নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে একটি রিসোর্টে এক নারীর সঙ্গে লঙ্কাকাণ্ড ঘটিয়ে দেশজুড়ে আলোচিত হন হেজাফতের ইসলামের বিলুপ্ত কমিটির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হক। সেই কাণ্ডের পর নারীকে নিজের স্ত্রী দাবি করলেও পরবর্তীতে ঐ নারীই ধর্ষণের মামলা ঠুকে দেন তার বিরুদ্ধে।
মামুনুল হক চলতি বছরের ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে রয়েল রিসোর্টে এক নারীর সঙ্গে অবস্থান করছিলেন। ওই সময় স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা এসে মামুনুল হককে ঘেরাও করেন। পরে ওই রিসোর্টে স্থানীয় হেফাজতের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা এসে ব্যাপক ভাঙচুর করে মামুনুল হককে ছিনিয়ে নিয়ে যান। পরে ৩০ এপ্রিল সকালে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে দুই বছর ধরে ধর্ষণের অভিযোগে হেফাজত নেতা মামুনুল হকের বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও থানায় মামলা দায়ের করেন ওই নারী। যাকে মামুনুল হক তার দ্বিতীয় স্ত্রী দাবি করেছিল।
বর্তমানে মামলাটি আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। ইতোমধ্যে ধর্ষণের মামলা ঠুকে দেওয়া নারী ও রিসোর্টের কর্মকর্তা কর্মচারীদের সাক্ষ্যগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এর কয়েক দফায় রিমান্ডেও যেতে হয় মামুনুলকে।
এ ঘটনার আগে হরতাল বিক্ষোভ সমাবেশসহ নানা সরকারবিরোধী কর্মসূচি দিয়ে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনায় আসে হেফাজতে ইসলাম। নারায়ণগঞ্জেও ব্যাপক প্রভাব বিস্তার হয়ে সংগঠনটির। তবে, এ ঘটনার পর রাজপথে অবস্থান একেবারেই শেষ হয়ে যায় সংগঠনটির। এখন আর ইস্যুভিত্তিক কর্মসূচিতেই মাঠে নামতে দেখা যায় না সংগঠনটিকে।
বাংলাদেশ সময়: ১০২০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০২, ২০২২
এএটি