ঢাকা: ১৯ দফা দাবির কিছু না পেয়েও সদ্য প্রস্তাবিত বাজেটে সন্তোষ প্রকাশ করেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই ২০১৬-১৭)।
রোববার (০৫ জুন) বাজেট পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে সিএসইর চেয়ারম্যান আব্দুল মজিদ এ কথা জানান।
চেয়ারম্যান বলেন, সরকারে বাজেট ঘোষণায় সিএসই সন্তুষ্ট। তবে পুঁজিবাজারে চলমান সংকট এবং আস্থাহীনতা দূর করতে স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদী প্রণোদনা এবং নীতি সহায়তা দিতে হবে।
এগুলো দিলেই বিনিয়োগকারীদের মধ্যে বাজার সম্পর্কে আস্থা ও তারল্য সংকট কেটে যাবে, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা বাজারমুখী হবে। এতে অর্থনৈতিক উন্নয়নে পুজিবাজারের ভূমিকাও বহুগুণ বাড়বে।
তিনি বলেন, বাজেটে আমরা যা চেয়েছি তার কোনো কিছুই দেওয়া হয়নি। তবে বাজেট ঘোষণায় পুঁজিবাজারকে নিয়ে আলোচনা হয়েছে তাতেই সন্তুষ্ট। আর বাজেট এখনও শেষ হয়ে যায়নি। এখনও আমাদের প্রস্তাবগুলো ভেবে দেখার সুযোগ আছে। আমরা আশা করছি, পুঁজিবাজারের স্বার্থে প্রস্তাবগুলো বিবেচনা করা হবে।
এর আগে দুপুরে বাজেট পরবর্তী প্রতিক্রিয়ায় পুঁজিবাজার নিয়ে অর্থমন্ত্রীর আশাবাদেই খুশি বলে জানিয়েছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)।
সিএসইর ঢাকা অফিসে সংবাদ সম্মেলনে সিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম সাইফুর রহমান মজুমদার ও পরিচালক খায়রুল আনাম চৌধুরীসহ সিএসইর কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সিএসইর এমডি এম সাইফুর রহমান মজুমদার বলেন, সরকারের উন্নয়ন প্রকল্পের সঙ্গে পুঁজিবাজার অবিচ্ছেদ্য অংশ। তবে বাজেটে তার কোনো স্পষ্টতা নেই। স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদে প্রণোদনা পেলে বাজারে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। তাতে সক্ষম কোম্পানিগুলো বাজারে আসতে আগ্রহী হবে। বাজারে আস্থা বাড়বে, লেনদেনে গতি আসবে।
তিনি বলেন, সরকারের রূপকল্প বাস্তবায়নে পুঁজিবাজারকে আরও গতিশীল করতে হবে। কয়েকটি পদক্ষেপ বিবেচনার দাবি জানান তিনি। এরমধ্যে স্বল্প ও মধ্যমেয়াদী স্থিতিশীলতা ও আস্থা প্রতিষ্ঠার জন্য সুস্পষ্ট প্রণোদনা দেওয়া, ডিমিউচ্যুয়ালাইজেশন পরবর্তী ৫ বছরের কর সুবিধা প্রদান, উৎসে কর কমানো, লভ্যাংশের ওপর দ্বৈতকর নীতি পরিহার করা।
ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, বাজারের ক্রান্তিকাল দূর করতে বিশেষ প্রণোদনার প্রয়োজন রয়েছে। আমরা যে প্রস্তাবনা দিয়েছিলাম জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে (এনবিআর) সেগুলো ফের বিবেচনা করার জন্য দাবি জানাচ্ছি।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৫ ঘণ্টা, জুন ০৫, ২০১৬
জেডএস