ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ট্রাভেলার্স নোটবুক

ছবির মতো সুন্দর চীনের ‘সিলিকন ভ্যালি’ সেনজেন

সাব্বির আহমেদ, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০০৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৩, ২০১৮
ছবির মতো সুন্দর চীনের ‘সিলিকন ভ্যালি’ সেনজেন ‘সিলিকন ভ্যালি’

চীনের সেনজেন সিটি থেকে: চকচক করছে সড়কের নির্দেশকগুলো।  আশপাশে ঝকঝকে সুউচ্চ ভবন। ১০০ তলা ছাড়িয়ে গেছে ভবনের উচ্চতা। আলোক নিঃসারী ডায়োড বা এলইডি আলোর খেলায় জমকালো পুরো শহর। গাড়ির গতি ১০০ ছাড়িয়ে। দুইধারে তার শত সহস্র সবুজের  ছোঁয়া।

চীনের সেনজেন সিটি থেকে: চকচক করছে সড়কের নির্দেশকগুলো।  আশপাশে ঝকঝকে সুউচ্চ ভবন।

১০০ তলা ছাড়িয়ে গেছে ভবনের উচ্চতা। আলোক নিঃসারী ডায়োড বা এলইডি আলোর খেলায় জমকালো পুরো শহর। গাড়ির গতি ১০০ ছাড়িয়ে। দুইধারে তার শত সহস্র সবুজের  ছোঁয়া।

এটাই সেনজেন শহর। যাকে বলা হয়ে থাকে চীনের সিলিকন ভ্যালি। একেবারে হংকং লাগোয়া। ২ হাজার বর্গকিলোমিটার আয়তনের সেনজেন গুয়াংডং প্রদেশের প্রধান শহর। জনসংখ্যা সোয়া ১ কোটি।
 ‘সিলিকন ভ্যালি’
শনিবার (১৩ জানুয়ারি) সারাদিন চীনের এই শহরের প্রধান সড়ক ঘুরে দেখা গেছে বিশ্বখ্যাত বহু প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের প্রধান কার্যালয়। পুরো শহর আর তার সড়কপথে সজ্জিত করা হয়েছে সবুজের সমারোহে। সবই পরিকল্পিত।

ছবির মতো দেখতে যে শহরের কথা বলছি-তার বয়স বাংলাদেশের চেয়ে কম। সেই হিসেবে যৌবন পার করছে শহরটি। আর তাইতো সে সেজেছে চীনের উন্নত শহরগুলোর একটিতে। বিশ্বের বহু দেশ থেকে ব্যবসায়ীরা আইটি পণ্য কেনা ও আইটি প্রযুক্তি নিতে এ শহরে ভিড় করেন।

অথচ ৩৭ বছর আগে এ শহরটি মৎস্যজীবীদের মাছ শিকার কেন্দ্রিক অঞ্চল ছিলো।  

এ শহরের এমন রূপান্তর কী করে হলো তা সবার চোখের সামনে। চীন তার যে কয়েকটি শহর দ্রুত বদলে দিয়েছে তার একটি সেনজেন।  

চীনা ব্যবসায়ী জিমি রাও বাংলানিউজকে বলেন, তাদের নেতা চীনের সাবেক প্রেসিডেন্ট দেং শিয়াও পিং এ শহরের রূপকার।
 ‘সিলিকন ভ্যালি’
চীনের প্রথম বিশেষায়িত অর্থনৈতিক অঞ্চল এ শহরটি সাজিয়েছেন তখনকার প্রেসিডেন্ট। এখন শহরটি বিশ্বের অন্যতম অর্থনৈতিক প্রাণকেন্দ্র। বিশেষ করে প্রযুক্তি পণ্য তৈরি ও উৎপাদনের দিক দিয়ে।

দেখার মতো বিষয় হলো, এখানে সড়কের উপর থার্মো প্লাস্টিক রিফ্লেকটিভ রোড মার্কিং স্থাপনের বিষয়টি। যেখানে পর্যাপ্ত পরিমাণে গ্লাসবেড দেওয়ার ফলে রাতে গাড়ির আলো পড়ার সঙ্গে রিফ্লেক্ট করে পথ দেখিয়ে দেয়। বাংলাদেশের সড়কপথে এটি দেওয়ার নিয়ম থাকলেও তা দেখা যায় না।  

আর শহরজুড়ে পরিকল্পিত ফ্লাইওভারে দ্রত গতির সংযোগ স্থাপন করা হয়েছে। ফ্লাইওভারের নিচে বাংলাদেশের মতো কোথাও কোনো দেখা যায়নি।  

বিশ্বজুড়ে বাণিজ্যিক নগরী হিসেবে পরিচিত সেনজেনের গুরুত্ব বেড়ে চলছে।  নগরীর বিমানবন্দরকে দেখলেই বোঝা যায় সেনজেনের আন্তর্জাতিক ব্যস্ততা। দৃষ্টিনন্দন বিমানবন্দর অতিথিদের স্বাগত জানায় পরিচ্ছন্ন গোছানো পরিবেশ দিয়ে। বিমানবন্দর থেকে ডেডিকেটেড সড়কপথ ধরে মূল শহরে ঢুকতে হয়।

মূল শহরটির অদূরে হংকং। কোথাও ব্রিজের ওইপাশ হংকং, এপাশ সেনজেন।  কোথাও রাস্তার একপাশ সেনজেন, আরেকপাশ হংকং।

আবহাওয়াগত দিক দিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে প্রায় মিল আছে সেনজেনের। গুয়াংজু প্রদেশ থেকে ১০০ কিলোমিটার দুরে সেনজেনের অবস্থান।  সুবিশাল সমুদ্রবন্দর ঘিরে শহরটির বাণিজ্য বহির্বিশ্বের সঙ্গে সহজেই যুক্ত করেছে।

আর মূল শহরের আশপাশে বহুতল ভবনে রয়েছে বিশ্বখ্যাত হুয়াওয়ে, কনকা, স্কাইওর্থ, টেনসেন্ট, ওয়ান প্লাসের মতো দেশীয় প্রতিষ্ঠানের সদর দফতর। এছাড়াও এখান থেকেই ব্যবসা করছে বিশ্বের অন্যান্য বিখ্যাত কোম্পানিও।

** বাংলাদেশকে বুলেট ট্রেনের যুগে দেখতে চান আবেদ মনসুর

বাংলাদেশ সময়: ০২০৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৪, ২০১৮
এসএ/এমএ 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।