ঢাকা: ২০০৫ সালে ইংল্যান্ড সফরে আফতাব আহমেদের ব্যাটিংয়ের ধরণ থেকে তাকে বাংলাদেশের ক্রিকেটের বড় বিজ্ঞাপন বলে অভিহিত করেছিলেন সে সময়ের ইংল্যান্ড অধিনায়ক মাইকেল ভন। সে সফরে ফ্লিনটফ, হার্মিসেনদের অবলীলায় করেছিলেন সীমানা ছাড়া করেছিলেন আফতাব।
পাঠক একটু মনে করে দেখুন ২০০৫ সালের ১৮ জুন তারিখের কথা। কার্ডিফে শেষ ওভারে জেসন গিলেস্পির লেংন্থ বলে আফতাবের মিড উইকেটের ওপর দিয়ে মারা ছয় আর সঙ্গে সঙ্গে সে সময়ের অজি অধিনায়ক রিকি পন্টিংয়ের অন্ধকার মুখ আর বাংলাদেশের উচ্ছসিত ড্রেসিং রুম।
বাংলাদেশের হয়ে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ২০০৪ সালের নভেম্বরে আন্তর্জাতিক ম্যাচে প্রথম পাঁচ উইকেট নেওয়ার কৃতিত্ব দেখান এ মিডিয়াম পেসার।
কিন্তু আফতাবের আগমন ধ্বনিতে যতটা আশা জাগানিয়া অনুরণন ছিল, ঠিক তেমনিই ক্রিকেটাঙ্গন থেকে বিদায় নিলেন স্টাইলিশ এ ব্যাটসম্যান।
কিন্তু নিজেই নিজের বিপদ ডেকে আনেন ২০০৭ সালে ভারতের বিদ্রোহী ক্রিকেট লিগ আইসিএলে যোগ দিয়ে। ১০ বছরের জন্যে নিষিদ্ধ হন আফতাব। এরপর আর ছন্দে ফিরতে পারেননি।
শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলছিলেন ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ২০১০ সালের ১৬ মার্চ। এরপর ঘরোয়া ক্রিকেট লিগেও তার চাহিদা কমতে থাকে।
সবমিলিয়ে ২৯ বছর বয়েসী আফতাব নিজেই বুঝতে পেরেছিলেন অকালেই ফুরিয়ে গেছেন তিনি। এ বছর আগস্টের ২৭ তারিখ প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগের দলবদলে ব্রাদার্স ইউনিয়নের হয়ে খেলার জন্যে সই করতে এসে সাংবাদিকদের জানিয়ে দেন এ মৌসুম শেষেই অবসরে যাবেন তিনি।
সুপার লিগে উঠতে ব্যর্থ হয় ব্রাদার্স আর অনেক সম্ভাবনাময় আফতাবের ক্রিকেট ক্যারিয়ারের ইতি ঘটে ২০১৪ সালে।
বাংলাদেশ সময়: ০৪২৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৯, ২০১৪