বুধবার (১২ জুলাই) তাদের এ আন্দোলন তৃতীয় দিনে পড়লো। তিন দিনে তাদের আন্দোলনে ত্রিপুরা সরকার যেমন কোনো সাড়া দেয়নি, তেমনি ভারত সরকারের তরফেও কোনো সাড়া আসেনি।
তারা আরও বেশি আক্রমণাত্মক হয়ে পুলিশের সামনে আন্দোলন করছে। তারপরও ত্রিপুরা পুলিশ ও আধা সামরিক বাহিনীর জওয়ানরা ধৈর্যের সঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবিলা করছে।
পুলিশ ও প্রশাসনের কাছ থেকে কোনো সাড়া না পেয়ে এদিন খালি গায়ে এমনকি বিবস্ত্র অবস্থায় বিক্ষোভ প্রদর্শন করছে তারা। খোয়াই জেলার বড়মুড়া পাহাড়ের খামতিংবাড়ি এলাকা থেকে মিছিল করতে করতে কয়েক কিমি এগিয়ে পশ্চিম জেলার চম্পকনগরের সাধুচন্দ্র পাড়ায় পেরিয়ে একেবারে বাজারের পাশে এসে এসেছে বিক্ষোভ প্রদর্শন চলছে।
বামফ্রন্ট সরকারের তরফে ত্রিপুরা বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার বলেছেন, আইপিএফটি দল গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে জাতীয় সড়ক ও রেলপথ অবরোধ করে রেখেছে, এই দু’টিই ভারত সরকারের অধীনে। তাই ভারত সরকার এ পরিস্থিতিতে কি করা যায় তার সিদ্ধান্ত নেবে।
ত্রিপুরা প্রদেশ বিজেপির স্পোকপারসন ডা. অশোক সিনহা সংবাদ সম্মেলন করে জানান, তাদের দল রাজ্য ভাগের সিদ্ধান্ত কোনোভাবে মানে না। শাসকদল মিথ্যা অভিযোগ করে বলছে আইপিএফটিকে পেছন থেকে মদদ দিচ্ছে বিজেপি। তা শুধু রাজনৈতিক ফায়দা তোলার জন্য।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩২ ঘণ্টা, জুলাই ১২, ২০১৭
এসসিএন/এএ