বুধবার (২০ ডিসেম্বর) গুলশানের হোটেল ওয়েস্টিনে বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএমবিএ) আয়োজিত ‘দীর্ঘ মেয়াদী অর্থায়নে পুঁজিবাজারের ভূমিকা: বাংলাদেশ পরিপ্রেক্ষিত’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।
সংগঠনের সভাপতি ছায়েদুর রহমানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন, শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব পাবলিকলি লিস্টেড কোম্পানি (বিএপিএলসি) সভাপতি আজম জে চৌধরী এবং লিস্টেড কোম্পানির উদ্যোক্তারা।
অনুষ্ঠানে বিএসইসির চেয়ারম্যান বলেন, চলতি বছরে আইপিও’র অনুমোদন কম হয়েছে। তবে রাইট ও অন্যান্য ইস্যুর মাধ্যমে পুঁজিবাজার থেকে ক্যাপিটাল উত্তোলনের জন্য বেশ কিছু কোম্পানিকে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, কমিশন পুঁজিবাজার থেকে অনেক কোম্পানিকে মূলধন উত্তোলনের অনুমোদন দিয়েছে। যাতে আইপিও, রাইট শেয়ার ছেড়ে আরো দ্রুত পুঁজিবাজার থেকে টাকা উত্তোলন করতে পারে সেই জন্য কাজ করা হচ্ছে।
৯০ দিনের মধ্যেই আইপিওর অনুমোদন দেওয়া হবে জানিয়ে অধ্যাপক খায়রুল হোসেন বলেন, মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোকে ভালো কোম্পানি যাচাই করে পুঁজিবাজারে তালিকাভূক্তির জন্য আনতে হবে। তাদের অডিট রিপোর্ট ঠিক করে অনুমোদনের জন্য আবেদন করতে হবে।
অন্যদিকে খাপার কোম্পানিগুলো নিয়ে বসে, আলোচনা করে তাদের সমস্যাগুলো সমাধান করবেন, এরপর আবেদন করবেন। তা না হলে ভালো আইপিও বাজারে আসবে না।
বিল্ডিং পদ্ধতির অপব্যবহার হচ্ছে বলে মন্তব্য করে অধ্যাপক খায়রুল বলেন, ইদানিং কিছু কোম্পানিতে বুক বিল্ডিং পদ্ধতির অব্যবহারের দৃশ্য চোখে পড়েছে। বিএসইসি ব্যবস্থা নিচ্ছে কিছু নিয়মও সংশোধন করা হচ্ছে।
ভারতে বহুজাতিক কোম্পানিগুলো বেশির ভাগই পুঁজিবাজারে লিস্টেড। আমাদের দেশের ইউনিলিভারসহ বহুজাতিক কোম্পানিগুলোর সমস্যা সমাধান করে বাজারে তালিকাভূক্তিতে উৎসাহিত করুন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২০, ২০১৭
এমএফআই/এসএইচ