তিনি বলেন, বাংলাদেশের পর্যটন শিল্প নিশ্চিতভাবে এগিয়ে যাচ্ছে এবং দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও কর্মসংস্থানে এ শিল্প বিরাট অবদান রেখে চলেছে। গত বছর ৯৯ লাখ পর্যটক ডোমেস্টিক ট্যুরিজমের মাইলফলক ঘটিয়েছে।
তাবেলা সিজার ও হোসিও কুনি হত্যা এবং হলি আর্টিজানের মতো ট্যাজেডিকে পেছনে ফেলে বিদেশি পর্যটকের ক্ষেত্রেও আশাব্যঞ্জক উন্নতি ঘটেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ছয় লাখেরও বেশি বিদেশি পর্যটক গত বছর বাংলাদেশে এসেছে।
বুধবার (৩ মে) সকালে রাজধানীর হোটেল অবকাশে এটিজেএফবি আয়োজিত প্রি-বাজে ডিসকাসনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন মন্ত্রী।
জাতিসংঘের ট্যুরিজম বিষয়ক অঙ্গসংগঠন ইউএনডব্লিউটিও, ওয়ার্ল্ড ট্রাভেল অ্যান্ড ট্যুরিজম কাউন্সিলের রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০১৫ সালে বাংলাদেশের পর্যটন খাতে প্রত্যক্ষ কর্মসংস্থান হয়েছে ১১ লাখ ৩৮ হাজার ৫০০টি। পরোক্ষ কর্মসংস্থান হয়েছিল ২৩ লাখ ৪৬ হাজার। যা মোট কর্মসংস্থানের ৪ দশমিক ১ শতাংশ।
ওয়ার্ল্ড ট্রাভেল অ্যান্ড ট্যুরিজম কাউন্সিলের পূর্বাভাস হচ্ছে, পরবর্তী বছরে এটি আরও ২ দশমিক ৩ শতাংশ বেড়ে এবং গড়ে ১ দশমিক ৯ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পেয়ে ২০২৬ সালে ২৮ লাখ ৯৪ হাজারে পৌঁছাবে।
আলোচনায় অংশ নেন- অর্থ প্রতিমন্ত্রী ড. এম এ মান্নান, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি কর্নেল (অব.) ফারুক খান, বিপিসি’র চেয়ারম্যান অপরূপ চৌধুরী, বিটিবির প্রধান নির্বাহী পরিচালক ড. নাসির উদ্দিন, টোয়াব প্রেসিডেন্ট তৌফিক উদ্দিন আহমেদ ও ট্রিয়াব প্রেসিডেন্ট খবির উদ্দিন প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে প্রবন্ধ পাঠ করেন জার্নি প্লাসের সিইও তৌফিক রহমান, নভোএয়ারের এমডি মফিজুর রহমান, আটাবের যুগ্ম মহাসচিব আব্দুস সালাম আরিফ।
সভায় এভিয়েশন ও পর্যটন শিল্পের বিকাশে শুল্কমুক্ত ট্যুরিস্ট গাড়ি আমদানি, ট্রানজিট ট্যাক্স প্রত্যাহার, এয়ার টিকিটের ওপর ভ্যাট প্রত্যাহার, বিমানের ফুয়েল প্রাইস হ্রাস, অ্যারোনটিকেল এবং নন অ্যারোনটিকেল সার্জ কমানো, পর্যটনকে সিএস আর এ অন্তর্ভুক্ত করাসহ বিভিন্ন দাবি উত্থাপন করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩৮ ঘণ্টা, মে ০৩, ২০১৭
আরবি/এসএইচ