ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৬ আশ্বিন ১৪৩১, ০১ অক্টোবর ২০২৪, ২৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

খেলা

খেলাধুলার ভিন্ন জগৎ

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০০২ ঘণ্টা, অক্টোবর ১, ২০২৪
খেলাধুলার ভিন্ন জগৎ

বসুন্ধরা স্পোর্টস কমপ্লেক্সে সাঁতার, ক্রিকেট, ফুটবল, হকি, ব্যাডমিন্টন, প্যাডেল টেনিস, টেবিল টেনিস, লন টেনিস, সাইক্লিং, ফুটসাল, স্কোয়াশ, স্কেটিং, বাস্কেটবল, ভলিবল, কাবাডিসহ প্রায় ২০ ধরনের খেলার সুযোগ পাবে শিক্ষার্থীরা। স্কুলের শিক্ষার্থীরা পড়াশোনার পাশাপাশি অত্যাধুনিক এ স্পোর্টস কমপ্লেক্সে খেলাধুলা করতে পারবে।

স্কুলের সুবিশাল মাঠের সঙ্গে অত্যাধুনিক স্পোর্টস কমপ্লেক্সের সুবিধা রাজধানীর স্কুলগুলোতে কল্পনাও করা যায় না। এখানে অনন্য বসুন্ধরা পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ। এ অবিশ্বাস্য সুযোগ নিয়ে আগামী বছরের ১ জানুয়ারি যাত্রা করতে যাচ্ছে এ স্কুল। স্কুলের ডিজিটাল আইডি কার্ড ব্যবহার করে অত্যাধুনিক এ স্পোর্টস কমপ্লেক্সে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে ২০ ধরনের খেলার সুযোগ পাবে শিক্ষার্থীরা।

বসুন্ধরা পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ উন্নত শিক্ষা সুবিধার সঙ্গে খেলাধুলার সমন্বয়ে শিশুর মানসিক বিকাশের অনন্য সুযোগ তৈরি করেছে। প্রতিষ্ঠানটিতে প্রাথমিকভাবে নার্সারি থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষা কার্যক্রম চালু হচ্ছে। খেলাধুলার জন্য ১০ বিঘা জমির ওপর নির্মিত মাঠের পাশাপাশি বসুন্ধরার বেশ কয়েকটি স্টেডিয়াম ও স্পোর্টস কমপ্লেক্সের বেশকিছু সুযোগসুবিধা শিক্ষার্থীদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, কমপ্লেক্সে যেসব সুযোগসুবিধা থাকবে, তা শুধু দক্ষিণ এশিয়ায় নয়, গোটা এশিয়াতেই আছে গুটিকতক ক্লাবের। এটা বসুন্ধরা পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষার্থীদের জন্য অনন্য সুযোগ। প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা বসুন্ধরা স্পোর্টস কমপ্লেক্সে অন্তত ২০টি খেলাধুলার সুযোগ পাবে। প্রায় ৮২৭ একর জায়গায় গড়ে ওঠা বসুন্ধরা স্পোর্টস কমপ্লেক্সে রয়েছে ক্রিকেট, ফুটবলসহ বিভিন্ন খেলার অবারিত সুযোগ।

বিভিন্ন খেলার মধ্যে শুরুতেই বলতে হয় ক্রিকেটের কথা। সিক্স এ সাইট মাঠ, প্রায় ২৫ হাজার দর্শক ধারণক্ষমতাসম্পন্ন স্পোর্টস কমপ্লেক্স মাঠ, ক্রিকেট নেট প্র্যাকটিসের জন্য ছয়টি ইনডোর এবং চারটি আউটডোর পিস, ফুটবলের জন্যও রয়েছে অনেক সুযোগসুবিধা। ব্যাডমিন্টন খেলার জন্যও রয়েছে ৫০০-এর বেশি দর্শক ধারণক্ষমতাসম্পন্ন ২৪টি ইনডোর কোর্ট। প্যাডেল টেনিসের জন্য ৮৯ হাজার ৫০০ স্কয়ার ফিটসহ স্পোর্টস কমপ্লেক্সে ১৬টি টার্ফ, যেখানে দর্শক দিনরাতের খেলা উপভোগ করতে পারবেন। এ ছাড়া দক্ষিণ অংশে রয়েছে প্রাকৃতিক ঘাসের তিনটি মাঠ। সাঁতারের জন্য স্পোর্টস কমপ্লেক্সে রয়েছে দুটি জাকুজিসহ ১২ জনের জন্য সুইমিংপুল। এ ছাড়া রয়েছে ই-স্পোর্টস সুবিধা; আর্চারি (তিরন্দাজ), বিলিয়ার্ড ও বোলিং খেলার সুবিধা। স্পোর্টস কমপ্লেক্সে রয়েছে বিশেষায়িত জুলকান ইনডোর অ্যারিনা। যেখানে ক্রীড়া কমপ্লেক্সের উত্তর অংশে বক্সিং, এমএমএ, তায়কোয়ান্দো, রক ক্লাইম্বিং, রোপ ক্লাইম্বিং, মুয়াইথাই, বাস্কেটবল, ভলিবল, টেবিল টেনিস, স্কোয়াশ খেলার সুযোগসুবিধা। এ ছাড়া রয়েছে গোল্ডস জিম। বসুন্ধরা পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষার্থীদের তায়কোয়ান্দো, কারাতে, জুডো শেখার ব্যবস্থাও করেছে স্কুল কর্তৃপক্ষ।

