ঢাকা: অনেক ঘটনাবহুল আরো একটি বছর আমাদের মাঝ থেকে বিদায় নিচ্ছে। আর মাত্র কয়েক ঘণ্টা পর আমাদের মাঝ থেকে হারিয়ে যাবে ২০১৩ সাল।
নতুন আশা নতুন স্বপ্ন নিয়ে শুরু হবে আরো একটি বছর ২০১৪। নতুন বছরকে বরণ করে নিতে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশের প্রতিটি অঞ্চলেই রয়েছে নানা আয়োজন। যদিও দেশের রাজনৈতিক অস্থিরতায় এবারের নতুন বর্ষ বরণে কিছুটা ভাটা পড়েছে।
বর্ষ বরণে বিগত বছরগুলোতে রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে যে আনন্দ বিরাজ করে তা এবার অনেকটাই ক্ষিণ হয়ে গেছে রাজনৈতিক অস্থিরতায়। বছরের শেষ দিন মঙ্গলবার ঘড়ির কাটা ১২টা ১ মিনিট বাজার সঙ্গে সঙ্গে শুরু হবে নতুন বছর।
নানা ঘটনা আর অঘটনে ভরা আরো একটি বছর হারিয়ে যাবে কালের মহাগর্ভে। শুরু হবে ১লা জানুয়ারি ২০১৪। বিদায় নেবে ২০১৩! অন্যান্য দেশের মানুষের মতো বাঙালিরাও নতুন আশা-প্রত্যাশায় বরণ করে নেবে নতুন এই বছরকে।
আমরা বাঙালি, বাংলা আমাদের মুখের-প্রাণের ভাষা। কিন্তু বাংলা ভাষার পাশাপাশি ইংরেজি বছরও আমাদের দৈনন্দিন কর্মসূচির সঙ্গে মিশে আছে। বাঙালি হয়ে পহেলা বৈশাখ যেভাবে আমাদের মনে আনন্দের বন্যা বইয়ে দেয়, তেমনি ইংরেজি নতুন বছরও আমাদের আবেগে আপ্লুত করে।
বছরের শেষ মাসে প্রতিটি সরকারি-বেসরকারি ব্যাংক তাদের ৬ মাসের হিসাবের খাতা বন্ধ করে, জানুয়ারি থেকে আবার শুরু হয় নতুন হিসাব। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো ইংরেজি বছরের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলে।
বছরের এ সময় শীতের তীব্রতা কম-বেশি থাকে। গায়ে চাদর জড়িয়ে মেঠো পথে হাঁটতে গেলেই শিশির ভেজা ঘাস পা ভিজিয়ে দেয়। নতুন বছরে সুখ আর আনন্দে উদ্বেলিত হয়ে উঠবে প্রতিটি বাঙালি।
পেছনে ফেলে আসা বছরটির প্রত্যাশা ও প্রাপ্তির অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে পারস্পরিক সৌহার্দ্য ও পরমতসহিষ্ণুতায় আমরা সামনে এগিয়ে যাবো এই প্রত্যাশা। মুছে যাক সব দুঃখ, সব গ্লানি।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩১, ২০১৩
সম্পাদনা: অনিক তরফদার ও বেনু সূত্রধর, নিউজরুম এডিটর