সরেজমিন বুধবার (১০ জানুয়ারি) গিয়ে দেখা যায়, দলে দলে মুসল্লিরা প্রয়োজনীয় মালপত্র সঙ্গে নিয়ে ময়দানে এসে যার যার খিত্তা ও কামরায় অবস্থান নিচ্ছেন।
বিশ্ব ইজতেমার মুরুব্বি গিয়াস উদ্দিন জানান, গাজীপুরের টঙ্গীর তুরাগ তীরে এবারের বিশ্ব ইজতেমার দুই ধাপে অংশ নেবেন দেশের ৩২ জেলার মুসল্লি।
তিনি জানান, এবার ইজতেমায় প্রথম ধাপে অংশ নিতে দেশের ১৬ জেলার মুসল্লিসহ বিদেশি মুসল্লিরা বুধবার (১০ জানুয়ারি) থেকে ইজতেমা ময়দানে আসতে শুরু করেছেন। তারা প্রয়োজনীয় মালপত্র সঙ্গে নিয়ে যার যার খিত্তা ও কামরায় অবস্থান নিচ্ছেন। ইতোমধ্যে প্যান্ডেল, মঞ্চ, মুসল্লিদের পারাপারে তুরাগ নদের উপর ভাসমান সেতু, টয়লেট, গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানিসহ সব প্রস্তুতি প্রায় শেষ পর্যায়ে। চলছে টুকিটাকি কাজ।
ইজতেমায় যোগ দিতে নড়াইল থেকে আসা মো. মিজান খান বাংলানিউজকে জানান, এ বছর তিনি ৬০ জনের দলের সঙ্গে প্রথম ইজতেমায় এসেছেন। শুনবেন মুরব্বিদের বয়ান। আমল ও জিকিরে কয়েকদিন ইজতেমা ময়দানে কাটাবেন তিনি। এতো মুসল্লির সঙ্গে একসঙ্গে থাকা, নামাজ পড়া ও বয়ান শোনা হবে- এটা তার নতুন অভিজ্ঞতা হবে।
মাদারীপুর থেকে আসা জনি মোল্লা ও রুবেল মিয়া বলেন, টঙ্গীতে বিশ্ব ইজতেমায় যোগ দিতে বাসযোগে জামাতের সঙ্গে এসেছি। বিছানাপত্র, হাড়িপাতিল, লাকড়ি ও শীতের কাপড়সহ প্রয়োজনীয় মালপত্র সঙ্গে আছে। লাখ লাখ মুসল্লির সঙ্গে মুরুব্বিদের বয়ান শুনবো। এখানে আমল ও জিকির করবো। আল্লাহর পথে চলার সঠিক নির্দেশনা পাবো।
২০১৮ সালে বিশ্ব ইজতেমায় অংশ নেবে যে ৩২ জেলার মুসল্লি- ঢাকা, শেরপুর, নারায়ণগঞ্জ, নীলফামারী, সিরাজগঞ্জ, নাটোর, গাইবান্ধা, লক্ষীপুর, সিলেট, চট্টগ্রাম, নড়াইল, মাদারীপুর, ভোলা, মাগুড়া, পটুয়াখালী, ঝালকাঠি, পঞ্চগড়, ঝিনাইদহ, জামালপুর, ফরিদপুর, নেত্রকোনা, নরসিংদী, কুমিল্লা, কুড়িগ্রাম, রাজশাহী, ফেনী, ঠাকুরগাঁও, সুনামগঞ্জ, বগুড়া, খুলনা, চুয়াডাঙ্গা ও পিরোজপুর।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১০, ২০১৮
আরএস/এএ