ঢাকা: দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রোববার মূল্য সূচক কমলেও লেনদেন বৃদ্ধি পেয়ে এ দিনের কার্যক্রম শেষ হয়েছে।
রোববার ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৪২৩ কোটি ৩ লাখ টাকা।
এদিন সিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ৪৭ কোটি ৩৮ লাখ টাকা। গত বৃহস্পতিবার লেনদেন হয়েছিল ৪১ কোটি ২৩ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ড।
রোববার ডিএসইতে খাত ভিত্তিক মোট লেনদেনে জ্বালানি খাতের অবদান প্রায় ৯ দশমিক ৯১ শতাংশ, টেক্সটাইল খাতের ৯ দশমিক ৫১ শতাংশ, মিউচ্যুয়াল ফান্ড ২ দশমিক ৮৪ শতাংশ, টেলিকমিউনিকেশন খাত ৫ দশমিক ৪৫ শতাংশ, আর্থিক প্রাতিষ্ঠান খাত প্রায় ১৩ দশমিক ১৬ শতাংশ, ব্যাংক ৭ দশমিক ৯৫ শতাংশ, ওষুধ ও রসায়ন খাত প্রায় ১১ দশমিক ২৫ শতাংশ, প্রকৌশল ১১ দশমিক ৩৪ শতাংশ, খাদ্য ও আনুষঙ্গিক ৫ দশমিক ২৩ শতাংশ এবং ইন্স্যুরেন্স খাতের অবদান ৪ দশমিক ৯৫ শতাংশ।
সকালে লেনদেনের শুরুতে ডিএসইর সাধারণ সূচক বাড়লেও তা স্থায়ী হয়নি। মাত্র আধা ঘণ্টার মধ্যে সূচক নেতিবাচক হয়ে যায়। বেলা পৌনে ১১টার দিকে ডিএসইএক্স সূচক গত কার্যদিবসের চেয়ে সর্বোচ্চ ১৮ পয়েন্ট বৃদ্ধি পায়। লেনদেন শেষে ডিএসইএক্স সূচক দিনের সর্বনিম্ন ৩৩ পযেন্ট কমে অবস্থান করে ৪ হাজার ৭২৭ পয়েন্টে।
অন্যদিকে, ডিএসই-৩০ সূচক ২০ পয়েন্ট কমে এক হাজার ৬৬৭ পয়েন্টে এবং ডিএসই শরিয়াহ সূচক ১০ পয়েন্ট কমে ৯৮৫ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে দাম বৃদ্ধি পেয়েছে ৮৪টির, কমেছে ১৭৪টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩২টির দাম।
রোববার ডিএসইতে টাকার ভিত্তিতে লেনদেন হওয়া শীর্ষ ১০ কোম্পানি হলো- বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশন, আইডিএলসি, সিঙ্গার বিডি, মেঘনা পেট্রোলিয়াম, বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবল, অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ, স্কয়ার ফার্মা, লংকাবাংলা ফিন্যান্স, জেনারেশন নেক্সট এবং গ্রামীণ ফোন।
অপর শেয়ারবাজার সিএসইতে সিএসইএক্স সূচক ৬৮ পয়েন্ট কমে অবস্থান করে ৯ হাজার ২৭৩ পয়েন্টে, সিএসই-৩০ সূচক ১০৪ পয়েন্ট কমে অবস্থান করে ১২ হাজার ৩৩৭ পয়েন্টে এবং সিএএসপিআই সূচক ১০২ পয়েন্ট কমে অবস্থান করে ১৪ হাজার ৬৫৯ পয়েন্টে।
এদিন সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৪৭ কোটি ৩৮ লাখ টাকার বেশি শেয়ার ও মিউচুয়্যাল ফান্ডের ইউনিট।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০১৪