নারায়ণগঞ্জ: আলোচিত সাতখুন মামলার উভয়পক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে গত ৩০ নভেম্বর (বুধবার) রায়ের দিন ধার্য করেন নারায়ণগঞ্জের জেলা ও দায়রা জজ সৈয়দ এনায়েত হোসেনের আদালত। আলোচিত মামলাটির রায় দেওয়া হবে আগামী বছরের ১৬ জানুয়ারি (সোমবার)।
নারায়ণগঞ্জবাসী সঙ্গে মামলাটির দিকে তাকিয়ে আছে পুরো দেশবাসীও। একসঙ্গে ৭ জনকে নৃশংসভাবে হত্যার পরেও যদি হত্যাকারীদের বিচার না হয় তবে এটি দেশের ইতিহাসে একটি নজির হয়ে থাকবে। তাই দেরিতে হলেও মামলার সকল কার্যক্রম শেষে রায়ের তারিখ নির্ধারিত হওয়ায় নারায়ণগঞ্জবাসীর মনে কিছুটা হলেও স্বস্তি নেমেছে।
সাত খুনের ঘটনায় দু’টি মামলার বিচারিক কার্যক্রম একসঙ্গে শেষ হয়েছে। একটি মামলার বাদী নিহত আইনজীবী চন্দন সরকারের জামাতা বিজয় কুমার পাল ও অপরটির বাদী নিহত কাউন্সিলর নজরুল ইসলামের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম বিউটি।
দু’টি মামলারই অভিন্ন সাক্ষী ১২৭ জন করে। তাদের মধ্যে তদন্ত কর্মকর্তাসহ ১০৮ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেছেন আদালত। সাত খুনের দু’টি মামলার চার্জশিটে অভিন্ন ৩৫ জন করে আসামি। তাদের মধ্যে ২৩ জন গ্রেফতার ও ১২ জন পলাতক আছেন।
২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডের ফতুল্লার লামাপাড়া এলাকা থেকে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলামসহ ৭ জনকে অপহরণের তিনদিন পর তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ওই ঘটনায় প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলাম ও তার চার সহকর্মী হত্যার ঘটনায় তার স্ত্রী সেলিনা ইসলাম বিউটি বাদী হয়ে ফতুল্লা থানায় একটি এবং সিনিয়র আইনজীবী চন্দন সরকার ও তার গাড়ির চালক ইব্রাহিম হত্যার ঘটনায় জামাতা বিজয় কুমার পাল বাদী হয়ে একই থানায় আরেকটি মামলা দায়ের করেন।
দীর্ঘ প্রায় এক বছর তদন্ত শেষে গত বছরের ৮ এপ্রিল তদন্ত কর্মকর্তা মামুনুর রশীদ মণ্ডল সাবেক কাউন্সিলর নূর হোসেন, র্যাবের সাবেক তিন কর্মকর্তাসহ ৩৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৩০৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৮, ২০১৬
জিপি/এমজেএফ