ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আগরতলা

আগরতলায় কৃষি বিষয়ক ১ দিনের আলোচনা সভা ও প্রশিক্ষণ শিবির

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০২৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২০
আগরতলায় কৃষি বিষয়ক ১ দিনের আলোচনা সভা ও প্রশিক্ষণ শিবির আগরতলায় অনুষ্ঠিত রাজ্যভিত্তিক কৃষি বিষয়ক আলোচনা সভা ও প্রশিক্ষণ শিবিরে অতিথিরা। ছবি: বাংলানিউজ

আগরতলা(ত্রিপুরা): ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলায় অনুষ্ঠিত হলো রাজ্যভিত্তিক কৃষি বিষয়ক আলোচনা সভা ও প্রশিক্ষণ শিবির।

বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) ভারত সরকারের কৃষি অনুসন্ধান পরিষদ (আইসিএআর) এবং উত্তরাখন্ডের আলমুড়া কেন্দ্রের বিবেকানন্দ পার্বত্য কৃষি অনুসন্ধান সংস্থার যৌথ উদ্যোগে এক দিনের এ আলোচনা সভা ও প্রশিক্ষণ শিবির অনুষ্ঠিত হয়। মূলত ধান ও ভুট্টা চাষের বিষয়ে এ আলোচনা ও প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ত্রিপুরা রাজ্যের কৃষি দফতরের মন্ত্রী প্রণজিৎ সিংহ রায়, পশ্চিম লোকসভা কেন্দ্রের সংসদ সদস্য প্রতিমা ভৌমিক, বিবেকানন্দ পার্বত্য কৃষি অনুসন্ধান সংস্থা'র ডিরেক্টর ড. এ পট্টনায়ক, আই সি এ আর’র ত্রিপুরা শাখার জয়েন্ট ডিরেক্টর ড. বি দাস, আই সি এ আর’র ত্রিপুরা শাখার ধান ও গম বিষয়ক গবেষণার প্রিন্সিপ্যাল সায়েন্টিস্ট ড. এস পি দাস প্রমুখ।

আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে সংসদ সদস্য প্রতিমা ভৌমিক বলেন, বর্তমানে ত্রিপুরা রাজ্যে কৃষি বিপ্লব চলছে। ধানের পাশাপাশি ভূট্টাসহ অন্য ফসল চাষ হচ্ছে। ভূট্টা চাষের ওপর গুরুত্ব এ কারণে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে যাতে মানুষের পাশাপাশি নানা প্রাণী ও মাছের খাবার হিসেবে ব্যবহার করা হয়। ত্রিপুরা রাজ্যে বিজেপি সরকার ক্ষমতায় আসার পর প্রথম সরকার সহায়ক মূল্যে ধান কেনা হচ্ছে গত দু’বছর ধরে।

অপরদিকে বক্তব্য রাখতে গিয়ে কৃষিমন্ত্রী প্রণজিৎ সিংহরায় বলেন, রাজ্যের চাষিরা যাতে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে চাষ করে যাতে বেশি পরিমাণ ফসল পায় সরকারের তরফে কৃষি কাজে ব্যবহারের জন্য যন্ত্রপাতি সরবরাহ করা হয়েছে। আরও ২০ হাজার চাষিদের মধ্যে কৃষি সহায়ক যন্ত্র দেওয়া হবে। বর্তমানে সারা বিশ্ব জুড়ে অর্গানিক ফসলের চাষের উপর গুরুত্ব বেড়েছে। ত্রিপুরা রাজ্যের বর্তমান সরকারও অর্গানিক চাষের ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে। ইতোমধ্যে ছয় হাজার হেক্টর জমির অর্গানিকের সনদ পাওয়া গিয়েছে।

তিনি বলেন, ত্রিপুরা রাজ্যে জনজাতি এলাকাগুলোতে যে সমস্ত ফসল চাষ হয় তার ৯০ শতাংশ জমিতে কোনো ধরনের রাসায়নিক সার ও বালাইনাশক ব্যবহার করা হয় না। কিন্তু সনদ না পাওয়া পর্যন্ত এগুলিকে অর্গানিক চাষ জমি বলা যাবে না। অর্গানিক জমির সনদ পেতে হলে লাগাতার তিন বছর ধরে জমি পরীক্ষা করার পরে এ সনদ দেওয়া হয়। তাই আর কয়েক বছরের মধ্যে ত্রিপুরা রাজ্যের বেশিরভাগ জমি অর্গানিক হয়ে যাবে।

পরে অনুষ্ঠানে উপস্থিত সব কৃষককে পাঁচ কেজি করে উন্নত প্রজাতির ধান ও ভূট্টার বীজ বিনামূল্যে দেওয়া হয়েছে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৫২৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২০
এসসিএন/এবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।