শনিবারও (২৫ আগস্ট) সমুদ্র শহর পর্যটকে টইটুম্বুর। শহরের ৫ শতাধিক হোটেল, মোটেল, কটেজ ও ফ্লাটের প্রতিটি কক্ষই বুকিং।
পর্যটন সূত্র জানায়, শনিবার শহরের ৫ শতাধিক হোটেল, মোটেল, রিসোর্টে কমপক্ষে ২ লাখ পর্যটক অবস্থান করছে।
এ বিষয়ে হোটেল মোটেল ও রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির মুখপাত্র মো. কলিম উল্লাহ বলেন, রাতে বাসে ও সকালে বিমানে অধিকাংশ পর্যটক কক্সবাজার ছাড়বেন। রোববার ভোরে নতুন করে পর্যটক আসবেন।
তিনি বলেন, এখনো পর্যন্ত সবকিছু অনুকূলে রয়েছে। তাই আমরা আমাদের ৪০০ কোটি টাকার ব্যবসার টার্গেট পূরণ হবে আশা করছি। শনিবার বিকেল ৪টায় সমুদ্র সৈকতের লাবনী পয়েন্টে গিয়ে দেখা যায়, সমুদ্র সৈকতের ৪ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে শুধু মানুষ। কেউ সাগরে সাঁতর কাটছে, কারো কন্ঠে গান, কেউ প্রিয়জনের হাতে রেখে হাত হাঁটছে হাঁটু পানিতে, কেউবা বালুর চরে দাঁড়িয়ে নিচ্ছে ফুচকার স্বাদ, কারো হাতে রং-বেরংয়ের বেলুন।
শহরের বার্মিজ মার্কেট, শুটকিপল্লী, দরিয়ানগর, বৌদ্ধমন্দির, হিমছড়ি ও ইনানীতেও ছিল পর্যটকে ভরপুর।
গত তিন দিন ধরে স্বস্ত্রীক কক্সবাজারে বেড়াতে আসা শরীয়তপুরের শামীম খান বলেন, ঈদের ছুটি কাটাতে কক্সবাজার এসেছি। তিন দিন ঘুরেছি। আরও থাকার ইচ্ছে ছিল। কিন্তু হাতে সময় নেই। তাই আজ চলে যাবো। তবে আবার আসবো।
প্রিয়জনের জন্য বার্মিজ মার্কেটে উপহার কিনতে আসা সাইফুল আলম বলেন, বন্ধুদের সঙ্গে ঈদের ছুটিতে কক্সবাজার এসেছি। তাই স্মৃতি হিসেবে বাড়ির সবার জন্য কিছু না কিছু কেনার জন্য বার্মিজ মার্কেট এলাম। এর আগে সাগরপাড় থেকে ঝিনুকের মালা, শামুকের চাবির রিং ও বিভিন্ন ধরনের গহনা কিনেছি।
শহরের বৌদ্ধমন্দির দেখতে আসা সিরাজ ও ফাতেমা দম্পত্তি বলেন, এবার মিলে টানা তিন বছর কক্সবাজার আসছি। কিন্তু প্রতিবারই এ শহরের সমুদ্র আমাদের নতুন মনে হয়। পাহাড়গুলো এক এক সময় এক এক রং ধারণ করে। বিচিত্র এ শহর। কিন্তু কোনোবারই এখানে আসা হয়নি, তাই এবার সময় বের করে মন্দির দেখতে চলে এলাম।
কক্সবাজার হোটেল, মোটেল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম সিকদার বলেন, প্রত্যাশা অনুযায়ী রুম বুকিং হচ্ছে। আশা করছি, আগস্ট মাসজুড়েই পর্যটকের আনাগোনা থাকবে।
কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন বলেন, ৩০ আগস্ট পর্যন্ত কক্সবাজারের নিরাপত্তায় অতিরিক্ত পুলিশ, র্যাব কাজ করবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২৬ ঘণ্টা, আগস্ট ২৫, ২০১৮
টিটি/আরবি/