ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

খেলা

ফিরে দেখা-২০১৪

একক টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজনের কীর্তিলাভ

তৌহিদুল আলম, স্পোর্টস করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২৪৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৯, ২০১৪
একক টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজনের কীর্তিলাভ

ঢাকা: অনেক অন্যসব অর্জনের পাশাপাশি ক্রিকেটেও ২০১৪ সালটা স্মরণীয় হয়ে থাকবে। বিশেষত এই বছরেই এককভাবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের কীর্তি লাভ করে বাংলাদেশ।

১৬ মার্চ থেকে শুরু হয়ে ছয় এপ্রিল ফাইনালের মধ্য দিয়ে শেষ হয় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ উৎসবের।

টাইগারদের অর্জন ততোটা উল্লেখযোগ্য না হলেও টুর্নামেন্টের সফল আয়োজন করে বাংলাদেশের সংগঠকরা প্রমাণ করেছেন বড় প্রতিযোগিতা আয়োজনে নিজেদের সক্ষমতা। পুরুষ ও নারীদের ওয়ার্ল্ড টি-টোয়েন্টি প্রতিযোগিতা আয়োজনে পুরোপুরি সফলতার দাবি করা যেতেই পারে, কেবল চট্টগ্রাম এবং সিলেটে আলো বিভ্রাটের কথা বাদ দিলে।

ফতুল্লায় প্রস্তুতি ম্যাচ সম্পন্ন হওয়ার পর ১৬ মার্চ থেকে ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট এবং নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা মিলিয়ে মোট চারটি ভেন্যুতে ওয়ার্ল্ড টি-টোয়েন্টির খেলাগুলো অনুষ্ঠিত হয়।

কেবল খেলা আয়োজনে নয়, খেলাকেন্দ্রিক বিনোদন আয়োজনেও সফলতার দাবি করা যেতে পারে।

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রচারণায় দেশের স্কুল, কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাড়া মহল্লার কিশোর-কিশোরী, তরুণ-তরুণীরা ‘চার ছক্কা হই হই বল গড়াইয়া গেল কই’ গানের তালে তালে মেতেছিল ফ্ল্যাশ মব উৎসবে।

প্রচারণার পর শুরু হওয়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রতিযোগিতা এবার দু’ভাগে অনুষ্ঠিত হয়। মূল পর্ব শুরু হওয়ার আগে অনুষ্ঠিত হয় কোয়ালিফাইং রাউন্ড। ১৬ মার্চ মিরপুরে বাংলাদেশ এবং আফগানিস্তানের ম্যাচ দিয়ে শুরু হয় কোয়ালিফাইং রাউন্ডের গ্রুপের খেলা।

কোয়ালিফায়িং রাউন্ডে এ গ্রুপে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ ছিল আফগানিস্তান, নেপাল এবং হংকং। অন্যদিকে জিম্বাবুয়ের প্রতিপক্ষ ছিল নেদারল্যান্ডস, আরব আমিরাত এবং আয়ারল্যান্ড। বি গ্রুপের খেলাগুলো অনুষ্ঠিত হয়েছিল সিলেট বিভাগীয় স্টেডিয়ামে। এ গ্রুপ থেকে বাংলাদেশ এবং বি গ্রুপ থেকে চমক জাগিয়ে নেদারল্যান্ডস মূল পর্বে জায়গা করে নেয়।

তবে মূল পর্ব শুরু হয় ২১ মার্চ মিরপুরে দুই নং গ্রুপের ভারত–পাকিস্তানের ম্যাচ দিয়ে। দুই নং গ্রুপের বাকি খেলাগুলোও অনুষ্ঠিত হয়েছিল ঢাকায়। গ্রুপটির অন্য দলগুলো ছিলো বাংলাদেশ, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, অস্ট্রেলিয়া। অন্যদিকে এক নং গ্রুপের শ্রীলঙ্কা, ইংল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা, নিউজিল্যান্ড এবং নেদারল্যান্ডসের খেলাগুলো অনুষ্ঠিত হয়েছিল চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে।

শ্রীলঙ্কা –ওয়েস্ট ইন্ডিজ সেমিফাইনালে শিলা বৃষ্টি
৩ এপ্রিল মিরপুরে ওয়েস্ট ইন্ডিজ-শ্রীলঙ্কার সেমিফাইনাল ভেসে গিয়েছিল শিলা বৃষ্টিতে। ফলে ডাকওয়ার্থ লুইস মেথডে লঙ্কানরা ২৭ রানে জয়ী হয়।

কুমারা সাঙ্গাকারাকে বিদায়ী উপহার

শ্রীলঙ্কার দুই ব্যাটিং লিজেন্ড কুমারা সাঙ্গাকারা আগেই ঘোষণা দিয়েছিলেন টি-টোয়েন্টি বিশ্ব আসরের পর ক্রিকেটের এই সংক্ষিপ্ত ফরম্যাট থেকে অবসর নেবেন। মিরপুরে ছয় এপ্রিল ভারতকে ছয় উইকেটে হারিয়ে ওয়ার্ল্ড টি-টোয়েন্টির শিরোপা জিতে লঙ্কান ক্রিকেটাররা সাঙ্গাকারাকে দিয়েছিলেন অসাধারণ বিদায় উপহার

নারীদের ওয়ার্ল্ড টি-টোয়েন্টি

নারীদের ওয়ার্ল্ড টি-টোয়েন্টির সবগুলো ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছিল সিলেটের বিভাগীয় স্টেডিয়ামে। তবে সেমিফাইনাল এবং ফাইনাল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছিল ঢাকায়। ফাইনালে ইংল্যান্ডকে ছয় উইকেটে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় অস্ট্রেলিয়া।

এই আয়োজন সফলভাবে সম্পন্ন করে বাংলাদেশ এর চেয়েও বৃহত্তর আয়োজনে সক্ষমতারই পরিচয় দিল।

বাংলাদেশ সময়: ০২৪৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৯, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।