ঢাকা: ওজন কমেছে ১১ কেজি। শরীর বেশ হালকা হয়ে এসেছে।
মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে টানা তিন ঘন্টা ঘাম ঝাড়িয়ে সাজঘরে ফিরলেন জাতীয় দলের এই পেস বোলার। এরপর ছুটলেন দোতলায় ক্রিকেট অপারেশন্স বিভাগে। উদ্দেশ্য শ্রীলঙ্কা যাওয়ার ভিসার অগ্রগতি সম্পর্কে জেনে নেওয়া। তাকে যখন জানানো হলো ভিসা হয়ে গেছে তখনই বাড়তি আগ্রহ নিয়ে মাশরাফি জানতে চাইরেন দলে জায়গা পাবো তো?
এমন শঙ্কিত মাশরাফিকে আগে কখনোই দেখা যায়নি। দলে জায়গা পাওয়া নিয়ে কোন দিনই ভাবতে হয়নি তাকে। তার জীবনে ছন্দপতন ঘটিয়েছে সর্বশেষ একটি চোট। ২০০৯ সালের জুলাই মাসে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে চোট পেয়েছিলেন নেতা মাশরাফি। সেবার তার দল বিদেশের মাটিতে প্রথমবার টেস্ট এবং ওয়ানডে সিরিজ জিতেছিলো। কিন্তু মাশরাফির জায়গা হয় মাঠের বাইরে। এরপর হাসপাতালে।
হাঁটুর সফল অস্ত্রোপচার শেষে দেশে ফিরে পুনর্বাসন প্রকৃয়ার মধ্যদিয়ে অনেকটা সময় চলে যায় জাতীয় দলের অধিনায়কের। এবছর নিউজিল্যান্ড সফরে জাতীয় দলের সদস্যও নির্বাচিত হন। কিন্তু ফের অসুস্থ হওয়ায় ওই সফরে আর যাওয়া হয়নি মাশরাফির।
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে হোম সিরিজে ওয়ানডে দলে ডাক পড়ে নড়াইল এক্সপ্রেসের। একটি ম্যাচ খেলেই আবার দলের বাইরে ছিটকে পড়েন সাবেক অধিনায়ক। অভিমান নিয়ে দেশ ছেড়ে পাড়ি জমান কোলকাতায়, ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ-আইপিএলে নাইটরাইডার্সের প্রশিক্ষণ ক্যাম্পে যোগদিতে।
আইপিএলে কোন ম্যাচ খেলার সুযোগ হয়নি তার। তবে নিজেকে আন্তর্জাতিক ম্যাচ লেখার উপযোগি করে তুলেছেন ওখান থেকেই। বুধবার মাশরাফি বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম.বিডি’কে বলছিলেন,“দেশে থাকলে আমি হয়তো সহজে ফিরতে পারতাম না। আইপিএল আমাকে অনেক সাহায্য করেছে। এখন আমি শারীরিকভাবে অনেক ভাল অবস্থায়। ”
টোয়েন্ট-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে মাশরাফি ছিলেন। দারুণ ছন্দ নিয়েই বোলিং করেছেন। এরপর ইংল্যান্ড সিরিজে টেস্ট সিরিজ থেকে নিজেকে সরিয়ে নেন। হয়তো টেস্ট ক্রিকেটে আর ফিরতেই চান না জাতীয় দলের এই নির্ভরযোগ্য পেস বোলার। তার কথাতেই তেমন ইঙ্গিত,“বোধহয় আর টেস্ট খেলবো না। ওয়ানডে আর টোয়েন্টি-টোয়েন্টি নিয়ে থাকলে অনেক ক্রিকেটে থাকতে পারবো। ”
বাংলাদেশ স্থানীয় সময়: ২১০২ ঘ. ০৯ জুন, ২০১০
এসএ