ঢাকা: অব্যহত দরপতন থেকে একটি স্থিতিশীল শেয়ারবাজার হিসেবে পরিণত করতে দিনের লেনদেন দিনেই নিষ্পত্তি, ব্যাংকগুলোর অতিরিক্ত বিনিয়োগের সমন্বয়ের সময়সীমা আরো ২ বছর বাড়ানো এবং বিশেষ ফান্ড গঠনসহ একগুচ্ছ পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)।
ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
মঙ্গলবার (২৯ মার্চ) প্রতিষ্ঠানের র্বোড রুমে ডিএসই’র শীর্ষ ৩০ ব্রোকারেজ হাউজের কর্মকর্তাদের প্রস্তাবের আলোকে এই বিশেষ উদ্যোগ নিচ্ছে ডিএসই কর্তৃপক্ষ। এই হাউজগুলো ডিএসইর মোট লেনদেনের ৭০ শতাংশ লেনদেন করে।
বৈঠকে ডিএসইর পরিচালক এবং সংশ্লিষ্ট ব্রোকারেজ হাউজ কতৃপক্ষের লোকজন উপস্থিতি ছিলেন।
ডিএসইর সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বৈঠকে ট্রেডিং ভলিউম বৃদ্ধিসহ পুঁজিবাজারে সামগ্রিক উন্নয়নের জন্য বিভিন্ন বিকল্প প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হয়। এর মধ্যে রয়েছে দিন শেষে সেটেলমেন্ট সংক্রান্ত বাধা দূরীকরন, ব্যাংকের এক্সপোজার গণনা থেকে মার্কেটের সঙ্গে সম্পৃক্ততাহীন বিষয় বাদ দেওয়া, নন পারফরর্মিং আইপিও’র ক্ষেত্রে বাইব্যাক পলিসি প্রণয়ন, নিয়মিত বৈঠক আয়োজন।
বহুজাতিক কোম্পানি এবং ভাল মৌলভিত্তিক কোম্পানিকে বাজারে নিয়ে আসা, লভ্যাংশের উপর দ্বৈতকর প্রত্যাহার এবং কর কর্তনের প্রমাণপত্র প্রদান, আইপিও’র ক্ষেত্রে ইস্যু ম্যানেজারকে দায়বদ্ধ করা, নতুন শাখা অফিস চালু এবং মোবাইল অ্যাপ এর জন্য বুথ চালু করার উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে।
এ বিষয়ে ডিএসইর এক পরিচালক জানান, পুঁজিবাজার এখন তলানিতে অবস্থান করছে। দ্রুত ঘুরে দাঁড়াতে বিনিয়োগকারীদের আস্থাহীনতা ও তারল্য সংকট কমাতে হবে। বৈঠকে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আস্থা ফেরাতে ব্যাংকের এক্সপোজার লিমিট আরো দু বছর বাড়ানো। বাজারে ধস কিংবা দুর্যোগ পূর্নপরিস্থিতি থেকে কাটিয়ে উঠতে ‘বেল আউট ফান্ড গঠন’ করা। তালিকাভুক্ত কোম্পানির লভ্যাংশের উপর দ্বৈত্ব কর নীতি চালু রয়েছে। তা বাতিল করা।
প্রতি মাসে অথবা ২ মাস অন্তর অন্তর শীর্ষ ৩০ ব্রোজাকারেজ হাউজকে নিয়ে বৈঠক করা। আর লেনদেন বাড়ানোর জন্য দিনের লেনদেন দিনেই নিষ্পত্তির সুযোগ দেওয়া, মোবাইলে লেনদেনকে জনপ্রিয় করতে আরো কিছুদিন বিনা চার্জে লেনদেন চালু রাখা। প্রতিটি ব্রোকারেজ হাউজে মোবাইল বুথ চালু করা।
প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে আসা বেশির ভাগ কোম্পানিরই গুণগত মান খুবই খারাপ। বিএসইসি’র উচিত আইপিওতে ভাল কোম্পানিকে অনুমোদন দেওয়া। যেসব মার্চেন্ট ব্যাংক বাজারে খারাপ ইস্যু এনেছে তাদেরকে শাস্তির আওতায় আনা।
তিনি বলেন, পুঁজিবাজার নিয়ে গণমাধ্যমে আলোচনা কিংবা সমালোচনা করার আগে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের উচিৎ স্টক এক্সচেঞ্জের ফোরামে আলোচনা কিংবা প্রস্তাব তুলে ধরা। কারণ টেলিভিশনে এখন পুঁজিবাজার সর্ম্পকে অনেক নেতিবাচক সমালোচনা হয়।
যেগুলো শুনে পুঁজিবাজারে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে। ফলে পুঁজিবাজারে প্রতি আস্থা হারিয়ে ফেলে। নতুন বিনিয়োগকারী বাজারেই আসতে চায় না। তাদের মধ্যে অনীহা সৃষ্টি হয়।
বাংলাদেশ সময়: ০৩৩৭ ঘণ্টা, মার্চ ৩০, ২০১৬
এমআই/বিএস