ঢাকা: বিদ্যুতের পর এবার ভারত-বাংলাদেশের যৌথ বিনিয়োগে এলপি গ্যাস প্ল্যান্ট স্থাপন করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। প্লান্টটি চট্টগ্রামে স্থাপনের বিষয়ে প্রথামিকভাবে স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে।
সোমবার (১৮ এপ্রিল) হোটেল র্যাডিসনে দু’দেশের জ্বালানি প্রতিমন্ত্রীর মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক শেষে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ এবং ভারতের প্রাকৃতিক গ্যাস বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী (ইন্ডিপেন্ডেন্ট চার্জ) ধর্মেন্দ্র প্রধান।
উভয় দেশের প্রতিমন্ত্রীদের বৈঠক শেষে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি) ও ভারতীয় রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান ন্যাশনাল অয়েল কোম্পানির মধ্যে এলপিজি প্ল্যান্ট স্থাপনে সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হয়।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, ভারত এই এলপিজি প্ল্যান্ট থেকে তাদের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোতে সরবরাহের প্রস্তাব দিয়েছে। বিষয়টি সক্রিয় বিবেচনায় রয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনের আগে দু’দেশের প্রতিমন্ত্রী পর্যায়ে প্রায় দুই ঘণ্টাব্যাপী বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে ত্রিপুরা থেকে সত্তর মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস আমদানির প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। জবাবে ভারতের প্রাকৃতিক গ্যাস বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বলেছেন, দেশে গিয়ে আলোচনা করে জানাবেন।
ভারতের নুমালীগড় থেকে পাইপলাইনের মাধ্যমে বাংলাদেশের পার্বতীপুরে জ্বালানি তেল আমদানি বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। অন্যদিকে ভারত বাংলাদেশের পাইপলাইনের মাধ্যমে খুলনা ভায়া রংপুর হয়ে পশ্চিমবঙ্গের উত্তরাংশে এলএনজি সরবরাহের প্রস্তাব দিয়েছে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।
মাইনিং সেক্টরে দু’দেশের ছাত্রদের জন্য স্কলারিশিপ প্রদান ও শিক্ষকদের অভিজ্ঞতা বিনিময় বিষয়ে আলোচনা হয়েছে বলে নসরুল হামিদ জানান।
বাংলাদেশ শিগগিরই গভীর সমুদ্রে তেল-গ্যাস অনুসন্ধান সার্ভে পরিচালনা করবে। জরিপ পরিচালনাকারী যানসমূহের স্থলসীমা লঙ্ঘন করার প্রয়োজন পড়তে পারে। সে ক্ষেত্রে ভারতের সহায়তা চাওয়া হলে ভারত সর্বাত্মক সহায়তার আশ্বাস দিয়েছে বলে জানান নসরুল হামিদ।
বৈঠকে ভারত মহেশখালীতে একটি ল্যান্ডবেজড এলএনজি টার্মিনাল স্থাপনের প্রস্তাব দিয়েছে। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে লিখিত প্রস্তাব দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে বলে জানান নসরুল হামিদ।
ভারতের প্রাকৃতিক গ্যাস বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী (ইন্ডিপেন্ডেন্ট চার্জ) ধর্মেন্দ্র প্রধান বলেন, জ্বালানির ক্ষেত্রে বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে সহযোগিতার বাড়াতে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা নেওয়া হয়েছে। এরই মধ্যে আমরা অনেক দূর এগিয়ে গেছি। পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে আরও এগিয়ে যেতে চাই।
তিনি বলেন. মোদিজী ও শেখ হাসিনা দু’জনে সহযোগিতার ক্ষেত্রে উদার। একত্রে কাজ করতে পারলে উভয় দেশ লাভবান হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৮, ২০১৬/আপডেট: ১৬১৬ ঘণ্টা
এসআই/এমজেএফ/