নাটোর সদর উপজেলা থেকে প্রায় ৩৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত লালপুর উপজেলা। লালপুর উপজেলাশহর থেকে ৪ কিলোমিটার দূরেই পদ্মার বেড়িবাঁধ ।
সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পেলেই পদ্মার চর ও লালপুর বেড়িবাঁধ হয়ে উঠতে পারে পর্যটকদের কাছে অন্যতম আকর্ষণের কেন্দ্র। কেননা লালপুর বেড়িবাঁধ ও পদ্মার এই চর-এলাকায় পর্যটক আকর্ষণের মতো সবকিছুই রয়েছে। রয়েছে পদ্মার স্বচ্ছ পানি, বিশাল এলাকাজুড়ে বিস্তীর্ণ বালির চর ও ২.৫ কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মার বেড়িবাঁধ। এছাড়া মাঝে মধ্যে দেখা মিলতে পারে ধূলিঝড়ের; এমনটা সব সময় মরুভূমির দেশগুলোতেই হয়ে বলে সবাই জানে। এটি সহজেই পর্যটক আকর্ষণের উপাদান হতে পারে।
তবে স্থানীয়দের কাছে এখনই লালপুর বেড়িবাঁধ এলাকা পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে খ্যাতি পেয়ে গেছে। সরকারি সাপ্তহিক ছুটির দিনগুলো ছাড়া দুই ঈদে স্থানীয় লোকজন ও দেশি পর্যটকদের সমাগম ঘটে। কিন্তু থাকা খাওয়ার সুব্যবস্থা ও প্রচার প্রচারণা না থাকায় দেশের প্রকৃতিপ্রেমীদের জন্য এখনো স্থানটি অজানাই রয়ে গেছে।
স্থানীয়রা বলছেন, নাটোর সদর থেকে ৩৬ কিলোমিটার দূরে হওয়ায় লালপুরে থাকা-খাওয়ার সুব্যবস্থা তেমন একটা নেই। তাছাড়া যাতায়াত ব্যবস্থা ভালো থাকলেও পর্যাপ্ত পরিবহন-সুবিধা নেই। এই কারণে পর্যটকদের কাছে আগ্রহ পাচ্ছে না লালপুর বেড়িবাঁধ ও পদ্মার চর-এলাকা। প্রয়োজনীয় সুযোগ সুবিধা ও পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা গেলে দেশের যে কোনো পর্যটনকেন্দ্রের মতো জনপ্রিয় হয়ে উঠতে পারে লালপুর বেড়িবাঁধ ও পদ্মার চর।
এ সম্পর্কে স্থানীয় বাসিন্দা সুনীলচন্দ্র দাস বাংলানিউজকে বলেন, প্রতিদিনই পাবনা এবং নাটোর থেকে বিভিন্ন শ্রেণির পর্যটকরা বেড়াতে আসনে এই এলাকায়। কিন্তু সুযোগ সুবিধা কম থাকায় অন্য এলাকার মানুষরা তেমন একটা আসা যাওয়া করেন না। সরকার যদি এ ব্যাপারে উদ্যোগ গ্রহণ করতো তাহলে ভ্রমণপ্রেমীরা যেমন একটি আকর্ষণীয় প্রাকৃতিক পরিবেশ দেখার সুযোগ পেতো, তেমনি এলাকাবাসীরও অর্থনৈতিক উন্নয়ন হতো।
আশেপাশের এলাকায় তেমন প্রাকৃতিক পরিবেশ নিয়ে গড়া ওঠা পর্যটনকেন্দ্র না থাকায় এই এলাকাটি সহজেই জনপ্রিয় হয়ে ওঠার বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া বনলতা সেনের ঐতিহাসিক নাটোর শহর দেখতে প্রায় সারা বছরই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পর্যটকরা আসেন। জেলা শহরের কাছাকাছি একটি পর্যটককেন্দ্র গড়ে উঠলে এই পর্যটকরাও লালপুর বেড়িবাঁধ দেখতে ছুটে আসবেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৬ ঘণ্টা মে ২৮, ২০১৭
এমএ /জেএম