যদিও বাংলাদেশে স্ট্রিট ফুড কালচার এখনো ততোটা জমেনি। রাস্তার পাশের খাবার অস্বাস্থ্যকর বলে অনেকেই এড়িয়ে চলেন।
ট্রাম, টানা রিকশা চালক থেকে শুরু করে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী সবাই আয়েসের সঙ্গেই সকাল হলেই লুচি, মিষ্টি আর ভাঁড়ের চা খেতে চলে আসেন ফুটপাতের দোকানে। তাও আবার চেয়ার টেবিলে বসে নয়, দাঁড়িয়ে হাতে নিয়ে। ভাঁড়ের চা এতো বেশি গরম যে নতুন কেউ এ চায়ের স্বাদ নিতে গেলে মুখ পুড়ে যাবে।
নিউ মার্কেট এলাকায় বুধবার (২৬ জুলাই) সকালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র জগদীশ বলেন, কলকাতায় সব শ্রেণির মানুষই রাস্তার খাবার খায়। ফুটপাতের হলেও এসব খাবার সুস্বাদু ও স্বাস্থ্যকর। লুচি, মিষ্টি, ওমলেট-টোস্ট, বাটার টোস্ট, জুস আর পানিপুরি সবই পাওয়া যায় ফুটপাতে। দামও সস্তা।
তিনি জানান, কলকাতা সফরে এসে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন স্বাদ নিয়েছিলেন ফুটপাতের খাবারের। মুগডালের বড়ার স্বাদেই মজেছিলেন স্বয়ং ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী।
কলকাতা প্রেস ক্লাব সভাপতি স্নেহাশিস সুর বাংলানিউজকে বলেন, কলকাতা ব্যস্ত শহর। এখানকার মানুষ সকালে বের হয় আর রাতে ঘরে ফেরে। তারা রাস্তায় খাওয়া দাওয়া করে। এখানে ফুটপাতে অনেক খাবার পাওয়া যায়। এসব খাবার সুস্বাদু, দামও কম।
ঔপনিবেশিক স্থাপত্য ছড়িয়ে আছে সারা কলকাতা জুড়ে। নজরকাড়া প্রাচীন এসব ভবনের স্থাপত্য শৈলীর সামনের সড়কের ফুটপাতে ছোট ছোট দোকানে পাওয়া যায় প্রায় সব ধরনের খাবার। শহরের প্রায় প্রতি জায়গাতেই তাজা ফল ও ফলের রস পাওয়া যায়। বিশেষ করে কমলা আর মাল্টার জুস। ক্রেতার সামনেই ফল থেকে জুস তৈরি করে দেওয়া হয়।
এসব খাবার শুধু কলকাতাবাসীই খান না চিকিৎসা, ভ্রমণ ও কেনাকাটার প্রয়োজনে বিভিন্ন দেশ থেকে যারা কলকাতায় আসেন তারাও খান।
নিউ মার্কেটের সামনের ফলের দোকানি উত্তম সাহা বলেন, নিউমার্কেটে কেনাকাটা করে ব্যাগ ভরতে ভরতে যারা ক্লান্ত হয়ে পড়েন তারা টাটকা ফলের রস খেয়ে সতেজ হন। দাম গ্লাস প্রতি ১০-২০ রুপী।
** খুলনা-কলকাতা রুটে প্রতিদিন বাস চাই
বাংলাদেশ সময়: ১০৫০ ঘণ্টা, আগস্ট ২৬, ২০১৭
এমআরএম/জেডএম