ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

পর্যটন

পর্যটনের প্রসারে প্রয়োজন পর্যটন পণ্যের সঠিক ব্রান্ডিং

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৪৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৭, ২০১৯
পর্যটনের প্রসারে প্রয়োজন পর্যটন পণ্যের সঠিক ব্রান্ডিং সভায় বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী। ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী বলেছেন, পর্যটনের প্রসারে প্রয়োজন পর্যটন পণ্যের সঠিক ব্রান্ডিং। পর্যটন পণ্যের সঠিক ব্র্যান্ডিং করতে পারলে পর্যটক আসবেই।

শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বিশ্ব পর্যটন দিবস উপলক্ষে রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড আয়োজিত এক আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী বলেন, ১৯৭১ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর আমরা সারাবিশ্বে পরিচিত ছিলাম বীরের জাতি হিসেবে।

কিন্তু ৭৫ এর পরবর্তীতে বিভিন্ন সময়ে আমাদের দারিদ্র, ক্ষুধাপীড়িত, প্রাকৃতিক দুর্যোগ কবলিত ও আইন-শৃঙ্খলা অবনতিশীল একটি দেশ হিসেবে তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে। জাতির জনকের কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রথম শাসনামল ও গত ১০ বছরে আমরা সে দুর্নাম কাটিয়ে উঠতে পেরেছি।  শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ, ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ রয়েছে, দেশের অভ্যন্তরীণ কানেক্টিভিটি বেড়েছে, রাস্তাঘাটসহ ব্যাপক অবকাঠামোগত উন্নয়ন হয়েছে যার প্রত্যেকটি পর্যটনের সহায়ক পরিবেশ তৈরি করে। বাংলাদেশ সবার জন্য নিরাপদ। আমাদের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অত্যন্ত চমৎকার অবস্থায় রয়েছে।

তিনি বলেন, আমাদের প্রত্যেকটি উৎসবের নিজস্ব রং এবং বৈশিষ্ট্য রয়েছে। আমাদের উৎসবগুলোর মতো এত রঙিন উৎসব পৃথিবীর আর কোথাও পালিত হয় না। আমাদের উৎসবগুলো ধর্ম-বর্ণ-নির্বিশেষে সার্বজনীন। আমাদের প্রত্যেকটি উৎসবে জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করে। আমাদের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি যে কোনো দেশের জন্য আদর্শ। আমাদের দেশের প্রতিটি অঞ্চলে যে প্রত্নতাত্ত্বিক সম্পদ আছে, অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আছে তা সঠিকভাবে বিশ্বের সামনে তুলে ধরতে হবে।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের নারী পর্যটকদের জন্য আরও উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করা হবে। বিভিন্ন পর্যটন আকর্ষণে ভ্রমণের ক্ষেত্রে নারীদের যেন কোনো প্রকার প্রতিবন্ধকতা মোকাবিলা করতে না হয় সেদিকে আমরা দৃষ্টি দেবো। বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রে নারীবান্ধব অবকাঠামো ও সুযোগ-সুবিধা তৈরি করা হবে।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মহিবুল হক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে, আমাদের পর্যটনও এগিয়ে যাচ্ছে। পর্যটনের প্রসারের ক্ষেত্রে আমাদের কিছু ব্যর্থতা আছে তা মেনে নিয়েই আমরা পর্যটন বিকাশে কাজ করতে চাই, পর্যটনের অপার সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে চাই।

তিনি বলেন, পর্যটন সেবার মান বাড়াতে দেশের আটটি বিভাগে বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের নতুন কার্যালয় খোলা হবে। পর্যটনশিল্পে দক্ষ জনশক্তি গড়ে তুলতে ঢাকায় আলাদা পর্যটন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করা হবে। তাতে পর্যটনশিল্পে উন্নত অন্যান্য দেশের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে পর্যটনের সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন স্বল্পমেয়াদি ও দীর্ঘমেয়াদি কোর্স চালু করা হবে। দেশের পর্যটন পণ্যের যথাযথ বর্ণনা উপস্থাপনের জন্য ট্যুর গাইডদেরও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে।

সচিব বলেন, আমাদের দেশে ক্রমান্বয়ে অভ্যন্তরীণ পর্যটকদের সংখ্যা বাড়ছে। তাদের অনেকেই বিদেশে ঘুরতে যান। তাদের প্রতি আমি অনুরোধ করবো বিদেশ ঘুরতে যাওয়ার আগে প্রথমে নিজের দেশের মধ্যে ভ্রমণ করুন, নিজের দেশের সৌন্দর্য উপভোগ করুন, নিজের দেশকে জানুন।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের চেয়ারম্যান রাম চন্দ্র দাস, বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. ভুবন চন্দ্র বিশ্বাস, বাংলাদেশ ট্যুরিস্ট পুলিশের ডিআইজি মল্লিক ফখরুল ইসলাম, বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের পরিচালক আবু তাহের মোহাম্মদ জাবের, টোয়াব এর ভাইস-প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ রাফিউজ্জামান ও আটাব এর সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সালাম আরেফ প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৫০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৭, ২০১৯
এমএএম/আরআইএস/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।