শুক্রবার (৭ জুলাই) আগরতলার রবীন্দ্র ভবনে আয়োজিত এই কর্মলায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ত্রিপুরা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার।
মুখ্যমন্ত্রী প্রদীপ প্রজ্বলনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা করেন এবং এই প্রকল্পের কাজ কর্মের তথ্য সম্বলিত দু’টি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করেন।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন- ত্রিপুরা সরকারের বন ও গ্রাম উন্নয়ন দফতরের মন্ত্রী নরেশ জমাতিয়া, রাজ্যের মুখ্যসচিব সঞ্জিব রঞ্জন, মুখ্য বন সংরক্ষক ও বন বাহিনীর প্রধান এস তালুকদার, নয়া দিল্লীর এনআরএমকেএফডব্লুউ’র বিশেষজ্ঞ সংগীতা আগরওয়াল, উত্তরপূর্ব জলবায়ু পরিবতন অভিযোজন প্রকল্প আধিকারিক ড. পিটার গ্রস প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, প্রকল্পের অর্থের সংস্থানকারী জার্মান সংস্থা ত্রিপুরা রাজ্যে কাজ করে অনেক খুশি। তারা রাজ্যে অন্যধরনের আরও কি কি প্রকল্প চালু করা যায় এই বিষয়ে পরীক্ষা-নিরিক্ষা চালাচ্ছে। প্রকল্পগুলো কিভাবে আরও কম সময়ে সম্পন্ন করা যায় এই বিষয়ে গবেষণা করে দেখার জন্য আহ্বান করেন তিনি।
তবে এই ধরনের বিদেশি প্রকল্প চালু করার ক্ষেত্রে ৩ থেকে ৪ বছর লেগে যায় ভারত সরকারের কাছ থেকে অনুমোদন ও ছাড়পত্র পেতে। এই সময়টুকু যাতে কমানো যায় এই বিষয়েও ভেবে দেখার জন্য পরামর্শ দেন মুখ্যমন্ত্রী।
এই উপলক্ষে রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনের সামনে তাদের কাজ কর্মের বিষয় নিয়ে এক প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে। এখানে তুলে ধরা হয়েছে ইন্দো-জার্মান প্রকল্পের মাধ্যমে রাজ্যে সাধারণ মানুষদের অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নতির জন্য কি ধরনের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।
মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকারসহ অন্যান্য অতিথিরা প্রদর্শনী ঘুরে দেখেন। রাজ্যের বিভিন্ন এলাকা যারা কাজ করছে তাদের মধ্য থেকে প্রতিনিধিরাও কর্মশালায় এসেছেন। গত নয় বছর ধরে রাজ্যের ধলাই জেলা ও উত্তর জেলার বিভিন্ন এলাকায় এ প্রকল্পের কাজ চলছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫২ ঘণ্টা, জুলাই ০৭, ২০১৭
এসসিএন/জিপি