ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বাণিজ্যমেলা

বাণিজ্যমেলায় সুন্দরবন!

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৬৪৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৫, ২০১৮
বাণিজ্যমেলায় সুন্দরবন! ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলার অভ্যন্তরে গড়ে তুলেছেন মিনি সুন্দরবন। ছবি: শাকিল আহমেদ

ঢাকা: সমুদ্র উপকূলবর্তী পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ম্যানগ্রোভ বনভূমি সুন্দরবন। ১৯৯৭ সালে ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান হিসেবে স্বীকৃতি পায় এ বনভূমি। বিখ্যাত রয়েল বেঙ্গল টাইগার, হরেক রকমের পাখি, চিত্রল হরিণ, ডলফিন, কুমির ও সাপসহ নানান প্রজাতির অসংখ্য প্রাণীর আবাসস্থল হিসেবে খ্যাত সুন্দরবন।

কমবেশি সবাই সুন্দরবনের প্রকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে চান। কিন্তু সবার পক্ষে তা সম্ভব হয়ে ওঠে না।

তবে ২০১৩ সাল থেকে ডিজাইনার জামিউর রহমান লেমন ঢাকাতেই সুন্দরবন দেখার সুযোগ করে দিচ্ছেন। তিনি ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলার অভ্যন্তরে গড়ে তুলেছেন মিনি সুন্দরবন!

দেখার ইচ্ছে আছে কিন্তু যাওয়ার সুযোগ হচ্ছে না এমন যে কেউ সুন্দরবন দেখে আসতে পারেন বাণিজ্যমেলায় গিয়ে। মেলার উত্তর-পূর্ব কোণে চার দেয়ালের মধ্যে গড়ে তোলা হয়েছে সুন্দরবন ইকো পার্ক।
ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলার অভ্যন্তরে গড়ে তুলেছেন মিনি সুন্দরবন।  ছবি: শাকিল আহমেদ
ভেতরে প্রবেশের সুযোগ না থাকলেও দেয়ালের বাইরে থেকেই দেখা যাচ্ছে সবকিছু। ভেতরে কৃত্রিমভাবে বানানো হয়েছে ফাইবার অ্যানিম্যাল। রয়েল বেঙ্গল টাইগার, অজগর সাপ, বক, হরিণসহ নানা প্রজাতির পশু পাখি। এছাড়া জীবন্ত কিছু পাখি ও মোরগ রয়েছে এই ইকো পার্কে।

জামিউর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সয়েল অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট সাইন্সের ছাত্র। বিদেশে বিভিন্ন মেলায় দেখেছি তারা সেই দেশের হেরিটেজ তুলে ধরে। আমারও মনে হলো সুন্দরবন আমাদের বিশ্ব ঐতিহ্য। এটা তুলে ধরা যায় বাণিজ্যমেলায়। সেই চিন্তা থেকে ২০১২ সালে তৎকালীন ইপিবি’র ভাইস-চেয়ারম্যান এবং বর্তমানে বাণিজ্য সচিব শুভাশীষ বসুর সঙ্গে কথা বলি। তিনি আমাকে এটা করার সুযোগ করে দেন।
ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলার অভ্যন্তরে গড়ে তুলেছেন মিনি সুন্দরবন।  ছবি: শাকিল আহমেদ
এই সুন্দরবন তৈরির খরচ কে বহন করেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বছর আমার লস হবে। আংশিক স্পন্সর পেয়েছি। তাতে পুরো খরচের টাকা উঠবে না।

১৫০ ফুট বাই ৫০ ফুটের এই ইকো পার্কে ২৫০ রকমের গাছ লাগানো হয়েছে। বেশিরভাগই সুন্দরবন থেকে আনা। কোনো কোনো গাছের ডাল এনে লাগানো হয়েছে। কোনোটা জ্যান্ত গাছ এনে লাগানো হয়েছে। গোলপাতা, কেওড়া গাছও আছে জীবন্ত।

এছাড়া জীবন্ত টার্কি মোরগ, পাঁতিহাস, রাজহাস, তিতির, কবুতর, দেশি মোরগ, লেকে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ ও কচ্ছপ রাখা হয়েছে।

সুন্দরবন ইকো পার্কের তদারকিতে আছেন সুহৃদ জাহাঙ্গীর। বাংলানিউজকে তিনি বলেন, মেলায় আশা ক্রেতা দর্শকদের সবাই একবার এখানে এসে সুন্দরবন দেখছেন। যারা কখনও সুন্দরবন যেতে পারেননি তাদের কাছে এটা বেশ আকর্ষণীয়। প্রায় সবাই এখানে এসে ছবিও তোলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১২৪৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৫, ২০১৭
এমএইচ/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।