পরিকল্পনাবিদদের মতে, জনসংখ্যা অনুপাতে ঢাকায় ১ হাজারের বেশি খেলার মাঠ থাকা প্রয়োজন। সেখানে রয়েছে মাত্র ২৩৫টি। নগর-পরিকল্পনার মানদণ্ড অনুযায়ী জনসংখ্যার অনুপাতে ঢাকা মহানগরীতে ৭৯৫টি খেলার মাঠের ঘাটতি রয়েছে। ইনস্টিটিউট ফর প্ল্যানিং এন্ড ডেভেলপমেন্টের (আইপিডি) গবেষণা প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশের বিভাগীয় শহরগুলোর মধ্যে রাজশাহীতে ৩৭, খুলনায় ৬৫, সিলেটে ৪০ ও বরিশালে ৪৫টি খেলার মাঠের ঘাটতি রয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রাজধানীসহ সারা দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যেখানে খেলার মাঠই নেই, সেখানে একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে খেলার মাঠসহ পুরো স্পোর্টস কমপ্লেক্স স্বপ্নের মতো।

নগর পরিকল্পনাবিদ অধ্যাপক আদিল মোহাম্মদ খান বলেন, ‘খেলার মাঠ ছাড়া একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কথা চিন্তা করাও ভবিষ্যতের জন্য বিপদ। আমাদের প্রয়োজন অনুযায়ী খেলার মাঠ নেই। মাঠগুলো দখল করে বড় বড় দালান উঠছে। এতে শিক্ষার্থীরা খেলার মাঠের পরিবর্তে মোবাইলে ঝুঁকছে। কেউ কেউ খারাপ পথেও চলে যাচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে একটি প্রতিষ্ঠানে খেলার মাঠ এবং পুরো একটি স্পোর্টস কমপ্লেক্স থাকাটা অনন্য। এভাবেই ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কথা চিন্তা করে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।  

স্বপ্নপথের সহযাত্রী শিক্ষাগুরু


মো. জাহাঙ্গীর আলম
উপাধ্যক্ষ (একাডেমিক), বসুন্ধরা পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ

বসুন্ধরা পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজের উপাধ্যক্ষ (একাডেমিক) হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন মো. জাহাঙ্গীর আলম। এর আগে তিনি আরও দুটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। চট্টগ্রাম ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক কলেজে তিনি ১৯৯২ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর লেকচারার হিসেবে যোগদান করেন এবং ২০২১ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি অধ্যাপক হিসেবে অবসর গ্রহণ করেন।

মাহবুবা উম্মে কুলসুম
শিক্ষক, বসুন্ধরা পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ

বসুন্ধরা পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজের সিনিয়র শিক্ষক মাহবুবা উম্মে কুলসুম লেখক ও কবি মাহবুবা ফারুক নামে সমধিক পরিচিত। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স এবং উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি বিএড ডিগ্রি অর্জন করেন। বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ পাবলিক কলেজে দীর্ঘ ২৬ বছর শিক্ষকতা করে প্রভাষক হিসেবে অবসর গ্রহণ করেন। তাঁর দীর্ঘ শিক্ষকতা জীবন খুবই বর্ণাঢ্যময়।

নাসরীন আহমদ
শিক্ষক, বসুন্ধরা পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ

নাসরীন আহমদ দুই দশকের বেশি সময় ধরে শিক্ষকতা পেশায় যুক্ত রয়েছেন। একজন নিবেদিতপ্রাণ শিক্ষক হিসেবে নতুন প্রতিষ্ঠিত বসুন্ধরা পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজে নিজের অভিজ্ঞতা পাঠদানে কাজে লাগাতে চান তিনি। এর আগে ‘স্কলাস্টিকা’য় ১৬ বছরের কর্মজীবনে শিক্ষা ক্ষেত্রে অনেক অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন নাসরীন আহমদ।

কবির আহমেদ খান
শিক্ষক, বসুন্ধরা পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ

