ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১০ অক্টোবর ২০২৪, ০৬ রবিউস সানি ১৪৪৬

খেলা

ফিরে দেখা-২০১৪

সফলতা-ব্যর্থতা মিলিয়ে বাংলাদেশের ফুটবল

মুশফিক পিয়াল, স্পোর্টস করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৫৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩১, ২০১৪
সফলতা-ব্যর্থতা মিলিয়ে বাংলাদেশের ফুটবল ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম/ফাইল ফটো

ঢাকা: বছরের শেষ দিনে এসে পেছন ফিরে তাকালে বাংলাদেশের ফুটবলের কোন ছবিটা প্রথম চোখে ভাসে? বছরজুড়ে ছিল আন্তর্জাতিক ফুটবলের রমরমা আসর। কিন্তু তার মাঝেও ছিল বাংলাদেশের ফুটবলের খন্ড খন্ড কিছু চিত্র।

ছিল আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচের মেলা।

বাংলাদেশ জাতীয় দলের ডাচ কোচ লোডভিক ডি ক্রুইফকে নিয়ে চলেছে একের পর এক নাটক। ছিল ডাচ কোচ ক্রুইফকে পারিশ্রমিক দিতে না পারার বিতর্ক।

শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব এবং শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র খেলেছে বিদেশের মাটিতে। এছাড়া বাংলাদেশের ফুটবলে হাসি ফিরিয়ে এনেছিল এদেশের ক্ষুদে নারী ফুটবলাররা। এশিয়ার সেরা দশে স্থান পেয়েছেন বাংলাদেশের সানজিদা আক্তার।

ক্লাবের পাশাপাশি জাতীয় দলের অধিনায়ক মামুনুল ইসলামও পাড়ি দিয়েছিলেন বিদেশের মাটিতে খেলতে।   ইন্ডিয়ান সুপার লিগে মামুনুল খেলতে গিয়ে দেশকে পাইয়ে দিয়েছিলেন আন্তর্জাতিক ফুটবলের স্বাদ।

বিভিন্ন বিতর্কের পাশাপাশি এ বছর বাংলাদেশের ফুটবলের যেমন রয়েছে সাফল্য, তেমনি রয়েছে অনেক ব্যর্থতা? যেটি খুঁজলেই পাওয়া যাবে।

২০১৪ সালটা বাংলাদেশের ফুটবলের জন্য নানা ইতিবাচকই হয়ে থাকছে। তবে আগে নেতিবাচক দিয়ে শুরু করা যাক। ব্যর্থতায় বছর কেটেছে বাংলাদেশের ফুটবল কোচ নিয়োগে। উচ্চ বেতনে নিয়োগ দেয়া দুই ডাচ কোচকে পরে ছেড়ে দেয় বাফুফে। গণমাধ্যমে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) সম্পর্কে নেতিবাচক বক্তব্য আর ঘন ঘন ছুটির অভিযোগে গত ১৯ অক্টোবর কোচের পদ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয় ক্রুইফকে। তবে, আবারো শোনা যাচ্ছে বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপের আগেই জাতীয় দলে আবার তাকে ফিরিয়ে আনা হবে। তবে, সেটি স্বল্প মেয়াদের জন্য।

নেতিবাচক এ তালিকায় কোচ মারুফুল হককে বাফুফের দেওয়া ছয় মাসের নিষেধাজ্ঞাও রাখতে হচ্ছে।

শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের কারণে বাংলাদেশের ফুটবল আন্তর্জাতিক ম্যাচের স্বাদ পেয়েছে। সঙ্গে ছিল শেখ রাসেল ক্রীড়াচক্র। ভুটান থেকে কিংস কাপ জিতে নিয়ে এসেছে শেখ জামাল। ফেব্রুয়ারিতে কলকাতার আইএফএ শিল্ড খেলতে যায় শেখ জামাল। পুরো টুর্নামেন্টে অসাধারণ খেলা দলটি ফাইনালে দারুণ খেলেও টাইব্রেকারে হেরে বসে। এএফসি প্রেসিডেন্টস কাপে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে চূড়ান্ত পর্বে খেলেছে শেখ রাসেল।

এ বছরই সবচেয়ে বেশি (৭টি) আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশের ফুটবলাররা। আর সব ম্যাচ মিলিয়ে সে সংখ্যাটা গিয়ে দাঁড়ায় দশে। ভারতের সঙ্গে গোয়ায় ২-২ ড্র দিয়ে শুরু আর শেষটায় জাপান অনূর্ধ্ব-২১ দলের কাছে ৩-০ গোলে হার। দশটি ম্যাচের ছয়টিই খেলেছে অনূর্ধ্ব-২৩ আর বাকি চারটি খেলেছে জাতীয় দল। সব মিলিয়ে ৩ ম্যাচে জয়, ৫ ম্যাচে পরাজয় আর ২ ম্যাচে ড্র করে লাল-সবুজরা।

মাঝখানে বাংলাদেশ খেলেছে নেপাল অনূর্ধ্ব-২৩ ও শ্রীলঙ্কা জাতীয় দলের বিপক্ষে। তাদের সঙ্গে দুটি করে চারটি ম্যাচ খেলেছে জাতীয় দল। সিলেটে নেপাল অনূর্ধ্ব-২৩ দলের ম্যাচে দেখা গিয়েছিল দর্শক স্রোত। যশোর এবং রাজশাহীতেও শ্রীলঙ্কা জাতীয় দলের ম্যাচ দুটিতে দর্শক মেতে উঠেছিল ফুটবলের সত্যিকার আমেজে।

এশিয়ান গেমসে গিয়ে ভিয়েতনামের সঙ্গে একটি প্রীতি ম্যাচ খেলার সুযোগ পায় লাল-সবুজরা।

অনূর্ধ্ব-১৬ মেয়েদের এএফসি ফুটবলে আলোড়ন তুলেছিল বাংলাদেশের মেয়েরা। ঢাকায় অনুষ্ঠিত সে টুর্নামেন্টে জর্ডানকে ১-০ গোলে হারিয়ে শুরু করে বাংলাদেশের ক্ষুদে ফুটবলাররা। এরপর আরব আমিরাতের জালে ৬ গোল দেয় তারা। লাল-সবুজ কিশোরীরা ইরান ও ভারতের কাছে নিজেদের পরের ম্যাচে হেরে যায়।

তবে, এতোসবের পরেও বাংলাদেশের কিশোরী সানজিদা এশিয়ার সেরা দশ ফুটবলারের মাঝে সপ্তম হয়। যা বাংলাদেশের ফুটবলের জন্য অনেক বড় পাওয়া।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৫০ ঘণ্টা, ৩১ ডিসেম্বর ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।