শুক্রবার (২৮ জুলাই) আগরতলা শহর ঘুরে ট্রাফিক ব্যবস্থার এ চিত্র দেখা যায়।
ট্রাফিক পুলিশ তার পয়েন্টে দাঁড়িয়ে- আর রাস্তায় গাড়ি চলছে নিয়ম মেনে।
রাস্তায় মোটরসাইকেল আরোহীদের সবার মাথাতেই হেলমেট, গাড়িতে ধারণ ক্ষমতার অতিরিক্ত যাত্রী বাহন এখানকার চালকরা ভাবতেই পারেন না। আর ট্রাফিকের স্টপ সিগনাল অমান্য করার তো প্রশ্নই আসে না।
শহরে চলাচলরত যাত্রীরা জানান, ভারতের অন্য রাজ্যের মতো ত্রিপুরাতেও কঠোরভাবে ট্রাফিক আইন মান্য করা হয়।
রাজ্যের রাজধানী আগরতলা শহরের আরএমএক্স মোড়ে দাঁড়ানো রাজিব পাল নামে এক ব্যবসায়ী বাংলানিউজকে জানান, এখানকার মানুষ নিজেদের কল্যাণেই ট্রাফিক আইন মেনে চলে।
‘এখানকার মানুষ মনে করে ট্রাফিক আইন অমান্য করলেই দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। আর এ থেকে বাঁচতে হলে অবশ্যই মানতে হবে,’ যোগ করেন এই পথচারী। ওই মোড়ের ট্রাফিক পয়েন্টে দাঁড়ানো দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশ মনমত পোদ্দারের কাছে জানতে চাইলে তিনি বাংলানিউজকে জানান, ত্রিপুরায় মানুষ ট্রাফিক আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তারা মনে করেন নিজেদের যাত্রা নিরাপদ করতে হলে আইন মানতে হবে।
এ জন্য ট্রাফিক পুলিশ নাগরিক মধ্যে বিভিন্ন সচেতনতামূলক কাজ করে থাকে বলে জানান তিনি।
ট্রাফিক পুলিশের একই কর্মকর্তা বলেন, ধরুন, নাগরিকদের যদি ট্রাফিক আইন মান্য করার বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া যায়, তাহলে তারা নিজেরা নিরাপদে রাস্তা পারাপার হবেন এবং অন্যদের নিয়ম মেনে রাস্তা পারাপারে শিক্ষা দেবেন। এভাবে সড়ক দুর্ঘটনা অনেকাংশে কমিয়ে আনা সম্ভব।
আগরতলা শহরের নিয়মতান্ত্রিক এ ট্রাফিক ব্যবস্থা নিয়ে কথা হয় মনোজ কুমার নামে এক সরকারি ব্যাংক কর্মকর্তার সঙ্গে। তিনি জানান, বহুবছর ধরেই চলে আসছে ত্রিপুরার এ সুন্দর ট্রাফিক ব্যবস্থা। এখানকার মানুষ ভাবতেই পারে না ট্রাফিক আইন অমান্য করার কথা। যার কারণে ত্রিপুরা শহরের জ্যামমুক্ত বললেই চলে।
তিনি জানান, ট্রাফিক ব্যবস্থাকে আরও গতিশীল করতে রাজধানীর হাসাপাতাল চৌমুহনী, কে আর চৌমুহনী ও আর এমএক্স চৌমুহনী এলাকায় ডিজিটাল ট্রাফিক সিগন্যাল বসানো হয়েছিল। কিন্তু নিয়মিত মেরামত খরচ রাজ্য সরকার থেকে না পাওয়াতে তা বন্ধ হবার উপক্রম।
‘তবে এনালগ এ ব্যবস্থাতেই বেশ ভালো আছে এ নগরের মানুষ,’ বলেন তিনি।
মনোজ কুমার জানান, দেশের অন্য রাজ্যগুলোর সঙ্গে তাল মিলিয়ে ত্রিপুরার ট্রাফিক ব্যবস্থাকে আরও উন্নত করার কথা জানিয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ০৮৪০ ঘণ্টা, জুলাই ২৯, ২০১৭
এসএইচডি/এমএ