ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

পর্যটন

ট্যুরিজম বোর্ডের নতুন যাত্রার কথা শোনালেন সিইও

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৬৩১ ঘণ্টা, মে ৯, ২০১৭
ট্যুরিজম বোর্ডের নতুন যাত্রার কথা শোনালেন সিইও ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী ড. নাসির উদ্দিন

ঢাকা: প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বলে আলাদা ভাব নেই। তার কক্ষে প্রবেশে অনুমতির আনুষ্ঠানিকতা পোহাতে হয়নি। সরকারি আমলা বলে আলাদা থাকার মানসিকতার নন তিনি। খোলামেলা কথাবার্তাই তার বৈশিষ্ট্য। শুক্র ও শনিবার ছুটিতে থাকার অপেক্ষা নিয়ে বসে থাকেন না। প্রয়োজনে ছুটির দিনেও কাজ করবেন- এমন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এখন পর্যটন বোর্ডে।

তিনি ড. মো. নাসির উদ্দিন। গত ফ্রেব্রুয়ারি থেকে ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) হিসেবে যোগ দিয়েছেন।

এর আগে তিনি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্ব (পিপিপি) অথরিটির মহাপরিচালক ছিলেন।

এক সপ্তাহ আগে বাংলানিউজের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে ট্যুরিজম বোর্ডে পরিবর্তন এনে নতুন যাত্রার কথা শুনিয়েছেন ড. নাসির। সাক্ষাৎকারের জন্য আগে থেকে সময় নেওয়া হয়নি। তারপরও যাওয়া মাত্রই তার সাক্ষাৎ পেতে দেরি হয়নি।

তথ্যপ্রযুক্তি বান্ধব ড. নাসির সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও সক্রিয়। বোর্ডে দায়িত্ব পেয়েই এ সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে বসেছেন। গুরুত্ব দিচ্ছেন বেসরকারি খাতকে। তার ভাষায়, বেসরকারি খাতের সহযোগিতা ও মিলিত প্রচেষ্টা ছাড়া দেশের পর্যটন এগিয়ে নেওয়া সম্ভব নয়।

এরই মধ্যে বেশকিছু সমস্যা চিহ্নিত করছেন বোর্ড সিইও। বোর্ডকে পুনর্গঠনের চিন্তাভাবনা করছেন তিনি। দেশের পর্যটন শিল্পকে এগিয়ে নিতে তার চিন্তা ও কথা পরিষ্কার। পর্যটন বোর্ডে এসেই তিনি চিহ্নিত করে ফেলেছেন এখানকার নানা সমস্যা। শোনালেন, নতুন যাত্রার কথা।

এই নতুন যাত্রাটা কেমন? সেই প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছিলেন ড. নাসির। বললেন, আইসিটি, ডিজাইন, প্লানিং এবং ইঞ্জিনিয়ারিং সেক্টরের লোক দরকার এখানে। যা আগস্টের মধ্যে নিয়ে এসে এক নতুন যাত্রা শুরু করবে পর্যটন বোর্ড।

তিনি বলেন, আগস্টের ভেতরে নতুন কিছু লোক পাবো। তখন নতুন যাত্রা হবে। এখানে প্লানিংয়ের কোনো সেক্টর রাখা হয়নি। আইসিটি ও ডিজাইনের লোক দরকার।

২০১০ সালে যাত্রার শুরুর পর থেকে এখনও সাংগঠনিক কাঠামো দাঁড় হয়নি। অফিসার দিয়ে পরিচালনা হচ্ছে। নিজস্ব ফ্যামিলির (পর্যটন খাতের) লোক নেই –বলছিলেন তিনি।

ড. নাসির মনে করেন, বেসরকারি খাতের সঙ্গে মিলিয়ে এগিয়ে নেওয়া ছাড়া বিকল্প নেই।   প্রতিটি ক্ষেত্রে বেসরকারি খাতের সঙ্গে মিশে কাজ করতে হবে। বেসরকারি উদ্যোক্তারা বিদেশি পর্যটকের দৃষ্টি কাড়তে কোনো কোনো দেশে যেতে চান। কোন দেশ থেকে বিজনেস আনা যায়। কোথায় আমরা বেস্ট রেজাল্ট পাবো-এগুলোই ভাবতে হবে।

ড. নাসির জানান, আমরা পর্যটন সংশ্লিষ্ট বেসরকারি খাতের বিভিন্ন আয়োজন অনুষ্ঠানে একিভূত হয়ে যাচ্ছে। একসঙ্গে মিলিত প্রচেষ্ট চালাচ্ছি। উদাহরণ হিসেবে সাম্প্রতিক ‘ঢাকা ট্রাভেল মার্ট’ ইয়ুথ ফেস্ট ও ট্রাভেল ফেয়ারের কথা উল্লেখ করেন তিনি। যেগুলোর উদ্যোগ এসেছে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে তারপর তার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে পর্যটন বোর্ড।

তিনি বলেন, সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে শনিবার ছুটি দরকার- আমি এই সুযোগ নিতে চাই না।

রেলে বিদেশি নাগরিকদের অগ্রাধিকার নেই, টিকিট সুবিধা নেই জানানোর পর সিওই তাৎক্ষণিক একটি পদক্ষেপ নেন। সাক্ষাৎকার নেয়ার সময়ই বোর্ডের এক  কর্মকর্তাকে ডেকে এনে বলেন, রেলপথ মন্ত্রণালয়ে চিঠি লিখতে। সঙ্গে এ প্রতিবেদকে বলে দেন, আরও দুই মাস পরে খবর নেবেন রেলের সঙ্গে আলোচনা কত দূর।

তিনি বলেন, রেলের ডিজি-এডিজিকে ফোন করলে এমন কী ক্ষতি? আমাদের দৃষ্টিভঙ্গির সংকীর্ণতা দূর করতে হবে। এটা আমার সেক্টর না আমি কথা বলবো না। আমি সচিব আমি অমুকের সঙ্গে এভাবে কথা বলতে পারি না। আমি এই আমলাতন্ত্রে বিশ্বাসী নই। আমরা প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী মানুষের কর্মচারী।

ড. নাসির মনে করেন, ট্যুরিজমের সেক্টরের ভবিষ্যত অগ্রগতি অবশ্যম্ভাবী। প্রাইভেট পাবলিক মিলেই এটা করতে হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১২২৯ ঘণ্টা, মে ১০, ২০১৭
এসএ/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।