ঢাকা: বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের পঁচা শামুকে পা কাটার অভ্যাস পুরনো। টেস্ট স্ট্যাটাস অর্জনের পরও ২০০৩ বিশ্বকাপে হেরেছিল আইসিসির সহযোগী সদস্য দেশ কানাডা এবং কেনিয়ার বিপক্ষে।
২০০৭ বিশ্বকাপে ভারত এবং দক্ষিণ আফ্রিকা দুই জায়ান্টকে হারালেও, নিজেরা হেরেছিল আরেক সহযোগী সদস্য আয়ারল্যান্ডের কাছে। ২০০৯ সালে ইংল্যান্ডে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও আইরিশদের কাছে হার মানতে হয়েছিল আশরাফুলদের।
ছোট দলগুলোর কাছে হারের অভিজ্ঞতা একদমই নতুন নয় বাংলাদেশের জন্যে।
২০১৪ সালেও আইসিসির দুই সহযোগী সদস্য আফগানিস্তান এবং হংকংয়ের কাছে হারের লজ্জা বহন করতে হয়েছে সাকিব মুশফিকদের।
আফগান লজ্জা:
২০১৪ সালের ১ মার্চের স্মৃতি ভুলে যেতে চাইবেন বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। এদিন ফতুল্লায় এশিয়া কাপে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে আফগানদের কাছে ৩২ রানে হেরে যায় স্বাগতিকরা।
টসে জিতে বাংলাদেশের অধিনায়ক মুশফিক ফিল্ডিং বেছে নিয়েছিলেন। ৯০ রানের মধ্যে পাঁচ উইকেট তুলে নিয়ে সহজ জয়েরই ইঙ্গিত দিয়েছিল বাংলাদেশ। কিন্তু সামিউল্লাহ শেনওয়ারি এবং আসগার স্ত্যানিকজায়ের ১৬৪ রানের পার্টনারশিপে আফগানরা ২৫৪ রানের ফাইটিং স্কোর দাঁড় করায়।
২৫৫ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে এলোমেলো ব্যাটিংয়ের খেসারত দিয়ে ম্যাচটি হেরে যায় মুশফিক বাহিনী। বাংলাদেশ অলআউট হয় ২২২ রানে।
হংকং লজ্জা
আফগানদের সঙ্গে হারের ২০ দিন পর ওয়ার্ল্ড টি-টোয়েন্টির কোয়ালিফাইং রাউন্ডে আরও বড় লজ্জায় ডোবে বাংলাদেশ।
চট্টগ্রামে ২০ মার্চ এক নম্বর গ্রুপের কোয়ালিফাইং রাউন্ডের শেষ ম্যাচে পুঁচকে হংকংয়ের কাছে দুই উইকেটে হের যায় টাইগাররা।
টস জিতে হংকং ব্যাটিংয়ে পাঠায় স্বাগতিকদের। কিন্তু অমার্জনীয় ব্যাটিং ব্যর্থতায় ১৬.৩ ওভারে ১০৮ রানে অলআউট হয়ে যায় বাংলাদেশ।
১০৯ রানের ছোট্ট পুঁজিকে হংকংয়ের জন্য কঠিন করে ফেলেছিলো সাকিবদের ঘূর্ণি জাদু। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। ৮৩ রানের মধ্যে ছয় উইকেট তুলে নিয়ে জয়ের আশা জাগিয়েও শেষ পর্যন্ত দুই বল বাকি থাকতে শেষ হাসি হাসে হংকং।
বাংলাদেশ সময়: ০১০০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩১, ২০১৪