কবির আহমেদ খান একজন নিবেদিতপ্রাণ শিক্ষক, যিনি ঢাকা কলেজ থেকে রসায়নে মাস্টার্স করেছেন। পরে বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএড এবং এমএড ডিগ্রি সম্পন্ন করেন। কবির ২০১২ সালে ক্যামব্রিয়ান কলেজে রসায়ন লেকচারার হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন এবং প্রায় ১১ বছর বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আব্দুর রউফ পাবলিক কলেজে সিনিয়র শিক্ষক হিসেবে কাজ করেছেন।

সায়লা নূর
শিক্ষক, বসুন্ধরা পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ

সায়লা নূর বর্তমানে বসুন্ধরা পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজে শিক্ষক হিসেবে কর্মরত আছেন। তিনি আহ্ছানউল্লা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার অব এডুকেশন (এমএড) এবং ন্যাশনাল টিচার্স ট্রেনিং ইনস্টিটিউট (এনটিটিআই) থেকে ব্যাচেলর অব এডুকেশন (বিএড) ডিগ্রি অর্জন করেছেন।

হিমতুল কর্মকার
শিক্ষক, বসুন্ধরা পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ

হিমতুল কর্মকার বসুন্ধরা পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজে শিক্ষক হিসেবে কর্মরত আছেন। তিনি চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট) থেকে ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস্ ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) ডিগ্রি নিয়ে স্নাতক সম্পন্ন করেছেন। পেশাগতভাবে একজন ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে এবং শিক্ষক হিসেবে তাঁর অভিজ্ঞতা রয়েছে।

সাবিহা শারমিন
শিক্ষক, বসুন্ধরা পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ

সাবিহা শারমিন একজন শিল্পী এবং শিক্ষক। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে চারুকলা এবং এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ থেকে শিক্ষায় স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেছেন। তিনি নামকরা ইংরেজি মাধ্যম স্কুল স্কলাস্টিকায় ১০ বছরের বেশি শিক্ষক হিসেবে ছিলেন। বর্তমানে বসুন্ধরা পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজে শিক্ষক হিসেবে যোগ দিয়েছেন।

হাফসা আক্তার সাথী
শিক্ষক, বসুন্ধরা পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ

হাফসা আক্তার সাথী বসুন্ধরা পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজে ইংরেজি বিষয়ে সহকারী শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। ২০১৭ সাল থেকে তিনি বিভিন্ন ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে শিক্ষকতা করছেন। ২০১৯ সালে চীনের গুয়াংজু শহরের মন্টেসরি ইন্টারন্যাশনাল স্কুলে কাজ করেছেন, যা তাঁর শিক্ষাদানের দক্ষতা বৃদ্ধি করেছে। তিনি ইংরেজি সাহিত্যে অনার্স ডিগ্রি এবং ইংরেজি ভাষা শিক্ষায় মাস্টার্স সম্পন্ন করেছেন।

আফসানা রাহমান লিওনী
সাইকোলজিস্ট, বসুন্ধরা পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ

আফসানা রাহমান লিওনী বসুন্ধরা পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজে সাইকোলজিস্ট এন্ড হেড অব ডিসিপ্লিন হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। বিএসএস (সাইকোলজি) সম্পন্ন করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে পোস্ট গ্র্যাজুয়েশন ট্রেনিং (পিজিটি) সম্পন্ন করেন সাইকোথেরাপির ওপর।

সাইকোলজিস্ট হিসেবে মানসিক স্বাস্থ্য ও এনডিডি নিয়ে কাজের অভিজ্ঞতা রয়েছে তাঁর। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে পরিচালিত ‘ঢাকা প্রয়াস’ এবং বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের পৃষ্ঠপোষকতায় পরিচালিত ‘দীপ্ত সীমান্ত’ কর্মসূচিতে কাজের অভিজ্ঞতা রয়েছে তাঁর।

তোহফাতুল ফেরদৌস
শিক্ষক, বসুন্ধরা পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ

তোহফাতুল ফেরদৌস বসুন্ধরা পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজে শিক্ষক হিসেবে কর্মরত আছেন। তিনি সম্প্রতি যুক্তরাজ্যের নটিংহাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আন্তর্জাতিক ব্যবসায় দ্বিতীয় মাস্টার ডিগ্রি সম্পন্ন করেছেন। এর আগে তিনি বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন থেকে স্নাতক সম্পন্ন করেছেন। স্নাতকোত্তর শেষ করার পর তিনি পাঁচ বছর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। শিক্ষার প্রতি তাঁর ভালোবাসা তাঁকে এ পেশায় আগ্রহী করে তুলেছে। তিনি ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শিক্ষায় মাস্টার্স (এমএড) সম্পন্ন করেছেন। শিক্ষকের মর্যাদা এবং শিক্ষকতার চ্যালেঞ্জ সামনে রেখে তিনি এ পেশায় ক্যারিয়ার গড়তে চেয়েছেন।

বাংলাদেশ সময়: ০৯৩৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ০১, ২০২৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।