ডিএসই ও সিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইর বাজার মূলধন ১২ হাজার ১৯৬ কোটি ৪০ লাখ ২০ হাজার টাকা বা ৩.৫১ শতাংশ বেড়েছে।
এদিকে ব্যাংকের সার্কুলার জারি ও এডিবির ঋণের দেড় হাজার কোটি টাকা পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের খবরে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আস্থা ফিরছে বলে মনে করছেন বাজার সংশ্লিষ্টরা। তাদের মতে, দীর্ঘ খরার পরে এরকম ঘোষণা বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আস্থা সৃষ্টি করছে। তাই আগামী দিনে বাজার আরো ইতিবাচক হবে বলে মনে করেন তারা।
এদিকে বিদায়ী সপ্তাহে পুঁজিবাজারে লেনদেন বেড়েছে দুই হাজার ১৬ কোটি টাকা। এর মধ্যে দেশের প্রধান বাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) এর আগের সপ্তাহের তুলনায় ১ হাজার ৯২৫ কোটি এবং অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) ৯১ কোটি টাকা লেনদেন বেড়েছে।
সপ্তাজুড়ে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেন ৭৪ শতাংশ ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) লেনদেন ৫৯ শতাংশ বেড়েছে।
জানা গেছে, বিদায়ী সপ্তাহের পাঁচ কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ৪ হাজার ৫২১ কোটি ৭৪ লাখ ৭৪ হাজার ৯৪৪ টাকার লেনদেন হয়েছে। যা আগের সপ্তাহ থেকে ১ হাজার ৯২৫ কোটি ২৪ লাখ ২৪ হাজার ৯৮৫ টাকা বা ৭৪.১৫ শতাংশ বেশি। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ২ হাজার ৫৯৬ কোটি ৫০ লাখ ৪৯ হাজার ৯৫৯ টাকার।
ডিএসইতে বিদায়ী সপ্তাহে গড় লেনদেন হয়েছে ৯০৪ কোটি ৩৪ লাখ ৯৪ হাজার ৯৮৮ টাকার। আগের সপ্তাহে গড় লেনদেন হয়েছিল ৫১৯ কোটি ৩০ লাখ ৯ হাজার ৯৯১ টাকার। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে গড় লেনদেন ৩৮৫ কোটি ৪ লাখ ৮৪ হাজার ৯৯৭ টাকা বেশি হয়েছে।
বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৬৮ পয়েন্ট বা ৩.৬৯ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ৭৩৩ পয়েন্টে। অপর সূচকগুলোর মধ্যে শরিয়াহ সূচক ৪৪ পয়েন্ট বা ৪.২১ শতাংশ ও সিএসই-৩০ সূচক ৫৬ পয়েন্ট বা ৩.৬৬ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০৯০ ও ১৫৯৩ পয়েন্টে।
গত সপ্তাহে ডিএসইতে মোট ৩৫৮টি প্রতিষ্ঠান শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশ নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ২৪২টির বা ৬৮ শতাংশের, কমেছে ৯১টির বা ২৫ শতাংশের এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৫টির বা ৭ শতাংশের শেয়ার ও ইউনিট দর।
সপ্তাহজুড়ে ‘এ ক্যাটাগরি’ শেয়ারের লেনদেন বেড়েছে। বিনিয়োগকারীদের ভালো শেয়ারের প্রতি ঝুঁকতে দেখা গেছে। এই সময় ‘এ ক্যাটাগরি’ শেয়ার লেনদেন হয়েছে তিন হাজার ৯৩৫ কোটি ৭০ লাখ টাকার বা (৮৭) শতাংশ, ‘বি ক্যাটাগরি’ শেয়ারের লেনদেন হয়েছে ৪৮৫ কোটি ৫ লাখ টাকার বা (১০ দশমিক ৭৩ শতাংশ), ‘এন ক্যাটাগরি’ শেয়ারের লেনদেন হয়েছে ৭৩ কোটি ১০ লাখ টাকার বা (১ দশমিক ৬২ শতাংশ) এবং ‘জেড ক্যাটাগরি’র শেয়ার লেনদেন হয়েছে ২৭ কোটি ৮৭ লাখ টাকার বা (শূন্য দশমিক ৬২ শতাংশ)।
সপ্তাহজুড়ে লেনদেনের শীর্ষে থাকা ১০ প্রতিষ্ঠান হলো- লাফার্জ হোলসিম, খুলনা পাওয়ার, সামিট পাওয়ার, ওরিয়ন ফার্মা, গ্রামীণফোন, গোল্ডেন হারভেস্ট, বাংলাদেশ এক্সপোর্ট ইমপোর্ট, ইন্দো-বাংলা, ওরিয়ন ইনফিউশন ও এডিএন টেলিকম।
অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সপ্তাহজুড়ে ২৪৫ কোটি ৪৩ লাখ ৫৬ হাজার ৯২০ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। তার আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ১৫৪ কোটি ৭২ হাজার ৫৫ টাকার। এ হিসাবে সপ্তাহের ব্যবধানে সিএসইতে টাকার পরিমাণে লেনদেন ৯১ কোটি ৪২ লাখ ৮৪ হাজার ৮৬৫ টাকা বা ৫৯ শতাংশ বেড়েছে।
বিদায়ী সপ্তাহে সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৬২২ পয়েন্ট বা ৪.৪৭ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪ হাজার ৫২৫ পয়েন্টে। এছাড়া সিএসসিএক্স ৩৮০ পয়েন্ট বা ৪.৫০ শতাংশ, সিএসই-৩০ সূচক ৮১৭ পয়েন্ট বা ৬.৮৩ শতাংশ, সিএসই-৫০ সূচক ৪৬ পয়েন্ট বা ৪.৫৮ শতাংশ এবং সিএসআই ৪৩ পয়েন্ট বা ৪.৭০ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ৮ হাজার ৮১২ পয়েন্ট, ১২ হাজার ৭৭৫ পয়েন্ট, ১০৫৩ পয়েন্ট এবং ৯৪৬ পয়েন্টে।
ওই সপ্তাহে সিএসইতে মোট ৩১৩টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের হাত বদল হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ২৩৩টির বা ৭৫ শতাংশ, দর কমেছে ৬০টির বা ১৯ শতাংশ এবং দর অপরিবর্তিত রয়েছে ২০টির বা ৬ শতাংশ।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২২, ২০২০
এসএমএকে/জেডএস