ঢাকা: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত মাইডাস ফিন্যান্স লিমিটেড লোকসানি কোম্পানি হওয়া সত্ত্বেও ৬০ কোটি টাকার রাইট শেয়ার ইস্যুর প্রস্তাবে আর্থিক অনিয়ম আছে কি-না তা খতিয়ে দেখছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
কোম্পানি ও বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জের (বিএসইসি) কয়েকজন অসাধু কর্মকর্তা এবং নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠান কোম্পানির আর্থিক প্রতিবেদনে কারসাজি করে মুনাফা দেখিয়েছে বলে এক বিনিয়োগকারী অভিযোগ করেন।
সম্প্রতি দুদকের নিয়মিত সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মাইডাস ফিন্যান্স কর্তৃপক্ষ জালিয়াতি করে নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে কোম্পানিকে লাভজনক দেখিয়ে রাইট শেয়ার আবেদন করায় দুদক এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
ইতিমধ্যে দুদকের উপ-পরিচালক খোন্দকার খলিলুর রহমানকে অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
টানা কয়েক বছর লোকসানে থাকার পরও মাইডাস ফিন্যান্স রাইট শেয়ার ঘোষণা করায় ২০১৩ সালের ১৩ মে বিএসইসিতে (তৎকালীন এসইসি) কোম্পানি ও ইস্যু ম্যানেজার লংকা-বাংলা ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডকে দুই লাখ টাকা করে জরিমানা করে।
পরবর্তীতে কোম্পানিটি জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে আর্থিক প্রতিবেদন কারসাজির মাধ্যমে লাভ দেখিয়ে দ্বিতীয় দফায় গত ১৯ আগষ্ট ১আরঃ১ হারে অর্থাৎ একটি সাধারণ শেয়ারের বিপরীতে একটি রাইট শেয়ার ঘোষণা করে।
মাইডাস ফিন্যান্স ২০১২-১৩ অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে লোকসান দেয় ৩৪ কোটি টাকা। কিন্তু ২০১২-২০১৩ সমাপ্ত অর্থবছরের শেষ তিন মাসে (এপ্রিল থেকে জুন-২০১৩) কোম্পানিটি লোকসানি কাটিয়ে উল্টো ৯৪ লাখ টাকা মুনাফা দেখিয়ে রাইট শেয়ার ছেড়ে ৬০ কোটি টাকা সংগ্রহের জন্য বিএসইসিতে আবেদন করে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০১৪