নিউইয়র্কে পা রাখতে যাচ্ছেন।

ইতোমধ্যেই টুর্নামেন্টের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে পুরুষ এককের তালিকায় উইম্বলডন জয়ী রজার ফেদেরার সহ সব বড় তারকাদের নাম প্রকাশ করেছে আয়োজকরা। ইনজুরি বা অন্য কোনো কারণে কেউ নাম প্রত্যাহার করে নেবে কিনা সেটিই এখন দেখার বিষয়! মৌসুমের শেষ মেজর ইভেন্টটি নিশ্চয়ই মিস করতে চাইবেন না ইনজুরির ধকল সামলানো মারে-জোকোভিচ!

আগামী ২৮ আগস্ট ইউএস ওপেনের ১৩৭তম আসরের পর্দা উঠবে। গতবার ফাইনালে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন জোকোভিচকে হতাশায় ডুবিয়ে শিরোপা উদযাপন করেন ফেদেরারের স্বদেশী সুইস তারকা স্ট্যান ওয়ারিঙ্কা।

র‌্যাংকিংয়ের শীর্ষ পাঁচ যথাক্রমে মারে, রাফায়েল নাদাল, ফেদেরার, জোকোভিচ ও ওয়ারিঙ্কা। ওয়ারিঙ্কা ছাড়া প্রত্যেকেই শীর্ষস্থানের স্বাদ পেয়েছেন। এদের মধ্যে ইউএস ওপেনে সবচেয়ে সফল ১৯ বারের গ্র্যান্ড স্লাম জয়ী ফেদেরার। জোকোভিচ ও নাদাল দু’বার করে এবং ‍মারে ও ওয়ারিঙ্কা একবার করে সেরার আসনে বসেন।

হার্ড কোর্টের মর্যাদাপূর্ণ গ্র্যান্ড স্লাম ইভেন্টটিতে পাঁচবার শিরোপা উঁচিয়ে ধরেন ফেদেরার। তাও আবার একটানা। কিন্তু ২০০৮ আসরের পর আর সাফল্য ধরা দেয়নি। এই মৌসুমে ফর্মের তুঙ্গে থাকা ৩৫ বছর বয়সী ফেদেরারের সামনে খরা ঘোঁচানোর সুবর্ণ সুযোগ। হার্ড কোর্টেই গত জানুয়ারিতে অস্ট্রেলিয়ান ওপেন জিতেছিলেন। মাঝে নিজেকে ফিট রাখতে ফ্রেঞ্চ ওপেনসহ ক্লে-কোর্ট (লাল মাটির কোর্ট) এড়িয়ে যান। সিদ্ধান্তটা যে ভুল ছিল না তার প্রমাণ মেলে উইম্বলডনে। সামনে এখন ‘প্রিয়’ ইউএস ওপেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৫০ ঘণ্টা, ২২ জুলাই, ২০১৭
এমআরএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

টেনিস এর সর্বশেষ